মধুখালীতে আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত চাষিরা

ফরিদপুরের মধুখালীতে এ বছর উপজেলার বিভিন্ন হাটে কৃষকরা রোপা আমনের চারা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত। তবে গত বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা হতাশ হলেও চারা উৎপাদনকারীরা বেশ খোশ মেজাজে আছেন। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করলেও অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হওয়ায় পযার্প্ত চারা থাকা সত্বেও কৃষক চারা রোপণ করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চলছে কৃষি শ্রমিকের সংকট, শ্রমিকের মজুরি অনেক বেশি দিয়ে কৃষি শ্রমিক নিয়োগ দিতে হচ্ছে। একজন কৃষি শ্রমিকের বেতন প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তারপরও অপেক্ষা করতে হয় কৃষি শ্রমিক পাওয়া জন্য।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বড় দুটি হাট মধুখালী পৌর সদর ও কামারখালী হাটে গত সোমবার চারা সংগ্রহ করতে ভিড় পড়ে গেছে চাষিদের। প্রতি শত এক বোঝা চারার দাম ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এ চারার দাম ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছিল। গত বছরের তুলনায় চারার দাম অনেক বেশি। দুটি হাটে চারার আমদানিও ব্যাপক দেখা যায়। চারা রোপণ করতে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শত শত কৃষক দুটি হাটে চারা সংগ্রহ করতে হাজির হলেও চারার দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়। অনেকে আবার জমি উপযোগী থাকায় তারা বেশি দামেই চারা ক্রয় করছেন।
পৌরসভার গোন্দারদিয়া গ্রামের চাষি আব্দুল হাই বাশী জানান, এ বছর চারার দাম দ্বিগুণ হওয়ায় কৃষক একটু চিন্তা-ভাবনা করছেন। আবার অনেকের পাট কাটা বাকি আছে বা জমিও তৈরি করতে পারেননি। এ কারণে চারা কিনতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের ধান চাষি জুয়েল শেখ জানান, লিজ ও বরগা নিয়ে ১ একর জমিতে ২৮, ৭০০৬, ধানীগোল্ড ও চিনিগুড়া আধুনিক জাতের ধানের চারা রোপণ চলছে। ধানের বীজতলা নিজে করেছি, যে কারণে ধানের চারা ক্রয় করতে হবে না। হাইব্রিড ধানের চারা হওয়ায় আশা করি ফলন ভালো হবে। কৃষি শ্রমিকের সংকট থাকায় নিজেই রোপণ করছি।
মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলভি রহমান জানান, রোপা আমন সাধারণত ভাদ্র মাস পর্যন্ত রোপণ করা হয়। ৯ আগস্ট সোমবার পর্যন্ত ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ইতোমধ্যে রোপা আমনের চারা রোপণ করেছেন চাষিরা। পুরো ভাদ্র মাস আর্থৎ আরো প্রায় এক মাস কৃষক আমান ধানের চারা রোপণ করবেন। তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। নতুন জাতের হাইব্রিড ধানের চারা হওয়ায় দাম একটু বেশি এবং ফলনও বেশি হবে।
চলতি বছর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬৪০ হেক্টর। গত মৌসুমে উপজেলায় মোট রোপা আমন চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৪০০ হেক্টর। চারার দাম বেশি হলেও উচ্চ ফলন হওয়ায় চাষির পুষিয়ে যাবে আশা করি। অন্যান্য বছর উত্তরবঙ্গের কৃষি শ্রমিক এ এলাকায় আসতেন যে কারণে কৃষি শ্রমিক সহজে পাওয়া যেত। এ বছর করোনায় লকডাউনের কারণে কৃষি শ্রমিক আসতে না পারায় সংকট ও চড়া শ্রম মজুরি হয়েছে।
এমএসএম / জামান

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
