মোছাঃ তানিয়া আক্তার
অসহায় নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই
ব্যাংকার হতে চাইতেন মোছাঃ তানিয়া আক্তার। সেজন্য কমার্স নিয়ে পড়াশোনা করেন। বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষাও দেন। কিন্ত ভাগ্য ক্রমে চাকরি না পেয়ে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল এ শিক্ষকতা শুরু করেন। এর মাঝে মনে হয় নিজে কিছু করা দরকার। ছোটবেলা থেকে সেলাই আর রান্নার প্রতি ছিল খুব আগ্রহ। তাই ২০১৮ সাল থেকে সেলাই নিয়ে কাজ শুরু করেন । শুরুতে নিজ এলাকার মাঝে অর্ডার নিয়ে শাড়ি থ্রিপিস ও বাচ্চাদের পোশাক নিয়ে সেলাই কাজ করেন । তারপর ২০২০ সালে অনলাইন এ আরিয়ানা'স ড্রিমস নামে একটি পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর সিগনেচার পণ্য, হাতের কাজের পণ্য।
মোছাঃ তানিয়া আক্তার জানান, হাতের কাজের থ্রিপিস, শাড়ি, বাচ্চাদের কুরুশের জামা, হ্যান্ড পেইন্ট জামা, হাতের কাজের ও ব্লক ও কুরুশের শাল অনলাইন ও অফলাইন এ সেল করা শুরু করি । সাথে হোমমেড খাবার, কেক, বিভিন্ন মৌসুমী ফলের আচার সেল করি । বর্তমান এ আমার বাৎসরিক আয় ১ থেকে ২ লাখ টাকা। বর্তমানে আমার পণ্য সারা বাংলাদেশে সেল করছি কিছু কিছু পণ্য বিদেশেও সেল করেছি। তানিয়া বলেন, নিজের উদ্যোগের, পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন এনজিও ও বানিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ট্রেনিং নিয়েছি। আরও ট্রেনিং করার মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ও পরিধি বৃদ্ধি করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অসহায় নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।
তানিয়া আক্তার এর বাবা আতাউর রহমান পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর মা মিসেস ঝরনা বেগম একজন গৃহিণী । ছোটবেলা কেটেছে বগুড়া জেলার সুত্রাপুর এলাকাতে। বগুড়ার সেন্ট্রাল হাইস্কুল থেকে ২০০৬ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছেন এরপর বগুড়া আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেন। তাঁর স্বামী মোঃ একরামুল হক আদনান ,পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বর্তমানে একটা মেয়ে আরিয়ানা জান্নাত অন্তরা, বয়স ৭ বছর কেজি শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। বর্তমান তানিয়া আক্তার বগুড়া জেলার সুত্রাপুর এলাকায় অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকেই অনলাইন ও অফলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
Sunny / Sunny