ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধীন

মুজিব কিল্লা নির্মাণকাজে ব্যাপক দুর্নীতি, অডিটে শাস্তির সুপারিশ


আবিদ হাসান photo আবিদ হাসান
প্রকাশিত: ২৪-১২-২০২৩ দুপুর ২:১৪

দেশে মুজিব কিল্লা নির্মাণ সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ পাওয়ায় সরকার ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। জাতির পিতার নামে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা দুর্নীতির সীমা ছাড়িয়েছেন যা দুর্ভাগ্যজনক। সংশ্লিষ্টরা কেবল টেন্ডার প্রক্রিয়ার দুর্নীতিতেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের দুর্নীতির গন্ডি প্রকল্প বাস্তবায়নেও ছড়িয়ে পড়ছে। যা সরকারের অডিট রিপোর্টে প্রমানিত হয়েছে।

জানা যায় মুজিব কিল্লা নির্মাণ সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রকল্প কাজের বিশেষ অডিট পরিচালনা করে। ফলে ওই প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। এতে অডিটে অংশনেয়া নিরীক্ষকগণ একটি সুপারিশও পেশ করেন।

এদিকে অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বিস্তারিত নিরীক্ষায় বিল ভাউচার, ড্রয়িং ডিজাইন, টেস্ট রিপোর্ট যাচাইয়ে দেখা যায় যে, ঈধংঃ রহ ঝবঃঁ চরষব এ পাইল সংখ্যা ৮৪টি এবং প্রতিটি পাইল এর দৈর্ঘ্য ৭০ মিটার ধরা হয়েছ। সে অনুযায়ী Cast in Setu Pile  এ concret volume  এর পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৩৭০.৩৩ ঘনমিটার।  প্রতি ঘনমিটার ১৩,৫০০ টাকা হারে ঠিকাদারকে ৪৯,৯৯,৪৮৫ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ট্রেজারী বুলস, এসআর-২৪৯ অনুযায়ী যে পরিমাণ কাজ সম্পাদিত হবে সে পরিমাণ কাজের বিল পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে। Cast in Setu Pile এ পাইল সংখ্যা ও পাইল এর দৈঘ্য অনুযায়ী প্রকৃত কাজের পরিমাণ হয় ৩৫৯.৫২ ঘন মিটার। ফলে concret volume  কাজে Cast in Setu  এর পরিমাণ বেশি দেখিয়ে ঠিকাদারকে ১,৪৫,৯৩৫ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

বিস্তারিত নিরীক্ষায় প্রকল্পের মুজিব কিল্লা নির্মাণের নথিপত্র ও বিল ভাউচার যাচাইকালে দেখা যায় যে, ১৭ টি মুজিব কিল্লার সোলার প্যানেলের কাজ না করা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে ১,৩৪,৬৪,৯৮০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। ২৮/০৪/২০২৩ ২৯/০৪/২০২৩ ও ৩০/০৪/ ২০২৩ তারিখে বাস্তব যাচাইকালে ১৭ টি মুজিব কিল্লার সোলার প্যানেলের কাজ বাস্তবে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ট্রেজারী বুলস অধীনে প্রণিত সাবসিডিয়ারি বুলস এর এসআর-২৪৯ অনুযায়ী যে পরিমাণ কাজ সম্পাদিত হবে সে পরিমাণ কাজের বিল পরিশোধের নির্দেশনা রয়েছে। জিএফআর ১০(৪) মোতাবেক সরকারি অর্থ কোন ব্যক্তি বিশেষের সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হওয়া সমীচীন নয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উক্ত বিধি লঙ্ঘন করে সোলার প্যানেলের কাজ না করা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় ১,৩৪,৬৪,৯৮০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। 

এ বিষয়ে অডিট শেষে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন। সুপারিশে বলা হয়, ‘দায়-দায়িত্ব নির্ধারণপূর্বক দায়ী ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও আপত্তিকৃত টাকা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের চূড়ান্ত বিল হতে কর্তৃন বা সমন্বয় করে প্রমানকসহ জবাব প্রেরণ করা আবশ্যক।’

এমএসএম / এমএসএম

ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট

ভিন্ন মতের শিকার: জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যানের দীর্ঘ প্রশাসনিক দুর্ভোগ

রেলের “র” এর ষড়যন্তকারীরা আবারো সক্রিয়

ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত

দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিআরটিএ’র ৪ কর্মকর্তার সাজা মওকুফে তৎপরতা

নির্বাচন সামনে রেখে সীমান্তে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের চালান

ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট!

৯২৬ টন পণ্যের হদিস নেই কাস্টমসে

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের পাহাড় সমান দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন?

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পে অনিয়মের পাহাড়

সরকার উৎখাতে জড়িত এনবিআর কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি

সড়ক, জনপদ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে মোটরযান পরিদর্শক রাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা হরিলুট