অসহায় পরিবারের প্রশ্ন
বৃদ্ধ বয়সে চন্দনাইশ ছেড়ে কোথায় যাব
চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার চর বরমা এলাকার এক অসহায় পরিবারকে জরাজীর্ণ বসতঘর ভেঙে টিনের ঘর নিমার্ণ করতে প্রভাবশালী আবদুল মজিদ ও তার পরিবার কর্তৃক বাঁধা দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টায় চর বরমাস্থ তার নিজ বাসভবনের পাশে এ সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মো. রেজাউল করিম বলেন, বিগত ২০ বছর আগে শঙ্খ নদীর গর্ভে তাদের ভিটেবাড়ী তলিয়ে গেলে স্থানীয় বর্গাচাষি মৃত আবদুল হামিদের ছেলে আবদুল মজিদের কাছ থেকে বসতভিটার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ঘর নিমার্ণের জন্য বন্ধক নেই। পরবর্তীতে মজিদের কাছ থেকে সে জায়গা ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে আবদুল মজিদ বলেন, স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তিনি জায়গা বিক্রি করতে পারবেন তবে কোনো রেজিস্ট্রি দলির দিতে পারবেন না।
রেজাউল করিম বলেন, পরবর্তীতে আবদুল মজিদ ওই জায়গার প্রকৃত মালিক না হওয়ায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় জায়গার প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে গত ৫ বছর আগে উচিত মূল্য দিয়ে জায়গাটি ক্রয় করে নামজারি খতিয়ান সৃজন করে বসবাস করে আসছি। বর্তমানে কাঁচা বসতঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় গত ৬ আগস্ট ঘরটি টিন দিয়ে সংস্কার করার জন্য বাঁশ, গাছ, টিন, বাটামসহ বিভিন্ন নিমার্ণসামগ্রী নিয়ে এলে আবদুল মজিদ ও তার পরিবারের লোকজন বসতঘর সংস্কারে বাধা দেন। ফলে এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার বসতঘর সংস্কারের সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকবার আবদুল মজিদ তার সন্ত্রাসী লোকজন দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করায় বসতঘর ছেড়ে তার বড় ভাই শ্বশুরবাড়িতে চলে গেছেন। এছাড়াও আবদুল মজিদ বন্ধকের যে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল, সেগুলো ফেরত দেয়া তো দূরের কথা, নতুন করে সে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করছেন। অন্যথায় বসতঘরটি সংস্কার করতে বাধা সৃষ্টি করবেন। সমাজের কোনো কথায় প্রভাবশালী আবদুল মজিদ কর্ণপাত না করায় ও বারবার প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় গতকাল মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান। তাই তিনি জরাজীর্ণ বসতঘর পুনঃনিমার্ণসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করার জন্য প্রশাসনসহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মো. নন্না মিয়া, মনজুরা বেগম, সুফিয়া খাতুন প্রমুখ।
এমএসএম / জামান