সেতু না থাকায় ২২ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলাধীন ঘাগড়া ইউনিয়নের বাইনজা ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের রঘুরামপুর ঘাটে কোনো সেতু নেই। যুগের পর যুগ এই ঘাটে নৌকা দিয়ে স্থানীয় লোকজন পারাপার হন। বর্ষা মৌসুমে পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিশু,বৃদ্ধ সহ সকল বয়সের পথচারী । ফলে ধোবাউড়া ও পূর্বধলা উপজেলার অন্তত ২২ গ্রামের মানুষের ভোগান্তির নাম এই বাইঞ্জা- রঘুরামপুর খেয়াঘাট।
দুই উপজেলার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কংশ নদের ওপর ঘাটটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেভাবে গুরুত্ব দেন না। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষও সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। তাদের ধারণা, জনপ্রতিনিধিদের ঠেলাঠেলি আর প্রশাসনের গাফিলতির জন্য ওই ঘাটে সেতু নির্মাণ হচ্ছে না।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাগড়া ইউনিয়নের একদম পশ্চিমে বাইনজা ও গোয়াতলা ইউনিয়নের পূর্বে শেষ গ্রাম রঘুরামপুর। ঘাটের এক প্রান্তে রয়েছে পিচঢালা পথ আর অন্য প্রান্তে রয়েছে কিছু কাঁচা রাস্তা । ঘাটের আশপাশের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই পিচঢালা পথই গোয়াতলা থেকে পূর্বধলা যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু ঘাটে সেতু না থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বর্ষা মৌসুমের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস নদীতে পানি বেশি থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাইতে বিপাকে পড়তে হয়। আর ঝড়-তুফানে তো যোগাযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে যায় ।
ঘাগড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রাইসুল ইসলাম পেশায় কাঁঠালকুশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক। তিনি বলেন, আমার সব সময় এই নদ পার হয়ে যাইতে হয় স্কুলে অনেক সময় পরে গিয়ে কাপড় কাদায় নষ্ট হয়ে যায়। তবে এখানে যদি একটি সেতু হতো দুই পাড়ের মানুষের অনেক উপকার হতো। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই দ্রুত সেতু নির্মাণ করার জন্য।
ঘাগড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা চৌরাস্তা বাজারের মেশিনারিজ ব্যবসায়ী মো.সুহেল বলেন, আমাদের এই নদ পার হয়ে ব্যবসার কাজে ফুলপুর উপজেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাইতে হয়। এছাড়াও নদের অপর পাড়ে বড় বাজার গোয়াতলা যা দুই উপজেলার জন্য প্রসিদ্ধ গরুর বাজার। অনেকে গরু কিনতে ও বেচতে গিয়ে আনা-নেওয়ার সময় নদে পরে হাত পা ভেঙ্গে গেছে। এখানে সেতুটি হলে দুই উপজেলা সহ আশেপাশের কয়েক উপজেলার মানুষের ব্যবসায় যাতায়াত ভাড়া কমবে,অন্যদিকে সাধারন মানুষের অনেক উপকার হবে।
রঘুরামপুরের গ্রামের পথচারী আব্দুল মান্নান বলেন, আমার বয়স প্রায় (৬০) নদ পার ঘাগড়া বাজারে যাইতে হয় সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন। আমি বুড়া মানুষ এখন নৌকা দিয়ে নদ পার হইলে ভয় লাগে। খালি সবাই কয় এইনে ব্রিজ হইবো,আবার কেউ কেউ কয় টেন্ডার হইছে কয়েক দিন পর কাজ ধরবো। আমি বাঁচিয়া থাকতে থাকতে দেখবার পাইয়াম কিনা উপর ওয়ালাই জানেন।
ঘাগড়া গিরিয়াসা গ্রামের আরেক বাসিন্দা শেখ ফরিদ বলেন, রঘুরামপুর বাজারে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বাচ্চাদের স্কুলে যেতে এই ঘাট পার হতে হয়। সেতুর জন্য মানুষ বিয়াও দিতে চায় না ঐপাড়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে না।
গোয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাকিরুল ইসলাম তালুকদার টুটন বলেন, দুই জেলার দুই উপজেলা হওয়ার কারনে এই ভাবে যোগাযোগ হয়ে উঠেনা। আদৌ এখানে সেতু হবে কি না জানা নেই। দুই উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি সেতু। বিশেষ করে এখানে সেতু হলে ঘাগড়া ইউনিয়নের মানুষ এই নদ পার হয়ে সহজে ময়মনসিংহ শহরে যাতায়াত করতে পারতো আর গোয়াতলা সহ আশেপাশের ইউনিয়নের মানুষ জারিয়া রেল স্টেশন গিয়ে সহজে রেলে চলাচল করতে পারতো। অর্থাৎ দুই উপজেলার দুই পাড়ের মানুষের একটা সেতুঁ বন্ধন হতো।
ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ.কে.এম মাজহারুল ইসলাম রানা বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করছি, তিনি বলছেন আমাদের এমপি মহোদয় কে জানাবেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন। তবে এখানে একটি সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের অনেক উপকার হবে। বিশেষ করে ধোবাউড়ার গোয়াতলা বাজার এই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার। এই বাজারে আমার ইউনিয়নের মানুষ সহ আশে পাশের মানুষের যাতায়াত করে বেশি। সেতুটি হলে দুই পাড়ের মানুষের জন্য বন্ধন আরো জোড়ালো হবে।
পূর্বধলা এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মো.সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, এই সেতুর কোন খবর নেই , এখন পর্যন্ত ওই স্থানে সেতু নির্মাণের বিষয়ে কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়নি। তবে স্থানীয় জন সাধারণের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে সেতুর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
এমএসএম / এমএসএম
যথাযথ মর্যাদায় বোদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
পাবিপ্রবিতে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি, নিজেদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা
যথাযথ মর্যাদায় পাবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
আত্রাইয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা
রৌমারীতে ১৬ ডিসেম্বর ৫৫তম মহান বিজয় দিবস পালিত
বিজয় দিবসে শহিদদের প্রতি জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা - তাসভীর উল ইসলাম
শেরপুরের গারো পাহাড়ে ভিডিও করতে গিয়ে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু
রাজস্থলী তে যথামর্যাদায় নানা আয়োজনের মহান বিজয় দিবস পালিত
নাঙ্গলকোট রায়কোট উত্তরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া
পাঁচবিবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত
চাঁদপুরে শহিদদের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন