হাসিনা আক্তার শেলী
চার বছরের উদ্যোগ- রেডি টু কুক

চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম চার বছর আগে।প্রথম শুরু করি কাপড়ের বঢ়বসা। কাপড়ের ব্যবসাটি এখনও চলমান আছে। ব্যবসা শুরু করার পর নতুন নতুন মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়। সবাই অনলাইনে আমার ব্যবসার পণ্য সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করে। সাধারণ বিবেচনায় তারা সবাই ক্রেতা হলেও আমার বিবেচনায় প্রত্যেকেই ছিলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ ক্রেতার চেয়েও বেশি কিছু। এ কারণে আমি আমার পেইজের ক্রেতাদের পণ্যের চাহিদা, প্রয়োজন ও সমস্যা এবং আগ্রহের বিষয়গুলো বিশেষভাবে বোঝার চেষ্টা করতাম। এর ফলাফলও ভালো হলো।
আমি শুধুমাত্র কাপড়ের ব্যবসার উপর স্থির থাকলাম না৷ দুই বছরের ব্যবধানে রান্না করা খাবার এবং রেডি টু কুক মাছ/মুরগি /হাঁস নিয়ে কাজ শুরু করি। কাপড়ের কাজের চেয়ে তিনগুণ পরিশ্রম এবং চ্যালেঞ্জ এর কাজ হচ্ছে রেডি টু কুক এবং রান্না। মানুষ টাকা দিয়ে কিনে খাবে সেটা অবশ্য-ই খুব মজার হতে হবে। একটা মানুষ সব সময় খাবার স্বাদের ও মজার করে রান্না করতে পারে না। তবে এখানে ও সমান একাগ্রতা-ভালোবাসা থাকলে সম্ভব। এটি আমি বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করছি। রান্না খুব সহজ একটি বিষয় না, অনেকের কাছেই এটি একটি শিল্প। আমার কাছেও। খাবার রান্না করা বা পণ্য বিক্রি করার বিষয়টিকে আমি শুধুমাত্র ব্যবসা হিসেবে দেখি না। দায়িত্ব এবং শিল্প হিসেবে দেখি। ফলে আমি আমার ঘরের মানুষ, বাসার অতিথির জন্য যেমন গুরুত্ব দিয়ে খাবার তৈরি করি, ক্রেতাদের জন্যেও তা করি। আমি সব সময় চাই আমার একজন ক্রেতা বারবার তাঁর প্রয়োজনে ফিরে আসুক আমার কাছে। যখন চল্লিশজন বা পঞ্চাশজন মানুষের খাবার বা তার অধিক মানুষের খাবার রান্না করতে হয়, তখন স্বাভাবিকভাবে ই টেনশন থাকে- সব যেন ঠিক ভাবে হয়। মানুষ খেয়ে যেন তৃপ্তি পায়।
একশত ভাগ সফল না হলেও ৯৮ ভাগ সফল হওয়ার চেষ্টা করি। রডি টু কুক এ দেশী মুরগী, রাজহাঁস, চিনাহাঁস, পাতিহাঁস নিয়ে কাজ করি। গত এক বছর যাবত গ্রাম থেকে সংগ্রহ করে ঢাকা পর্যন্ত নিয়ে আসি। এটি খুব একটা সহজ কাজ না,তবে গত এক বছরে এখন সোর্স লাগে না, গ্রামের মানুষ আমাকে খুঁজে এসে দিয়ে যায়। এটাও একটা অর্জন।আমারও এক শ্রেনীর গ্রাহক তৈরি হয়েছে যারা নিশ্চিন্তে রেডি টু কুক হাঁস, মুরগী নিচ্ছেন। রডি টু কুক এ দেশী মাছের পাশাপাশি ইলিশ মাছ নিয়েও কাজ করছি। যেটা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। এখানেও বলব- সফল। মানুষ বিশ্বস্ততার সহিত নিচ্ছে। আমি একজন নারী। আমার চার বছরের পথচলা এত সহজ ছিল না। মানুষ ঠকিয়েছে। নারী বলে ঠাট্টা করেছে। এসব পেড়িয়প ভালোভাবে টিকে আছি। ভবিষ্যতে সামনের দিনগুলোতে নতুন চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করছি। সবচেযে বেশি চেষ্টা করছি ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য।
Sunny / Sunny

দেশী ও বিদেশি নারীদের ফ্যাশন হাউজ অপরাজিতা

সৈয়দ সামিউল হোসেন: হোটেল ইন্ডাস্ট্রির স্বপ্নবাজ এক তরুণ পেশাজীবী

অপ্সরা ডিজায়ার হেয়ার সেলুনের যাত্রা থেকে সাফল্যের গল্প

হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শিল্পের সফল জাদুকর সুকান্ত সৈকত

শুরু হয়ে গেল রাঁধুনী নিবেদিত মাংসের সেরা রেসিপি ২০২৫ সিজন ৪ রান্নার প্রতিযোগিতা

অপরাজিতায় কবিতার শাড়ি

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফ্যাম একসাথে কাজ করবে

ঈদ ফ্যাশন ফিক্সেশন এর উদ্বোধন

ভর্তার স্বাদ ও সাতকাহন

মাসরুমের গুরুত্ব ও মাশরুমের উৎপাদন কৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

আমার মমতাময়ী মা

শেষ হলো আইডিয়া পিচিং কম্পিটিশন ক্রিয়েভেঞ্চার ৩.০
