ঢাকা সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের মনোনয়ন আলোচনায় ড.লিটন


নারগিস পারভীন photo নারগিস পারভীন
প্রকাশিত: ২৩-১১-২০২৩ দুপুর ৩:৫৫

জনতার প্রত্যাশা পূরণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন। ফলে স্বস্তি এসেছে স্থানীয় জনতার মাঝে। শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আ’লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এসময় তার সঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।  ফরম জমা শেষে ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন বলেন, নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আমি শতভাগ আশাবাদী। দলের পাশাপাশি দীর্ঘ ১৫ বছর এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আ’লীগকে তৃণমূলে আরও সুসংগঠিত করতে সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনে কাজ করে যাচ্ছি। দল আমাকে সুযোগ দিলে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ভিশন-২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শাহজাদপুরকে তিলোত্তমা শহরে পরিণত করবো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র দেশের অর্থনীতিকে করেছে সমৃদ্ধ। এবার শাহজাদপুরের জনগণের প্রত্যাশাকে বাংলাদেশ আ’লীগ মূল্যায়ন করবে, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতেই সাজ্জাদ হায়দার লিটন দীর্ঘদিন যাবত আ’লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জের পাড়া-মহল্লায়, হাট-বাজারে গণসংযোগ করে চলেছেন। এ সময় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে ব্যাপক উপস্থিতি, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সমর্থন লাভ করছেন। জয়প্রিয় এই জননেতা তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্বলিত লিফলেট ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় শীর্ষে রয়েছেন।

ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন একজন সুবক্তা, উচ্চ শিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবেই সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। বিশেষ করে তাঁর বিনয়ী আচরণ দ্বারা নেতাকর্মীসহ ভোটারদের কাছে টানতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য জনসাধারণ তার উপরে দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে শুরু করেছেন। বহুগুণে গুণান্বিত মানবিক যুবলীগ নেতা ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন রাশিয়া বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সেক্রেটারী, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ মিল্কভিটার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
 সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটনকে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা। স্থানীয় অধিবাসীদের মতে, এলাকার উন্নয়নে এবং কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে ড. লিটনের বিকল্প নেই। ড. লিটনের পরিবার ও তাঁর নিজের রাজনৈতিক অবদান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্মীবান্ধব রাজনীতি, সর্বপোরি জনসেবার মানসিকতাই তাঁকে প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রাখছে। ড. লিটনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মোহনের হাত ধরে যেমন শাহজাদপুর উপজেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে, তেমনি ড. লিটনকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা গেলেও এলাকায় যুগান্তকারী অনেক পরিবর্তন আসবে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক এবং সরকার ও আ’লীগের উচ্চ পর্যায়ে ভালো যোগাযোগ থাকায় তার পক্ষেই কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব। শাহজাদপুর আ’লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এমনটা বলেছেন। 

শাহজাদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-৬ সংসদীয় আসন। শাহজাদপুর উপজেলার অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো দুগ্ধ এবং তাঁতশিল্প। করতোয়া নদীর পশ্চিমে দুগ্ধ শিল্প আর পূর্ব দিকে তাঁতশিল্পের প্রাধান্য। শাহজাদপুরে এই দুইটি শিল্পের বিকাশে যিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি হলেন ড. লিটনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মোহন। তিনি শাহজাদপুরের পোঁতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের দুইবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালেই পোঁতাজিয়া ইউনিয়নে স্থাপন হয় বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা) এর সবচেয়ে বড় কারখানা।

জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মোহনের হাত ধরে শাহজাদপুরে তাঁতশিল্পেরও বিকাশ হয়। তিনি পাকিস্তান আমলে তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হন। তৎকালীন ভারতের বোম্বে (মুম্বাই) থেকে ডিজাইন নিয়ে এসে শাহজাদপুরে নিজের কারখানায় কাপড় উৎপাদন করতেন মোহন। তিনি সে সময়ে শাহজাদপুর বণিক সমিতির সভাপতিও ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একদিকে যেমন সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থনৈতিকভাবেও সহযোগিতা করতেন।

