ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

তাসলিমা মাহমুদ

উদ্যোক্তা জীবন দিন শেষে ভালো রাখে


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ৩-৯-২০২৩ রাত ৮:৪৬

তাসলিমা মাহমুদ উদ্যোক্তা জীবনের শুরুটা ২০১৯ সালের শেষ দিকে। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে কিছুদিন কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এরপর ২য় ও ৩য় সন্তানের আগমন ও ঘরোয়া জীবন যাপনে হতাশা তাঁর দিন রাত আঁধারে ঢেকে ছিলো। এমন সময় নিজেকে নিজের ভালো লাগার কাজে ব্যস্ত রাখতেই তাসলিমার উদ্যোগের কাজ শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় অল্প কিছু ব্লকের থ্রিপিস নিয়ে কাজ শুরু করেন নিজের বাসা থেকেই। পেইজ বা শোরুম তাঁর ছিলো না তখন। এর কিছুদিন পর তিনি পার্টনারশিপে একটি দোকান নেন। পুরো ব্যাপারটিতে তাসলিমার স্বামী মানসিক ও আর্থিকভাবে সহযোগীতা করেন। তাসলিমা মাহমুদ তাঁর উদ্যোগ সম্পর্কে দৈনিক সকলের সময়কে বলেন, কাজের সাথে মিল রেখে  উদ্যোগের নাম দিয়েছি সমীরণ। এর অর্থ বাতায়ন বা বাতাস। যেহেতু এ কাজে আমার আগের কোনো জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা ছিলো না।  তাই শুরুর দিকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। একটা শপ নেয়া এর নামকরণ করা। তারপর পণ্যের সোর্সিং। ঘরে ছোট বেবি রেখে শপ ও কাজে সময় দেয়া সব কিছুই ছিলো চ্যালেঞ্জিং। আর করোনার প্রকোপে সারা দেশে লক ডাউন শুরু হলে তখন আমার উদ্যোগ টি পুরোপুরি হুমকির মুখে পরে যায়। কারন এতদিনে সব পুঁজি বিনিয়োগ করা হয়ে গেছে। এ পর্যায়ে ২০২০ সালে তাসলিমা ও তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন পেজ সমীরণ বুটিক । এরপর সেই পেইজে ড্রেসের ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকেন। এ সময়ে পরিচিত ও আত্মীয়, বন্ধুদের সাথে ফোনে ও মেসেজে উদ্যোগের ব্যাপারে জানান। তাতে আশানুরূপ সারাও পেয়েছেন। মহামারির সময়ও তিনি কাপড় কনতে বের হতেন। সেইসাথে অর্ডারের কাজ করতেন। তাঁকে ছায়ার মতো সহযোগিতা করেন তাঁর স্বামী। তাসলিমার পণ্য মূলত ড্রেস আইটেমের। খুবই ইউনিক ডিজাইনের ড্রেস নিজেই ডিজাইন করে তৈরি করেন। তার মধ্যে মেয়ে বেবিদের ড্রেস ও লেডিস ওয়ান পিস কুর্তি অন্যতম। এছাড়া দেশীয় শাড়ী, থ্রিপিস, জুট কটনের ব্যাগ,  হাতে বানানো গয়না, ও ছেলেদের পাঞ্জাবি ইত্যাদি পাওয়া যায় তার প্রতিষ্ঠানে। তাসলিমা বলেন, শুরুটা ছিলো ব্লকের কাজ করা থ্রিপিস নিয়ে। পাশাপাশি শাড়ি, গজ কাপড়, ব্লকের বেডসীট,  টেবিল মেট, কুশন কভার সহ সব ধরনের হোমওয়্যার পন্য আছে আর চাহিদা মত কাস্টমাইজ করে দেই। ব্লকের কাজ ও ড্রেস গুলো নিজেই ডিজাইনে করি। কাপড়ের মান ও ড্রেসের কোয়ালিটি শতভাগ নিশ্চিত হয়ে পণ্য বিক্রয় করি। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ক্রয় ক্ষমতার আওতার মধ্যে রাখা হয়। ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনে স্টাইলিশ ড্রেস তৈরি করাতে অনেক সময়ই খরচ বেশি পরে যায়। তবে আমি খুবই সীমিত লাভে ড্রেস প্রাইসিং করি। তাছলিমার ছোট বেলা থেকেই সবকিছুতেই তাসলিমা খুব সৌখিন আর গোছানো স্বভাবের ছিলেন। নিজের ড্রেস নিজেই ডিজাইন করতেন। ছোট ছোট বেবি ড্রেস ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনে স্টাইলিশ লুক দেয়ার প্রবনতা তাঁর মনে সবসময় কাজ করত। আর এই ভালোবাসা থেকেই নিজ ডিজাইনে ড্রেস তৈরি করার উদ্যোগ নিয়ে তাঁর মাঠে নামা। তাসলিমা বলেন, এই কাজ টা যেমনি সময়সাপেক্ষ তেমনি খরচ সাপেক্ষ। তারপরও এই কাজে ভীষণ রকম ভালোলাগা কাজ করে যা আমাকে দিন শেষে ভালো রাখে।  যখন আমার উদ্যোগের ড্রেসের প্রশংসা পাই এবং ক্রেতারা নিতে আগ্রহী হয়, আমার জন্য এটি পরম পাওয়া। এগুলো সার্থকতা বলে আমার মনে হয়। তাসলিমার স্বামী একজন পি. এইচডি ডিগ্রিধারী  একটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হিসেবে দ্বায়িত্বরত আছেন।

Sunny / Sunny

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ - 

সম্পূর্ণার দ্বিতীয় চেইন শপের উদ্বোধন

অপরাজিতার পোশাকে কথা, কবিতা ও বর্ণমালার আয়োজন