দুর্গাপুরে আবাসনের ঘর গুলো বসবাসের অযোগ্য

ঘরের টিনের চাল গুলো মরিচা ধরে গেছে, সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। ঘরের চারপাশের বেড়া ও দরজা-জানালাগুলো ভাঙাচোরা। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে ঘরের চালে দেয়া হয়েছে পলিথিন ও কম্বলের ছাউনি। একই অবস্থা শৌচাগারের। গেলো শীতে খুবই কষ্টে ছিলেন উপকারভোগীরা। জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকার দুইটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো।
প্রায় এক যুগ ধরে মেরামত না করায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলোর এই করুণ দশা। ফলে বাসিন্দাদের কষ্টে দিন কাটছে। বাসিন্দাদের দাবি, এবারের বর্ষার আগেই ঘরগুলো মেরামত করে দিলে তারা নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবেন।
অফিস সুত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় খাসজমির ওপর ২০০৮ সালে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র ৪৫০ পরিবারের জন্য নির্মিত হয় "সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্প"। পরবর্তীতে ২০১১ সালে আরো ২০০ পরিবারের জন্য "দক্ষিণপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প" নির্মিত হয়। সে ঘর গুলোতে বসবাস শুরু করে ছিন্নমুল পরিবারগুলো। এরপরে গত এক যুগের মাঝে ঘরগুলো কোনো প্রকার মেরামত না করার ফলে দিনে দিনে নষ্ট হচ্ছে ওই ঘরগুলো। বর্তমানে সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় সবগুলো ঘরই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সব সময় আতঙ্কে থাকছেন ছিন্নমুল মানুষ গুলো।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি টিনের ঘর। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে পৃথক কক্ষ। তবে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের টিনের বেড়া ও চাল। কিছু ঘরে চাল একদমই নেই। কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে কাঠামো। এসব ঘরে কোনো মানুষও নেই। বাকি জরাজীর্ণ ঘরে বাস করছে পরিবারগুলো। প্রকল্পের সামনে পৌঁছাতেই ছুটে আসেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা জানান, বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়ে। তাই চালের উপরে পলিথিন বা কম্বল দিয়ে কোন রকমে বসবাস করছেন তারা।
উপকারভোগীরা আরও বলেন, আবাসনের প্রায় সবগুলো পানির টিউবওয়েল বিকল হয়ে পড়েছে। নিজেদের উদ্যোগে বেশ কিছু টিউবওয়েল বসালেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানান তারা। পরিবারগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে শৌচাগার ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই প্রতিটি পরিবারকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী আলামিন মিয়া, হারেজ মিয়া, আব্দুল জলিল, রহিমা খাতুন ও আমিনুল ইসলাম বলেন, তাদের ঘরগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। চালে জং ধরে টিন নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই সেগুলো দিয়ে পানি পড়ে। দরজা-জানালা গুলো ভেঙে গেছে। নির্মাণের পর ঘরগুলো কোন মেরামত করা হয়নি। এ কারণে ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা গরিব মানুষ বলে ব্যবহারের অনুপযোগী জেনেও অবহেলায় পড়ে আছি এই ঘর গুলোতে।
এ নিয়ে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মতিউর রহমান বলেন, মাননীয় এমপি মোস্তাক আহমেদ রুহী মহোদয়ের হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল ছিন্নমূল মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই। তিনি এমপি থাকাকালীন সময়ে এইগুলোর প্রতি যত্ন ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের পরে এইগুলোর কোন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে ঘরগুলোর খুবই বেহাল দশা। এনিয়ে এমপি মহোদয়ের কাছে জানাবো, মানুষের কষ্ট লাঘবে আশা করছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম. রকিবুল হাসান বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন এসেছি। তবে বিষয়টি সত্যি দুঃখজনক। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যতটুকু সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম

আদমদীঘিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মতি গুরুতর আহত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ৩ দফা দাবী বাস্তবায়ন ও শিক্ষকদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে বিশ্ব হাত ধোঁয়া দিবস ২০২৫ পালিত

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় করণীয় নির্ধারণ

বাংলাদেশের ৩য় শহর হিসেবে জয়পুরহাটে স্টারলিংক ইন্টারনেট এর উদ্বোধন

মাদারীপুরে পিআরসহ পাঁচ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ১৩ বিডিআর জোয়ান

মানিকগঞ্জে ব্র্যাকের স্বপ্নসারথি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন

গোদাগাড়ীতে বাড়ী দখল করে ভাঙচুর ও প্রাণনাশের হুমকি

হৃদয়বিদারক সমাপ্তি উন্নত চিকিৎসার আগেই চলে গেলেন অসহায় শহিদ মিয়া

কুমিল্লা সীমান্তে পৌনে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

আটপাড়ায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
