ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

ডাক্তার নার্স ছাড়াই চলছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার, ডেন্টাল কেয়ার


মাইনুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ photo মাইনুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৯-২-২০২৪ বিকাল ৬:১

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ও উপজেলার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে প্রায় ২ ডজনের মতো ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার  ও ডেন্টাল কেয়ার। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১৮ টি ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের। এসব প্রতিষ্ঠানে টাকার জন্য রোগীকে হয়রানি করা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান নিয়ে অভিযোগ হরহামেশা। এছাড়াও এই উপজেলায় ডেন্টাল কেয়ারের নামে প্রায় ৩০ টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আর এসব ডেন্টাল কেয়ারের অধিকাংশ ডাক্তারদের নেই কোন সার্টিফিকেট। আর এসব প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা নিতে এসে ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেক রোগীরা। 

ভুক্তভোগী কলসকাঠী ইউনিয়নের সাদিশ আমতলী গ্রামের বাসিন্দা মো: এসকান্দার হাওলাদারের পুত্র বধু লাবনী আক্তার জানান, বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি মর্ডান ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দেয়ার দীর্ঘদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। 

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মডার্ন ক্লিনিক ডায়গনস্টিক সেন্টারে থাকা অনভিজ্ঞ অদক্ষ চিকিৎসক দ্বারা লাবনী আক্তারকে সিজার করা হয়। সিজার করার ৩ দিন পরে লাবনীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ক্লিনিকের ধার্য করা সময়ে তার পেটের অপারেশনের সেলাই না শুকাইলে ক্রমস অসুস্থ হয়ে পড়লে লাবনী পুনরায় মডার্ন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসলে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পুনরায় পেটের সেলাই দিতে হবে বলে ৪ হাজার নেয়। পুনরায় সেলাই দেয়ার পরে লাবনীর শারীরিক অবস্থা আরো শংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় বরিশাল ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা প্রদান করা হয়। মডার্ন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা করাতে গিয়ে লাবনীর পরিবারের প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে। 

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ভরপাশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের খেজুরা ভরপাশা গ্রামের জলিল আকনের স্ত্রী
চিকিৎসা নিতে যান মডার্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তখন তার থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জরায়ু অপারেশন করা হলে তার সেলাই স্থানে ইনফেকশন দেখা দিলে দীর্ঘদিন ক্লিনিকে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়। এবং তাকেও দ্বিতীয়বার লোকাল অপারেশন করতে হয়েছে। সেখানেও তার থেকে ৪ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা দিন অবস্থায় রয়েছে এখন পর্যন্ত তিনিও সুস্থ হয়নি। 

সরেজেমিন ঘুরে ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবাসিক ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ার গুলোতে নিজস্ব কোনো আবাসিক  চিকিৎসক, নার্স প্যাথলজিস্ট বা টেকনিশিয়ান নেই। ক্লিনিক গুলোতে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারেরা চেম্বার বানিয়ে রোগী দেখেন। কোন রোগী ডাক্তারদের কাছে গেলেই প্রয়োজনের বাহিরেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে টেস্ট বাণিজ্য করে থাকেন। ডিএমএফ ডাক্তার দিয়ে এইসব ক্লিনিক চলে আসছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতষ্ঠিানগুলো অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন রোগীরা। 

এ বিষয়ে বরিশাল সিভিল সার্জন ডাক্তার মারিয়া হাসান জানান, আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে মডার্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মুসা খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এরকম অনেক রোগীর এখানে সমস্যা হয়েছে। কি কারনে সমস্যা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাজার রকম কারণ থাকতে পারে।

এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

মেঘনায় স্পিডবোট ডুবি, অক্ষত উদ্ধার ২৮ যাত্রী

বিয়ানীবাজারে প্রবাসী জামায়াত কর্মীকে হত্যার হুমকি

ত্রিশালে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে কাব কার্নিভাল ২০২৫ এর উদ্বোধন

বারইয়ারহাটে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বাঘায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক ৫

সিংগাইরে শ্রেষ্ঠ ওসি তৌফিক আজম, ওয়ারেন্ট তামিলে এএসআই জলিল পুরস্কৃত

চুয়াডাঙ্গায় কেরুজ পুকুরে বিদ্যুতায়িত জিআই তারে কৃষকের মৃত্যু

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

কুতুবদিয়ায় তিন দিনে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

রাজশাহীতে দিনব্যাপী সুজুকি বাইকার্স ডে অনুষ্ঠিত