ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

নুরুদ্দিন আহমেদ

বিদেশী ফলের সফল আমদানিকারক


ফয়েজ রেজা  photo ফয়েজ রেজা
প্রকাশিত: ৩-৯-২০২৩ রাত ৯:৪৩

দেশে বিদেশী ফল আমদানি করেন ব্যবসায়ী নুরুদ্দিন আহমেদ। বহু বছর ধরে তিনি জড়িত এ ফলের ব্যবসার সাথে। আগে নুরুদ্দিন আহমেদ এর বাবা দেশে বিদেশী ফলের ব্যবসা করতেন। সে সময়  কয়েকজন ব্যবসায়ী একত্র হয়ে হয়তো এক কার্টুন আপেল আমদানি করতেন। এখন বাংলাদেশের একএকজন ব্যবসায়ী ৩শ থেকে ৪শ টন আপেল, মাল্টা আঙুর আমদানি করছেন। নুরুদ্দিন আহমেদ শুধু তাঁদেরই একজন নন, তিনি ফল ব্যবসায়ীদের নেতা,  বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক তিনি। ফলের ব্যবসায় বাবাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তিনি। বলা যায় এটি তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা। নিজের ব্যবসার পরিধি প্রশস্ত হওয়ার বিষয়ে তাঁর অভিমত- এর প্রধান কারণ হচ্ছে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে। বিদেশি ফল এখন সাধারণ মানুষের খাওয়ার নাগালের মধ্যে পৌছে গেছে।' তিনি মনে করেন দেশের ভেতরে এটি অনেক বড় পরিবর্তন। আগে যাদের আড়তদারির ব্যবসা ছিলো, এখন তাদের ফল আমদানির ব্যবসা আছে। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫শ জনের মতো। যারা দেশের বাইরে থেকে বিদেশী ফল আমদানি করেন। সংগঠনের বাইরে আরও ৫ শতাধিক আমদানি কারক বিদেশী ফল আমদানি করছেন। অনেকের প্রশ্ন- দেশের ভেতরে এত ফল উৎপাদন করা হয়, তাহলে বিদেশ থেকে ফল আমদানি করতে হচ্ছে কেন? নুরুদ্দিন আহমেদ জানান- বর্তমানে আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা, খেজুর আমদানি করতে হচ্ছে বিদেশ থেকে। এসব ফলের বেশিরভাগ আনা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, চায়না ও মিশর থেকে। দেশে এসব ফল উৎপাদন করা কেন সম্ভব নয়। অনেকেই মাল্টা উৎপাদন করার জন্য চেষ্টা করছেন। আমাদের দেশের মাল্টার স্বাদ আর বিদেশি মাল্টার স্বাদ সমান নয়। আঙ্গুর আর আপেল প্রকৃতিগতভাবে দেশে উৎপাদন করা সম্ভব না। তাই আমদানি করা প্রয়োজন। ফল তো দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। আমদানি করা ফল এতদিন সতেজ কিভাবে থাকে? এ প্রশ্নটি করা হয়েছিল নুরুদ্দিন আহমেদকে। উত্তরে তিনি বলেন- অনেক ফলই তো নষ্ট হচ্ছে। যদি ফলের বাজারে যান, তাহলে দেখবেন অনেক ফলই অকশন দিয়ে বিক্রি হচ্ছে।  যেসব ফল আমদানি করা হয়, সেগুলো উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে  শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত মান নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে চেষ্টা করা হয়। পেস্টিসাইড এর বিষয় আছে এখানে।  ফলের মান নিয়ন্ত্রণের অনেকগুলো বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। এসব ফল দেশে আসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনারে। বাজারে এখন ফলের দাম বেশি। অভিযোগ আছে অনেকের। তিনি এ অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন- আগে ২০ কেজির ১ কার্টুন ফল আমদানি করার জন্য ৮শ টাকা কর দিতে হতো। এখন সে পরিমান ফল আমদানি করার জন্য আমদানি কর দিতে হয় ১৮শ থেকে ১৯ শ টাকা। গত বছর যে মাল্টার ট্যাক্স দিতে হতো ৫ শ টাকা, এ বছর সে পরিমান মাল্টা আমদানি করার জন্য ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা, দ্বিগুন। আবার গত বছর যে ডলারের দর ছিল ৮২ টাকা, এ বছর সেটি ১১৫ থেকে ১১৬ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারেও ফলের দাম বেড়ে গেছে। এসবের পরেও বর্তমানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে গেছে বিদেশি ফল। তাঁর মতে- বিদেশি ফলের দাম এখনও সাধারন মানুষের নাগালের ভিতরে আছে। এখন যে ভ্যান চালায়, সেও বাসায় যাওয়ার সময় ১ কেজি বা আধা কেজি ফল কিনে নিয়ে যায় তার বাচ্চার জন্য। এজন্য ফলের ডিমান্ড আছে অনেক। দেশে বিদেশী ফলের যে চাহিদা আছে, সে তুলনায় আমদানি এখনও কম। সরকারের বিভিন্ন পলিসির কারণে বিদেশী ফল আমদানি কমেছে। তিনি বলেন- এটি মানতে হবে, মানুষের যে ক্রয় ক্ষমতা, যে মাথাপিছু আয়, তা বেড়েছে। আগে ১ কেজি আঙ্গুর বা আধা কেজি আঙ্গুর ধনী ব্যক্তিরা কিনতো। এখন দেখা যায় গ্রামের বাজারের ভিতরও আপেল আঙ্গুর বিক্রী হয়। খুব বেশি আকারে বিক্রী হয়। দেশে বর্তমানে ৫০ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ ফল ব্যবসার সাথে যুক্ত আছেন। দেশে বিদেশি ফলের আমদানিকারক আছে  ৭ শ থেকে ১ হাজার জনের মতো।সরকার খুচরা পর্যায়ে যে ভ্যাট কেটে রাখে, এ ভ্যাট যদি উঠিয়ে দেয় এবং ট্যাক্স যদি নাগালের ভিতরে রাখে তাহলে আরও বেশি ফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে। তাহলে সাধারণ মানুষ থেকে একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ফল পৌছানো সম্ভব। এবং তারা ফল খেতে পারবে। নুরুদ্দিন আহমেদ চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের সকল ফল আমদানিকারকে এক সংগঠনের ছাতার নিচে আনতে এবং ফল আমদানি যারা করছেন, তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থ রক্ষাসহ ফলের দাম যেন সহনীয় মাত্রায় থাকে এবং দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ যেন বিদেশী ফল খেয়ে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করতে পারেন, সে চাহিদা পূরণ করতে।

Sunny / Sunny

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ - 

সম্পূর্ণার দ্বিতীয় চেইন শপের উদ্বোধন

অপরাজিতার পোশাকে কথা, কবিতা ও বর্ণমালার আয়োজন