শেরপুরের ভবানীপুর হাট যেন দুর্নীতি আর অনিয়মের আঁতুড়ঘর
এ যেন বেড়ায় ক্ষেত খাওয়ার দশা। খাজনা আদায়ের পাশাপাশি যে ইজারাদারের দায়িত্ব ছিল সরকারি হাটের জায়গার অবৈধ দখলমুক্ত রাখা, সেই ইজারাদারই প্রায় অর্ধশত পাকা দোকান ঘর তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর হাটের সরকারি জায়গায় অনুমতি ছাড়াই অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে দোকান ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর হাটের।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) থেকে শুরু করে সোমবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত চার দিন সরেজমিনে যেয়ে পাওয়া যায়, শেরপুরের প্রত্যন্ত এলাকা ভবানীপুর হাটের উন্মুক্ত জায়গা দখল নিয়ে দুটি সেডের নিচে ২৪টি সেমি পাকা টিনশেড দোকান ঘর নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। জানা গেছে এখনও কাজ চলমান। উক্ত ইউনিয়নের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান এই নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা এবং কর্মরত রাজমিস্ত্রিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঞ্চিত ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রভাবশালী চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতাবলে তার নিজস্ব লোক দিয়ে টাকা নিয়ে কতিপয় ব্যবসায়ীকে ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। তাতে ওই স্থানে ব্যবসা করছিলো আমার মতো এমন অনেকেই দোকানঘর বরাদ্ধ পায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, হাটের একটি অংশের একজন সাব-ইজারাদার জানান এবং দোকান ঘর বঞ্চিত ব্যবসায়ীরা জানান ২৪টি দোকান ঘরের পজেশন বাবদ কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্য করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। এরপর পজেশন ক্রেতারা নিজেদের খরচে নির্মাণ করছে এই দোকানঘরগুলো। চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি এতটাই প্রভাবশালী যে, এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকান ঘরগুলো উপজেলা পরিষদের হাটবাজার উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে করা হচ্ছে। অপরদিকে উপজেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে, ২৪টি দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোছা. শামসুন্নাহার শিউলি জানান এটি আমার জানামতে কোন প্রকল্পের ভেতরে নেই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার জুলহাস জানান ভবানীপুর হাটে দুটি প্রকল্প রয়েছে একটি এলজিইডি'র ভবন নির্মাণ আরেকটি ওপেন সেড। টিনশেডের নতুন দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়টি আমার প্রকল্পের মধ্যে নয়। জানতে চাইলে ভবানীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আমি নিজে এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)এস এম রেজাউল করিম নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য চেয়ারম্যানকে বললেও কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)এস এম রেজাউল করিম বলেন দোকান ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ চলছে বলে আমার জানা নেই আমি খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী বলেন, হাটের জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে ভবানীপুর হাট আমি অপদখলমুক্ত করতে চাই। অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নেব। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, এমন বিষয় আমার জানা নেই আমি এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এমএসএম / এমএসএম
রাজনীতি আমার পেশা না,আমি মানুষের কল্যাণে পাশে থাকার সুযোগ চাইঃ ড.আতিক মুজাহিদ
চুপ্পু থেকে যদি জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিতে হয় এরচেয়ে ভালো পানিতে ডুবে মরা: হাসনাত আব্দুল্লাহ
সিইউএফএল সার কারখানায় উৎপাদন শুরুর ১২ ঘন্টা পর ফের বন্ধ
চুয়াডাঙ্গায় অনেক বাড়ি বিক্রি হয়েছে কেউ দিয়েছেন ভাড়ায়
জুড়ীতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন
ধোপাছড়িতে ইউএনও'র প্রচেষ্টায় মেরামত হচ্ছে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি
কুতুবদিয়ায় বনভূমি বিলীন ও বেদখলে, লবণ মাঠে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
মান্দায় ভূয়া প্রকল্পের নামে অর্থ হরিলুটের অভিযোগ
পাবনায় প্রিপেইড মিটার সরবরাহ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত
বাউফলে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকী; থানায় অভিযোগ
তুলশীখালী ও মরিচা সেতুর ইজারা বন্ধে ডিসিকে চিঠি দিয়েছে নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি
বড়লেখায় র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার পলাতক আসামী সুনাম গ্রেফতার