পোস্ট অফিস নয় এযেনো পরিত্যক্ত টিনের ঘর, নেই ডিজিটালের কোন ছোঁয়া
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির এ যুগেও পোস্ট অফিসের প্রয়োজনীয়তা ফুরোয়নি। এখনও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। সরকারও পোস্ট অফিসের আধুনিকায়নে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পোস্ট অফিস গুলোকে ডিজিটাল ই-সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণ ডিজিটাল ডাক সেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। ই-সেন্টার গুলোতে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে যুব সমাজের বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে।
এর ব্যতিক্রম হচ্ছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের হাটকৃষ্ণপুর সাবপোস্ট অফিস। সেখানে আধুনিকায়ন তো দূরের কথা,পুরোনো পদ্ধতিতে ও কাজ চালানো দুস্কর হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ টিনের একটি চৌচালা ঘরে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। এ ছাড়া চার দিকে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে যেতে হয় পোস্ট অফিসে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা হলেও সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, হাটকৃষ্ণপুর সাবপোস্ট অফিসটি ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন মাসিক ৫০০ টাকায় মাটি ভাড়া নিয়ে চৌচালা টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর আর সেটি সংস্কার করা হয়নি। নির্মাণ করা হয়নি কোনো নতুন ভবনও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চৌচালা টিনের ঘরটির বারান্দার চালা ভেঙে ঝুলে আছে। বেড়ার ও চালার টিনে মরিচা ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই চালা দিয়ে পানি পড়ে সবকিছু ভিজে যায়। কাগজপত্র রাখতে হয় পলিথিনে ঢেকে। দরজা-জানালা ভাঙা। রয়েছে নিরাপত্তারও সমস্যা। যেকোনো সময় ঘরটি ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন কর্মরত ১৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এ ছাড়া অফিসের চারপাশ ময়লা-আবর্জনায় ভরা। মানুষ যখন তখন সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করে। পাশের শৌচাগার ও ঢাকনা বিহীন নালা থেকে দুর্গন্ধ আসে। ফলে নাকে রুমাল চেপে যেতে হয় পোস্ট অফিসে। দেখে মনে হয় পরিত্যক্ত টিনের ঘর পড়ে আছে। অথচ সেখানেই বছরের পর বছর ধরে চলছে কার্যক্রম।
আজগর হোসেন ফকির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল যুগের জিনিসপত্র চলে আসছে এখন আর পোস্ট অফিসে যেতে হয় না। তাছাড়া পোস্ট অফিসের যে অবস্থা তাতে মানুষ খুব বেশি দরকার বা ঠেকায় না পড়লে সেখানে যায় না।
পোস্ট মাস্টার আক্তারুজ্জামান মিয়া বলেন, অফিসের অবস্থা খুবই খারাপ। খুব কষ্ট করে চাকরির স্বার্থে আমরা এখানে দায়িত্ব পালন করছি। এখানে সুস্থ মানুষ এলে দুর্গন্ধে বা এখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অসুস্থ হয়ে যাবে। কোনো স্বাভাবিক মানুষ কাজ করতে পারবে না।কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান তিতাস বলেন, কোনো কাজে পোস্ট অফিসে গেলে ভয়ে থাকতে হয়, কখন ঘরটি ভেঙে মাথায় পড়ে। জীবনের ঝুকি নিয়ে এখানে কেউ সেবা নিতে আসতে চায় না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আতঙ্কে থাকেন। দ্রুত ঘরটি ভেঙে আধুনিক ভবন নির্মাণ করে পোস্ট অফিসটি ডিজিটাল ও ই-সেন্টারে পরিণত করার দাবি জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে ফরিদপুর ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল তরিকুল ইসলাম জানান কৃষ্ণপুর সাব পোস্ট অফিসের নিজস্ব জায়গা নেই। শুরু থেকেই জায়গা ভাড়া নিয়ে টিনের ঘর নির্মাণ করে কার্যক্রম চলছে। তাই নতুন ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তাদের অনুমতি পেলেই জারাজীর্ণ ঘরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম
৩২ ঘণ্টা পর গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার
চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট বাচ্চুকে শুভেচ্ছা জানালেন জিয়া মঞ্চ সিরাজগঞ্জ সদর থানার নেতৃবৃন্দ
শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: জরিমানা আদায় ও ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ
কোটালীপাড়ায় সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ, তদন্তে এসে তোপের মুখে শিক্ষা কর্মকর্তারা
দেশ নায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফায় কৃষকের উন্নয়ন স্পষ্ট—হাজী ইয়াছিন
মধুখালীতে ভোটকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে, শালিখা'র বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ
বান্দরবানে অবৈধ কাঠ ডিপো ও চেরাই মিলে সেনাবাহিনীর অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ কাঠ জব্দ.
বারহাট্টার সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি প্রার্থী ডাঃ আনোয়ারুল হকের মতবিনিময়
টাঙ্গাইলে হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটির উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন
কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত