ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভ্রাম্যমাণ দোকানের কারণে বেচাকেনা কমেছে জরুন বাজারে


মোখলেছুর রহমান, কোনাবাড়ী photo মোখলেছুর রহমান, কোনাবাড়ী
প্রকাশিত: ৯-৩-২০২৪ বিকাল ৫:৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন এর কোনাবাড়ী এলাকায় ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকানের কারণে জরুন বাজারে বেচাকেনা কমেছে। এখন আর আগের মতো কেনাবেচা নাই বললেই চলে। দীর্ঘ ৪০ বছর আগের এই বাজারে দোকানীরা এখন অলস সময় পার করেন। কেনাবেচা না হওয়ার কারণে অনেকেই দোকান ছেড়ে চলে গেছেন। 

বিগত ৫ থেকে ৭ বছর আগেও জরুন বাজারে সবুজ কানন,এনায়েতপুর, কুদ্দুছ নগর,পেয়ারা বাগান, নয়াপাড়াসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজার করতো আসতো সাধারণ মানুষ । কিন্তু ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান হওয়ার কারণে এখন আর আসেনা। 

জরুন বাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বর্তমানে তারা আগের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগও বেচাকেনা করতে পারেননা। মাস শেষে তাদের দোকান ভাড়া দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের দাবী ফুটপাতে ভ্রাম্যমান দোকান বসার কারণে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। অন্য দিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জরুন বাজার ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়টি নিয়ে তারা এর আগে থানায়ও লিখিত একটি অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু ফুটপাত থেকে ভ্রাম্যমান দোকান সরানোর বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। 

কাঁচাবাজার দোকানী হারুন শেখ বলেন,এই বিটে জামানত বাবদ দেড় লাখ টাকা জমা দেওয়া আছে। প্রতিমাসে ভাড়া ৬ হাজার টাকা করে দিতে হয়। এখন আর আগের মতো বেচাকেনা হয়না। অনেক কষ্টে চলছি, না পারছি ব্যবসা ছাড়তে, না পারছি করতে। জিনিস পত্রের দামও বেশি। 

শুটকির দোকানদার মামুনুর রশীদ বলেন, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর এবং জরুন অঞ্চলটি শিল্প অঞ্চল হওয়ায় এখানে গার্মেন্টস শ্রমিক বেশি। তারা অফিস ছুটি শেষে ফুটপাত থেকে বাজার করে বাসায় চলে যায়। তারা আর বাজারে আসেনা। কিন্তু আগে যখন ফুটপাতে দোকান ছিলনা তখন তারা অফিস ছুটি শেষে বাজারে আসতো। তিনি বলেন,কি একটা অবস্থা? ফুটপাতে এখন শুঁটকি ও বিক্রি করে। 

জরুন বাজার মার্কেট এর সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন আকন্দ বলেন,২৪ বছর ধরে এই মার্কেটে দোকান দিয়ে ব্যবসা করছি। কিন্তু এখন আর পারছিনা। আগামী মাস থেকে দোকান ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, একটি মার্কেটে কাঁচাবাজর ও মাছ বাজার মূল ভূমিকা পালন করে। মাছ এবং কাঁচাবাজারে ক্রেতা আসলে মুদি দোকানীরা বেচাকেনা করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারেই বেচাকেনায় ধস নেমেছে। আমাদের মতো মুদি দোকানিদের অবস্থা আরো করুন। 

জরুন বাজার মার্কেট মালিক সাবেক কাউন্সিলর  মোঃ হুমায়ূন কবির খান বলেন,দীর্ঘ ৪০ বছর আগের এই মার্কেটিতে এখন শুনশান নিরবতা লক্ষ করা যায়। বিগত ৫ থেকে ৭ বছর ধরে এই অবস্থা।  বেচাকেনা না হওয়ার কারণে অনেকেই দোকান ছেড়ে চলে গেছে। তিনি বলেন,ফুটপাতের ভ্রাম্যমান
দোকান গুলো যদি বন্ধ করা যেতে তাহলে আবারও জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠবে জরুন বাজার। 

এমএসএম / এমএসএম

সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

দুমকিতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

কাহালুতে জনতার হাতে ৫ ডাকাত আটক

গজারিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৩

পাঁচবিবি রেলওয়ে প্লাটফর্ম বর্ধিত করণ শুধুই আশ্বাস আন্তঃনগর ট্রেনে উঠা নামায় যাত্রীদের দূর্ভোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

মুকসুদপুরে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পোনা জাতীয় মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে

জরার্জীণ মহেশখালী আদালত ভবন,ভাড়া কক্ষে চলছে বিচারকার্য

নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে শিক্ষার্থীর অশালীন ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন ও উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক

মোরেলগঞ্জে ৩ সাংবাদিককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মামলা দায়ের

শৈলকুপায় দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর, মানসিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ আটক