ঢাকা শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

আফসানা হোসেন সেতু 

 যেখানে স্বপ্ন আর ইচ্ছা থাকে সেখানে সব সম্ভব হয়


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ১০-৯-২০২৩ দুপুর ৩:৩৮

পরিবারের বড় সন্তান আফসানা হোসেন সেতু। তাঁর বেড়ে উঠা লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দ্রুাকুটি গ্রামে। ভালো ছাত্রী ছিলেন, অষ্টম শ্রেণীতে পেয়েছেন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি। লেখাপড়ায় ভালো হওয়ায় তাঁর বাবা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেন। এসএসসি তে অর্জন করেন জিপিএ ৫। মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন দেখতেন আফসানা সেতু। গ্রামে ভালো টিচার না থাকায় টিউশনি পড়তে যেতেন ছয় কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে। কিন্তু বর্তমানে তিনি একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং উদ্যোক্তা। স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবার পর কিভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে আফসানা সেতু সে বিষয়ে দৈনিক সকালের সময়কে তিনি বলেন, মেডিকেলে ভর্তি পরিক্ষা দিয়ে চান্স পাইনি। এরপর কিছু পারিপার্শ্বিক কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যাই। এত পরিশ্রমের পরও ভালো গাইডলাইনের অভাবে নিজের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় ডিপ্রেশনে পড়ে যাই। সেটা থেকে বের হতে গিয়ে ভাবলাম কিছু করতে হবে। এরপর ফ্রিলান্সিংয়ের একটি কোর্স সম্পন্ন করি। ট্রেনিংয়ের এক মাসের মাথায় কাজের ইমপ্রুভমেন্ট দেখে ট্রেইনার আমাকে ফাইভারে একটা আইডি খুলে দেয়। এরপর ট্রেনিং শেষ করে গুগল রিসার্চ করতে থাকি।  যে বিষয় গুলো ট্রেনিং থেকে শিখেছি তার থেকে অনেক বেশি গুগল থেকে শিখেছি। কিভাবে মার্কেটিং করতে হয়, কিভাবে বায়ার সামলাতে হয় ইত্যাদি।


আফসানা সেতু জানান, যেখানে স্বপ্ন আর ইচ্ছা থাকে সেখানে সব সম্ভব হয়।  প্রথম মাসেই দশ হাজার টাকা আয় আসে ফাইভার থেকে। দুই মাসেই লেভেল টু সেলার হয়ে যান এবং এক বছরে প্রায় তিন লাখ টাকা আয় করেন ফাইভার থেকে। পাশাপাশি চলতে থাকে বিভিন্ন রকম অনলাইন কোর্স। ২০১৮ সাল অবধি ফাইভারে সফলতার সাথেই কাজ করেছেন। এরপর আবার পারিপার্শ্বিক কারণে ফাইভারে কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য একটা কোম্পানির সাথে কাজ করেছেন প্রায় এক বছর। নিজে কিছু করবেন এমন একটা অদম্য ইচ্ছা তাঁর সব সময়ই ছিল। এ পর্যায়ে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর নিজের চিন্তাধারা থেকে  উবংরমহ গধহরধপ নামে একটি উদ্যোগ শুরু করেন। এরপর আর তাঁকে থেমে থাকতে হয়নি। নারী উদ্যোক্তা সংগঠন উইতে মার্কেটিং শুরু করে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক্স ডিজাইন, কর্পোরেট ব্রান্ড আইডেন্টিটি, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স সার্ভিস এবং সব রকম প্রিন্ট আইটেম গুলো সরবরাহ করে। এছাড়াও ভিজিটিং কার্ড, ব্যানার, ফ্লায়ার, ব্রুশিয়ার, কোম্পানি প্রফাইল, ইনভয়েস, শপিং ব্যাগ ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকে। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের পেজ রিলেটেড সেবা, ওয়েবসাইট, প্রিন্ট এবং প্যাকেজিং আইটেম নিয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এই সেক্টরে ৪০০ এরও অধিক উদ্যোক্তাদের ব্রান্ড আইডেন্টিটি এবং প্রিন্টিং নিয়ে কাজ করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠান ডিজাইন ম্যানিয়াক । প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত আছে তিন জন কর্মচারী। বছরে আয় করছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠান বড় করা প্রসঙ্গে আফসানা সেতু জানান, বেশি বেশি মার্কেটিংয়ের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কীভাবে নিজের টার্গেট পরিমাণ সেল বাড়ানো যায় সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছি। আফসানা সেতুর বাবার নাম আনোয়ার হোসেন, মায়ের নাম শামছুজ্জাহান শিল্পী। বর্তমানে আফসানা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ থেকে মাস্টার্স করছে। তাঁর স্বামীর নাম বিল্লাল হোসেন। তিঁনি পেশায় একজন ওয়েব ডিজাইনার, বর্তমানে একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত আছে। তাঁর একটি ছেলে সন্তান আছে। নাম আহিয়ান আল ফারাবি। তার বয়স দুই বছর দুই মাস। আফসানা ঢাকার মোহাম্মদপুরে থেকে তাঁর উদ্যোগ পরিচালনা করছে।

Sunny / Sunny

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ -