চৌগাছার সলুয়া মুক্তেশ্বরী খালের উপর ব্রিজটি মরণফাঁদ
যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়েচলা মুক্তেশ্বরী খালের উপর সরু ব্রিজটি মরণফাদে পরিনত হয়েছে। ঝুঁকপূর্ণ বাঁকে এই ব্রিজে প্রায় দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা ঝরছে প্রাণ আহত হচ্ছেন অনেকে। ব্রিজের সংযোগ সড়কের পশ্চিমপাশে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন যা আরও ঝুকিপূর্ণ করে তুলেছে। দ্রুতই গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি পুনঃনির্মানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
উপজেলার সলুয়া বাজার হতে একটি সড়ক যেয়ে মিশেছে পাশ্ববর্তী যশোর সদরের কায়েমকোলা বাজারে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির সুলয়া গ্রামের হাশেম মোড় সংলগ্ন ফুরকানিয়া মাদ্রাসার সামনে মুক্তেশ্বরী খালের উপর একটি ব্রিজ আছে। যা অত্যান্ত সরু হওয়ায় ছোটখাটো সব ধরনের যানচলাচল এমনকি পথচারীদের জন্য হয়ে উঠেছে মরণফাঁদ। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে একটি মটরসাইকেল ব্রিজে এসে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পিলায়ে ধাক্কা দেয় এবং চালক ঘটনা স্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এ ছাড়া প্রায় দিনই সেখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সড়কটির মারাত্মক এক বাঁকে ব্রিজটি নির্মান করা হয়েছে এবং যে পরিমান বড় হওয়ার কথা সেটি না হওয়ায় দুর্ঘটনার মুল কারণ। এ ছাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়কের মাটি ধ্বশে খালে পড়ে যাচ্ছে পাকা রাস্তাও হুমকির মুখে পড়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে সব ধরনের যানবাহন ঝঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। অপরিচিত কেউ এখানে এসেই পড়ছেন দুর্ঘটনার কবলে। জরুরী ভিত্তিতে ব্রিজটি পুনঃনির্মান ও সংযোগ সড়ক মেরামত করা না হলে পরিস্থিতি আরও খারেপের দিকে যতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ গোলদার, লিয়াকত তরফদার, ফারুক হোসেন বলেন, মুক্তেশ্বরী এক সময় একটি খর¯্রােতা নদ ছিল। উপজেলার চান্দাগা বিল হতে এর উৎপত্তি এবং সলুয়া, হাউলী, বেড়েলী গ্রাম হয়ে তা পাশে বুকভরা বাওড়ে যেয়ে মিলিত হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে নদ তার যৌবন হারিয়ে এখন খালে পরিনত হয়েছে। খালটির হাশেম মোড়ে বহু আগে একটি ব্রিজ নির্মান করা হয় কিন্তু যা ছিল অপরিকল্পিত। ব্রিজটি যেখানে নির্মান হয়েছে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁক। পূর্বপাশ হতে কোন যানবাহন পশ্চিমে আসতে কিংবা পশ্চিম হতে পূর্বে যেতে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। এছাড়া সরু হওয়ার কারনে দু’পাশ হতে এক সাথে দু’টি বাহন ব্রিজে উঠলে ধাক্কা খায় রেলিং এর সাথে যার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ব্রিজের পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়কের মাটি ধ্বশে পড়ছে খালে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা ওই ভাঙ্গা স্থানে লাল কাপড় ঝুলিয়ে পথচারীদের সতর্ক করছেন। দ্রুত ব্রিজটি নির্মান করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশংকরা করছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয় ফুরকানিয়া মাদ্রসার হুজুর আব্দুল আওয়াল বলেন, চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্রিজ এলাকা। সম্প্রতি কায়েমকোলা দিক হতে ছেড়ে আসা একটি টলি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মাদ্রসার জমিনে ছিটকে পড়ে, তবে বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। মটরসাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইকসহ সব ধরনের যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। ভ্যান চালক হযরত আলী, ইজিবাইক চালক সুমন মিয়া, পথচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, ঝঁকিপূর্ণ বাঁকে সরু ব্রিজ হওয়ায় সকলকে বিপদে পড়তে হচ্ছে। একটি বাহন ব্রিজে উঠলে অপরটি তা সাইড দিতে পাারছে না। কিছুটা গতি নিয়ে চলা যে কোন বাহন এখানে এসে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলছে অপরিচিতদের ক্ষেত্রে তা বেশি ঘটছে।সংশ্লিষ্ঠ ওয়র্ডের ইউপি সদস্য মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, চরম ঝুঁকিপূর্ণ একটি স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এই ব্রিজ। প্রতি দিনই কোন না দুর্ঘটনা লেগেই আছে। বিষয়টি আমি দ্রুতই সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়েচলা মুক্তেশ্বরী খালের উপর সরু ব্রিজটি মরণফাদে পরিনত হয়েছে। ঝুঁকপূর্ণ বাঁকে এই ব্রিজে প্রায় দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা ঝরছে প্রাণ আহত হচ্ছেন অনেকে। ব্রিজের সংযোগ সড়কের পশ্চিমপাশে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন যা আরও ঝুকিপূর্ণ করে তুলেছে। দ্রুতই গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি পুনঃনির্মানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
উপজেলার সলুয়া বাজার হতে একটি সড়ক যেয়ে মিশেছে পাশ্ববর্তী যশোর সদরের কায়েমকোলা বাজারে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির সুলয়া গ্রামের হাশেম মোড় সংলগ্ন ফুরকানিয়া মাদ্রাসার সামনে মুক্তেশ্বরী খালের উপর একটি ব্রিজ আছে। যা অত্যান্ত সরু হওয়ায় ছোটখাটো সব ধরনের যানচলাচল এমনকি পথচারীদের জন্য হয়ে উঠেছে মরণফাঁদ। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে একটি মটরসাইকেল ব্রিজে এসে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পিলায়ে ধাক্কা দেয় এবং চালক ঘটনা স্থলে মৃত্যুবরণ করেন। এ ছাড়া প্রায় দিনই সেখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সড়কটির মারাত্মক এক বাঁকে ব্রিজটি নির্মান করা হয়েছে এবং যে পরিমান বড় হওয়ার কথা সেটি না হওয়ায় দুর্ঘটনার মুল কারণ। এ ছাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়কের মাটি ধ্বশে খালে পড়ে যাচ্ছে পাকা রাস্তাও হুমকির মুখে পড়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে সব ধরনের যানবাহন ঝঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। অপরিচিত কেউ এখানে এসেই পড়ছেন দুর্ঘটনার কবলে। জরুরী ভিত্তিতে ব্রিজটি পুনঃনির্মান ও সংযোগ সড়ক মেরামত করা না হলে পরিস্থিতি আরও খারেপের দিকে যতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল্লাহ গোলদার, লিয়াকত তরফদার, ফারুক হোসেন বলেন, মুক্তেশ্বরী এক সময় একটি খর¯্রােতা নদ ছিল। উপজেলার চান্দাগা বিল হতে এর উৎপত্তি এবং সলুয়া, হাউলী, বেড়েলী গ্রাম হয়ে তা পাশে বুকভরা বাওড়ে যেয়ে মিলিত হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে নদ তার যৌবন হারিয়ে এখন খালে পরিনত হয়েছে। খালটির হাশেম মোড়ে বহু আগে একটি ব্রিজ নির্মান করা হয় কিন্তু যা ছিল অপরিকল্পিত। ব্রিজটি যেখানে নির্মান হয়েছে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁক। পূর্বপাশ হতে কোন যানবাহন পশ্চিমে আসতে কিংবা পশ্চিম হতে পূর্বে যেতে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। এছাড়া সরু হওয়ার কারনে দু’পাশ হতে এক সাথে দু’টি বাহন ব্রিজে উঠলে ধাক্কা খায় রেলিং এর সাথে যার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি ব্রিজের পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়কের মাটি ধ্বশে পড়ছে খালে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা ওই ভাঙ্গা স্থানে লাল কাপড় ঝুলিয়ে পথচারীদের সতর্ক করছেন। দ্রুত ব্রিজটি নির্মান করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশংকরা করছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয় ফুরকানিয়া মাদ্রসার হুজুর আব্দুল আওয়াল বলেন, চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্রিজ এলাকা। সম্প্রতি কায়েমকোলা দিক হতে ছেড়ে আসা একটি টলি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মাদ্রসার জমিনে ছিটকে পড়ে, তবে বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি। মটরসাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইকসহ সব ধরনের যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। ভ্যান চালক হযরত আলী, ইজিবাইক চালক সুমন মিয়া, পথচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, ঝঁকিপূর্ণ বাঁকে সরু ব্রিজ হওয়ায় সকলকে বিপদে পড়তে হচ্ছে। একটি বাহন ব্রিজে উঠলে অপরটি তা সাইড দিতে পাারছে না। কিছুটা গতি নিয়ে চলা যে কোন বাহন এখানে এসে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলছে অপরিচিতদের ক্ষেত্রে তা বেশি ঘটছে।
সংশ্লিষ্ঠ ওয়র্ডের ইউপি সদস্য মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, চরম ঝুঁকিপূর্ণ একটি স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এই ব্রিজ। প্রতি দিনই কোন না দুর্ঘটনা লেগেই আছে। বিষয়টি আমি দ্রুতই সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
এমএসএম / এমএসএম