জানা যায়, আব্দুল মতিন মোহনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর সন্তান সাজ্জাদ হায়দার লিটনও শাহজাদপুরের মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে চলেছেন। তার ঐকান্তিক চেষ্টায় শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। তাঁর বাবা আব্দুল মতিন মোহনের নামে রাস্তা, ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। নিজস্ব জমি ও অর্থায়নে স্কুল, ঈদগাহ, কবরস্থান নির্মাণ করেছেন।

গত দুই দশক ধরে জাতীয় পর্যায়ে আ’লীগের রাজনীতির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন। তিনি গত ১৯ বছর ধরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। বর্তমানে তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এর আগে ২০১২ সালে যুবলীগের কমিটি গঠন হলে ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন আন্তর্জাতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এর আগে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজমের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পাদক হওয়ার পরে সারা বিশ্বে যুবলীগের কর্মকাণ্ডে গতির সঞ্চার হয়। তিনি বিভিন্ন দেশ ঘুরে যুবলীগকে সংগঠিত করেন।

২০০৭ সালের আলোচিত এক এগারোর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাহসী ভূমিকা রাখেন। সে সময়ের বাস্তবতায় অনেক নেতা যখন গা ঢাকা দেন তখন তিনি রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি আ’লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তির আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে ছিলেন। ঝুঁকি নিয়ে ও তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন ধানমণ্ডির সুধাসদনে শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। 

বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন আ’লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। পরবর্তীতে মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে শাহজাদপুরের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পাড়া-মহল্লা ও হাট-বাজারে চোষে বেড়িয়েছেন। এমনকি উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার ইউপি নির্বাচনে তিনি দলের মনোনীত প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করতে মাঠে থেকেছেন সব সময়। নিজের অর্থ ব্যয়ে করে নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট যুদ্ধে মাঠে-ময়দানে সরব থেকেছেন। একই সঙ্গে বিগত বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়ে মাঠে রেখেছেন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী ড. লিটনের পরিবার ও তাঁর নিজের রাজনৈতিক অবদান, জনসেবার মানসিকতাই তাঁকে প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রাখছে।

ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন বলেন, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এলাকার উন্নয়নের জন্য নিঃশর্তভাবে কাজ করব। রাষ্ট্রের যত সুবিধা আছে, সবকিছু দিয়ে এলাকার উন্নয়নের ইতিহাস আমি বদলে দিতে চাই। সরকারের সহযেগিতার পাশাপাশি বিদেশী সহযোতিায় শাহজাদপুরকে মডেল উপজেলা গড়ে তুলতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমি এমপি নমিনেশন নেওয়ার বহু আগে থেকে শাহজাদপুরের মানুষের জন্য কাজ করি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধু, নেতৃত্ব শেখ হাসিনা। মনোনয়নপত্র কিনেছি এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের পাশে দাঁড়াতে। আশা করি দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে ইনশাল্লাহ।

এমএসএম / এমএসএম

পাবনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌনহয়রানির অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

পটুয়াখালীতে জুলাই শহীদ কন্যা লামিয়া হত্যার মামলার রায় ঘোষণা ২২ অক্টোবর

সীমান্তবর্তী চার জেলার থানার সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ কার্যক্রমের সিদ্ধান্ত

মনোহরদীর রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষামূলক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ত্রিশালে খুচরা সার বিক্রেতাদের আইডি কার্ড বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

অভয়নগরে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালকের মৃত্যু

রাজশাহীতে সড়ক ও জনপথের কর্মচারী ইউনিয়নের মানববন্ধন

দোহারে তরুণদের মিলনমেলা: অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিজ্ঞা

গোপালগঞ্জে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাভারে দখলবাজির সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয় জড়ানোর অভিযোগ।

লাকসামে অস্তিত্ব সংকটে খেজুর গাছ রস সংগ্রহে ব্যাস্ত গাছিরা

থানার ভেতরে চাঁদা দাবি, না দেওয়ায় সাইনবোর্ড ভাংচুর ও হত্যার হুমকি

৩১ দফা বাস্তবায়নে তাড়াশে লিফলেট বিতরণ ও শো ডাউন