ঢাকা শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

সুমনা আফরোজ

নিজস্ব একটা ব্যান্ড তৈরির ইচ্ছা


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ১৭-৯-২০২৩ দুপুর ৩:৪৪

ছোটবেলা সুমনা আফরোজ চাইতেন শিক্ষকতা করতে। মূলত স্কুলের এক শিক্ষিকা ‘শিল্পী আপা’ উনাকে দেখে অনুপ্রেরণা কাজ করতো এই পেশাতে আসতে। এরপর বড় হয়ে ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতি ভালোলাগা কাজ করে। সেই সুবাদে পড়াশোনাও করেছিলেন রিলেটেড আর্ট সাবজেক্টের উপর। সাবজেক্টের ভিত্তিতে অনেক প্রাকটিক্যাল করা হতো ড্রেসের উপর। নিজের ড্রেস নিজেই ডিজাইন করে বানাতেন। তবে প্রফেশনালি কখনো কাজ করেন নাই। বর্তমানে সুমনা আফরোজ একজন খাবারের উদ্যোক্তা। অনলাইনে তাঁর উদ্যোগ পরিচালনা করছেন।

কেন মনে হলো উদ্যোক্তা হওয়া দরকার? দৈনিক সকালের সময়ের এমন প্রশ্নের জবাবে সুমনা বলেন,  ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল জীবনে প্রফেশন হিসেবে কিছু একটা অবশ্যই করব। আমাকে আমার ব্রান্ডের জন্যই সবাই চিনবে। আমার প্রতিষ্ঠানে অনেক লোক কাজ করবে। আমার দ্বারা কিছু লোকের কর্মসংস্থান হবে। দেশ ও মানুষের জন্য সামান্যতম হলেও অবদান রাখতে পারব। এখন আমার অধীনে চারজন কর্মী কাজ করে। স্টুডেন্ট লাইফে তেমন কিছুই করা হয়নি। ওভাবে গুছিয়ে উঠতে পারিনি। একটা সময় যখন মনে হল আমার সন্তানেরা একটু সাপোর্টিং হচ্ছে তখনই অনলাইনে কিছু কাজ করা শুরু করলাম, সেটা খাবার নিয়ে। অনলাইনের মাধ্যমে খাবার হোম ডেলিভারি করে থাকি কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী। সুমনা আফরোজ বলেন, রান্নার প্রতি ভালো লাগাটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। কারণ বাবা-মা দুজনে খুব ভালো রান্না করতেন। তারপর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখলাম ভিন্ন চিত্র। শ্বশুরবাড়ির সবাই খুব ভালো রান্না করেন। মূলত ভালোভাবে রান্না শেখাটা তাদের কাছ থেকে। আর বিয়ের আগে শখের বসে কিছু কিছু আইটেম রান্না করতাম। তখনও সব ধরনের রান্না করতে পারতাম না। বিশেষ করে রেগুলার ফুড গুলো রান্না শেখা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কাছ থেকে। যেমন আমার বড় আপা (ননাস), জা, ননদ এদের কাছ থেকে।


সুমনা আফরোজ ‘ঘরের খাবার’ প্রতিষ্ঠা করেন ২০২০ সালে। তাঁর প্রতিষ্ঠান ঘরোয়া সব ধরনের খাবারই সেল করে থাকে। বিশেষ করে গ্রামীন ও বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো, যেগুলো অনেকেই ঝামেলার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তৈরি করে খেতে পারে না। সেই খাবার গুলোর প্রতি ফোকাস বেশি দেয়া হয়। স্পেশালি ফলি ও চিতল মাছের কোপ্তা তার সিগনেচার আইটেম। এছাড়াও ছিটা রুটি দেশি হাঁস ভুনার জন্য অনেকের কাছেই তিনি বেশ পরিচিত। এছাড়াও ফ্রোজেন আইটেম, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য খাবার,  নানা রকম পিঠা, বাহারি ধরনের হালুয়া, বরফি ও মিষ্টি। তাঁর অর্ডারগুলো বেশিরভাগই কাস্টমাইজ। 


প্রতিষ্ঠান বড় করা প্রসঙ্গে সুমনা আফরোজ জানান, হোমমেইড খাবার নিয়েই আমার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু। রেসপন্স ভালো পাচ্ছি। এমনকি গুগলে কেউ যদি ফলি মাছের কোপ্তা সার্চ করে সবার আগে আমার নাম আসে যা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাই হোমমেইড খাবার নিয়েই প্রতিষ্ঠানকে বড় করার জন্য কিছু প্রফেশনাল কোর্স করার ইচ্ছা আছে। একইভাবে ইচ্ছে আছে নিজের একটা ব্র্যান্ডিং হবে এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘরের খাবারের শাখা থাকবে। ধীরে ধীরে আমি আমার টার্গেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছি প্রথমে মেধা ও ধৈর্য দিয়ে চেষ্টা করে গেলেও আস্তে আস্তে লাভ পেতে শুরু করছি। 'ঘরের খাবার' অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও কাস্টমারদের সার্ভিস দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

সুমনা আফরোজের বাবার নাম মতিউর রহমান ও মায়ের নাম সাফিয়া রহমান। তাঁর স্বামীর নাম সৈয়দ জাকারিয়া। তাঁদের দুইটি মেয়ে আছে। সুমনা আফরোজ রাজধানী ঢাকাতে অবস্থান করছেন এবং এখান থেকেই তাঁর ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

Sunny / Sunny

চুয়াডাঙ্গার অনুকরণীয় নারী উদ্যোক্তা নাহিদার সাফল্যগাথা উত্থান

দেশী ও বিদেশি নারীদের ফ্যাশন হাউজ অপরাজিতা

সৈয়দ সামিউল হোসেন: হোটেল ইন্ডাস্ট্রির স্বপ্নবাজ এক তরুণ পেশাজীবী

অপ্সরা ডিজায়ার হেয়ার সেলুনের যাত্রা থেকে সাফল্যের গল্প

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন 

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা 

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০