প্রতিষ্ঠানে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই: সালমা সুলতানা
নারী উদ্যোক্তা সালমা সুলতানার শৈশব কাল কেটেছে বাকেরগঞ্জের চরাদী ইউনিয়নের বলইকাঠী গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই আশেপাশের গরীব অবহেলিত নির্যাতিত নারীদের দেখে, তাঁদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে জাগে। এরপর একটা সময় শহরে চলে আসেন। পড়াশোনা শেষে একটা সংসার হলো, সময়ের সাথে সাথে ব্যস্ত জীবন কাটতে লাগলো। মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা বাস্তবে পরিণত করার ভাবনা বয়েই চলেছে এই ভাবনা থেকেই সালমা সুলতানা ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পরিবারের সকল বাঁধা বিপত্তির মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম এন বি কালেকশন। শুরুর দিকে সালমা পণ্য কিনে বিক্রী করতেন। কিন্তু এইভাবে তিনি বেশি দিন আটকে ছিলেন না। তাঁর মা, চাচী, বোন ও ভাবীকে নিয়ে সুচিশিল্প থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর জন্য পুতির তৈরি বিভিন্ন রকমের শো পিচ, ছোট-বড় নকশী কাঁথার কাজ শুরু করেন। বাজারে চাহিদা ভালো দেখে আশেপাশের আরো তিন জন নারীকে এ কাজের সাথে সংযুক্ত করেন। তাদের হাত খরচ রোজগারের সুযোগ করে দেন।
সালমা বলেন, ছোট থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবাই আমার কাস্টমার। আমি কাস্টমারের পছন্দসই জিনিস খুব কম সময়ে তাদেরকে পৌঁছাতে পারি। আমার প্রতিষ্ঠানটি বড় করতে চাই যাতে কিছু নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি। অনলাইনে কাজ করতে এসে ইপির মতো এতো বড় একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি ভাবতেই অবাক লাগে। এখানে এসে আমি নিজেকে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় পরিচিত করতে পেরছি। শুধু দেশে নয় দেশের বাহিরেও আমার মত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে মানুষ চিনে এটাই বর পাওয়া।
ইপি আরো শক্তিশালী করা প্রসঙ্গে সালমা বলেন, ইপিকে তৃনমূল পর্যায়ের ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের কে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। সালমা সুলতানার বাবা মোক্তার আলী শিকদার; অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মা রোকসানা বেগম একজন গৃহিণী। স্বামী- মো: কামাল হোসেন ভুমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে এইচএসসি প্রথম বর্ষে ও ছোট মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। ছেলে ৩+ বয়স এখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি। বর্তমান তিনি অক্সফোর্ড মিশন রোড আলতাফ হাউজিং বরিশাল সদরে অবস্থান করছেন।
Sunny / Sunny