ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

বাউফলে হত্যা মামলায় সাজার তথ্য গোপন করে চাকরি নেয়ার অভিযোগ


বাউফল প্রতিনিধি  photo বাউফল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১-৮-২০২১ বিকাল ৫:৩০

পটুয়াখালীর বাউফলে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্র বশির হত্যা মামলার রায়ে ৩০ বছরের সাজার তথ্য গোপন করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে কনকদিয়া ইউনিয়নের আলামিন সিকদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ হত্যা মামলার বাদী বশিরের বাবা আব্দুর রশিদ প্রায় ১৭ বছর ধরে সন্তান হারানোর কষ্ট নিয়ে থাকলেও এ হত্যা মামলার আসামি আল আমিন শিকদার স্বপদে চাকরিতে বহাল রয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে কনকদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ঝিলনা গ্রামে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কনকদয়িা ইউনিয়নের ঝিলনা গ্রামের আব্দুর রশিদ হাওলাদারের দ্বিতীয় ছেলে বশির আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্র ছিলেন। ১৯৯৩ সালের ৭ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় ঝিলনা লঞ্চঘাটে একটি ক্লাবঘর নির্মাণ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে একই গ্রামের লিটন সিকদার ও আলামিন সিকদারের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একটি দল স্কুলছাত্র বশিরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। ওই দিন মুমুর্ষু অবস্থায় বশিরকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বশির মৃত্যুবরণ করেন।

ওই ঘটনায় বাউফল থানায় বশিরের বাবা আব্দুর রশিদ হাওলাদার বাদী হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, খসরু হাওলাদার, মিজানুর রহমান, আলামিন সিকদার, লিটন সিকদারসহ ১১ জনকে আসামি করে একটি  হত্যা মামলা (০২/৯৩) দায়ের করেন। পরে বাউফল থানা পুলিশ আব্দুুল জলিল, খসরু, মিজানুর রহমান, আলামিন সিকদার ও লিটন সিকদারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজকোর্ট আদালতে চার্যশিট দাখিল করে, যার নং জিআর ৮৬/৯৩। ২০০৮ সালে মামলাটি বিচারের জন্য  বরিশাল দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে প্রেরণ করা হয়। দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল যার মামলা নং ০৩/০৮। আদালতের বিচারক ০৭/১২/২০০৮ সালে স্কুলছাত্র বশিরকে হত্যার দায়ে কনকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আব্দুল জলিল, খসরু, মিজানুর রহমান, আল আমীন ওরপে আল‍ামিন সিকদার ও লিটন সিকদারকে ৩০২/৩৪ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়েেআরো এক বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করার আদেশ দেয়। আদালতের রায়ের পর তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

এ হত্যা মামলায় কিছুদিন সাজা খেটে আসামীগণ হাইকোর্ট বিভাগে একটি ফৌজদারি আপীল (৮৭১৯/০৮) রুজু করেন। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল গঠিত বেঞ্চ ১৪/৫/০৯ তারিখ আসামিদের ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করে। এরপর আলামিন ২০১৩ সালে কনকদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি নেয় এবং এখনো স্বপদে বহাল রয়েছে। 

বশিরের বাবা আব্দুর রশিদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, তার সন্তানকে যারা হত্যা করেছে বিচারে তাদের যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সাজা হয়েছে। তাদের সরকারি চাকরি হয় কিভাবে? আমি মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। এ দুনিয়ায় না হলেও আল্লাহর আদালতে এর একদিন বিচার হবে। 

স্বাস্থ্য সহকারী আলামিন সিকদার সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বর্ণিত মামলায় সাজা ও জরিমানার বিষয়ে বলেন, এ মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। মামলা নিস্পত্তির পর চাকরি হয়েছে। তথ্য গোপনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ডিপার্টমেন্ট জেনেশুনে মামলা নিষ্পত্তির পর আমাকে চাকরি দিয়েছে। প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে মিথ্যা রটিয়েছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, আশ্চার্য বিষয়, কি বলেন, হত্যা মামলার আসামির সরকারি চাকরি! অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। 

জেলা সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি তার চাকরি দেইনি। ওই সময়ের সিভিল সার্জনের আমলে তার চাকরি হয়েছে। তবে মামলার কাগজপত্র পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএসএম / জামান

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত

চৌগাছা সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যহত