ঢাকা শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

নীরবে কাজ করে চলেছে উদ্যোক্তা রুকাইয়া সুলতানা রাখী


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ১৭-৯-২০২৩ দুপুর ৩:১২

রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার মিয়াপুর গ্রামের মেয়ে রুকাইয়া সুলতানা রাখী। সেখানেই শৈশব থেকে শুরু করে স্কুল ও কলেজ জীবন অতিবাহিত হয়। পরবর্তীতে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রাজশাহী থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। বরাবরই বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। এক সময় স্বপ্ন দেখতেন ব্যাংকার অথবা বিমানবালা হতে। বর্তমানে স্বামীর কর্মসূত্রে ঢাকার উত্তরাতে অবস্থান করছেন এবং তাঁর উদ্যোগ পরিচালনা করছেন ।

উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত কিভাবে নিলেন, এ বিষয়ে দৈনিক সকালের সময়কে রুকাইয়া সুলতানা রাখী জানান, অনার্স কমপ্লিট করার পর বিয়ের ৫ বছরের মাথায় প্রথম ছেলে সন্তানের মা হলাম। তারপর তাঁকে নিয়ে আমার সারা ব্যস্ততা। তখন ২০১৯ সালের শেষ দিকে উইয়ের দেখা পাই। এরমধ্যে মাস্টার্সও রানিং ছিলো। তখন মনে হলো ছোট বাচ্চা কে নিয়ে কিভাবে বাইরে চাকুরিতে এতোটা সময় দিবো। কিন্তু আমার পরিবারের বড় মেয়ে আমি। আরও ছোট দুই বোন আছে। আমাদের পরিবারে ছেলে বা মেয়েকে তেমন আলাদা করে দেখা হয় না। মা,বাবাসহ পরিবারের সাপোর্ট পেতাম নিজে কিছু একটা করার।

কিন্তু ছোট বেবিকে একা বাসায় রেখে আবার মাস্টার্স রানিং, সব মিলিয়ে মনে হলো আপাতত উদ্যোক্তা হওয়াটাই আমার জন্য বেস্ট। ২০২০ সালে এসে সাহস করে শুরুই করে দিলাম। কিন্তু চারিদিকে করোনা মহামারীতে পরিস্থিতি খুবই খারাপ একটা অবস্থা।  আবার এদিকে একটা ছোট বাবুর পরই নতুন আবার মা হওয়ার আগমনী বার্তা আসে। ২০২১ সালে ২য় বার আবারও মা হই। দুইটা ছোট বেবি নিয়ে আর উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে পারলাম না। ২য় বার বেবির পুরো সময়টাও আমার বেশ অসুস্থতাতেই কাটে। দুই টা ছোট বাবু কে বাসায় রেখে বাইরে গিয়ে চাকরি করাটা আমার জন্য এ মুহূর্তে অসম্ভব।  ২০২৩ সালে আমার উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে আমি আবারও আমার পথ চলা শুরু করি। আমার পেইজের নাম ‘সম্পর্কের বাঁধন’। নামটা দিয়েছিলাম ক্রেতা আর বিক্রেতার মাঝে কোন দূরত্ব না রেখে একটা সুন্দর সম্পর্কে এসে যেনো পরিণত হয়। 


তাঁর উদ্যোগ ‘সম্পর্কের বাধন’ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২০ সালে। রাজশাহীর মেয়ে রুকাইয়া সুলতানা রাখী মূলত রাজশাহী সিল্ক নিয়ে যত আইটেম আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। এছাড়াও কাজ করছেন নকশিকাঁথা নিয়ে। উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে রুকাইয়া সুলতানা রাখী জানান, আপাতত সিল্ক নিয়েই সব ধরনের কাজ করতে চাই। সিল্কের মধ্যে মেয়েদের জন্য  থ্রিপিছ, শাড়ির মধ্যে পিওর সিল্ক, বলাকা সিল্ক,  তসর সিল্ক,  এ্যান্ডি সিল্ক, মসলিন সিল্ক রয়েছে। আর ছেলেদের জন্য সিল্কের পাঞ্জাবী,  শার্ট এগুলো সংযোজন করার ইচ্ছে আছে। রুকাইয়া সুলতানা রাখীর বাবার নাম আব্দুর রহিম ও মায়ের নাম খালেদা বেগম। তাঁর স্বামীর মো: জামিনুর ইসলাম একজন ব্যাংকার। তাঁদের দুইটি সন্তান আছে একটি ছেলে বয়স ৫ বছর ও একটি মেয়ে বয়স ২ বছর। 

Sunny / Sunny

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০

ছোট উদ্যোক্তা থেকে বড় উদ্যোক্তা হওয়ার প্লার্টফর্ম সম্পূর্ণা বাংলাদেশ

টিকটকে যে নারীরা অনুপ্রেরণা যোগায়

চল্লিশেই সফল ব্যবসায়ী- নিয়াজ মোর্শেদ এলিট

ইপি-উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এর বিভিন্ন জেলায় পুষ্পস্তাবক অর্পণ -