ঘন কুয়াশা আর শৈতপ্রবাহে বিপর্যস্ত শেরপুরের জনজীবন

ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সর্বত্র। ফিমেল হাওয়া আর কুয়াশার শিশিরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। বিপর্যস্ত জনজীবন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) অগ্রহায়ণ মাসের শেষে এসে অনেকটা হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে হাড় কাঁপানো প্রচণ্ড শীত। শীতের সাথে ঘন কুয়াশা আর উত্তর-পশ্চিম থেকে আসা কনকনে হিমেল হাওয়া এবং মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় উপজেলা সর্বত্রই বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
সকাল ৮ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে শীত ও কুয়াশার কারণে বিশেষ করে শিশু বৃদ্ধদের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। সর্দি-কাশি জ্বর বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। হতদরিদ্র নিম্নআয়ের দিন এনে দিনে খাওয়া মানুষের আয় রোজগারের ক্ষেত্রেও করেছে বিরূপ প্রভাব।
সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছেন উপজেলার প্রকৃতি। শহর ও গ্রামীণ সড়ক গুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। তবে কুয়াশার কারণে কোথাও দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি এখনো। এদিকে শীত উপেক্ষা করে সকালে শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা যায়। দুলাল, সাইফুল, মোস্তফাসহ কয়েকজন শ্রমিক বলেন, বেশ ঠান্ডা পড়েছে, কুয়াশা আর হিমেল শিশুদের কারণে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। তবুও পেটের দায়ে আলুর জমিতে কাজ করতে এসেছি। কয়েকজন ভ্যানচালক বলেন মৌসুমের শুরুতেই বেশি কুয়াশা আর ঠান্ডা। শীতের কারণে যেমন ভ্যান চালানো কষ্টকর তেমনি যাত্রীরাও সহজে ভ্যানে উঠতে চান না। সকালে বেরিয়েছি। রুটি রুজি করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এমনিতেই উত্তরবঙ্গে শীত একটু বেশি হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কমতে শুরু করে তাপমাত্রা।তাপমাত্রা কমার সাথে সাথেই বাড়তে শুরু করে শীতের পরশ। বেলা ১১ টার পর তাপমাত্রা মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা না নামতেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে পরদিন দশটা এগারোটা পর্যন্ত বইতে থাকে শীতের প্রকোপ। তীব্র শীতে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা জনিত নানা ধরনের রোগ ব্যাধির প্রকোপ আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকগণ। ইতিমধ্যে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের কাছে নিউমোনিয়া সহ বিভিন্ন রোগের সংখ্যাধিখ্য দেখা দিয়েছে। যার বেশিরভাগ শিশু। তাপমাত্রার পারদ ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকগণ। এছাড়াও সমস্যায় পড়েছে গবাদি পশুর খামার মালিকরা। এতদিন তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের উপরে থাকায় ধানের বীজতলা ও সরিষা উৎপাদন নিয়ে শংকায় ছিল এলাকার কৃষক। কিন্তু তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ায় সরিষা উৎপাদনে ইতিবাচক ফল দিলেও তা ধানের বীজতলাকে কোল্ড ইনজুরি করে ফেলতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষিবিদরা। অপরদিকে শীতকালীন সবজি নিয়েও শংকায় আছেন সবজি চাষীরা।
বগুড়ার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশেষ করে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির প্রভাবের কারণেই দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। হিমেল হওয়া প্রবাহিত হওয়ায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। সামনের তাপমাত্রা আরও কমবে বলে তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

ভারত থেকে আসা মরিচের ট্রাকে অস্ত্র-গুলি, ২ ভারতীয় আটক

পাবনায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে টেটা বিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু

জুড়ীতে টিকটকে প্রেম, দেখা করতে গেলে মেয়ের স্বজনেরা দিলেন বাল্য বিয়ে: থানায় মামলা

বেনাপোলে এয়ার পিস্তল ও গুলি সহ আটক ২

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করে জাহিদুল পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ

সুবর্ণচরে স্বেচ্ছাসেবকদল চরক্লার্ক ইউনিয়ন কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

শ্রীনগরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রচনা-ক্বেরাত প্রতিযোগিতা

ত্রিশালে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধের ঘুষ বানিজ্যসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দুমকীতে ধারের টাকা তুলে দিতে না পারায় স্ত্রীর আত্মহত্যা

সাঘাটায় এনসিপি নাম ভাঙিয়ে বাপ–ছেলের চাঁদাবাজির অভিযোগ

বালিয়াকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ নিহত ১ আহত
