ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

খাস কালেকশনের নামে চসিকের কোটি টাকা লোপাট


এসএম পিন্টু, চট্টগ্রাম ব্যুরো photo এসএম পিন্টু, চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ২৪-৪-২০২৪ দুপুর ৩:৩৬

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মালিকানাধিন পতেঙ্গা ১৫ নং ঘাটের ১৪৩০ বাংলা সনের ইজারা মূল্য ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর সাথে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর যোগ করে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। পরবর্তী বছরের জন্য এর সাথে ১০ শতাংশ যোগ করলে রাজস্বের আদায়ের পরিমান হতো ৩ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর বাইরে ইজারাদারেরা লোকজন খাটিয়ে তাদেও বেতন পরিশোধ করে ভালো লাভও করত। কিন্তু আইনি জটিলতায় নিজেরা খাস কালেকশন করতে গিয়ে এই রাজস্ব আদায়ের পরিমান দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৩২ হাজার, টাকা যা বছরে ১ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার সমান। আব্দু শুক্কুর প্রকাশ তেল শুক্কুর নামের এক ব্যক্তি চসিক কর্মকর্তাদের সহায়তায় ঘাটটি নিয়ন্ত্রণ করছে।  লিগ্যাল ইজারা মূল্যের থেকে ২ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। চসিকের ২০ টি ঘাটের মধ্যে এটি একটার হিসাব। অর্থাৎ বছরে প্রায় প্রতিটি ঘাট থেকে কালেকশন আসছে মাত্র ৩০ শতাংশ বাকি ৭০ শতাংশ লুটেপুটে খাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল ও চসিকের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তার সিন্ডিকেট। 
তথ্য সুত্রে জানা যায়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট (১৫১৬৩/২৩) পিটিশনের কারণে এবার বাংলা ১৪৩১ সনে চসিক নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটসমূহ ইজারা স্থগিত রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কপাল খুলছে চসিকের একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্যদের।

এতে অভয়মিত্র ঘাটের খাস কালেকশনকারী মো. আবুল জানান, দৈনিক ২ হাজার টাকা মজুরীতে তিনি অভয়মিত্র ঘাট নিয়েছেন। বাংলাবাজার ঘাটের লোকমান দয়াল বলেন, দৈনিক সাড়ে ৫ হাজার টাকায় তিনি বাংলাবাজার ঘাট দেখাশোনা করছেন। 

শুধু ১৫ নং ঘাটই নয় এমন ২০ টি ঘাট রয়েছে চসিকের অধিনে। প্রতিটি ঘাটেই এমন অনিয়মের মাধ্যমে রাজস্বের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।   

জানা যায়, চসিকের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাটসমূহ হলো-পতেঙ্গা ১৫ নং ঘাট, সল্টগোলা ঘাট, বাংলাবাজার ঘাট, নয়ারাস্তা পাকা পুলঘাট, সদরঘাট, ফিশারীঘাট, নতুনঘাট, এয়াকুব নগর লইট্যা ঘাট, পতেঙ্গা ১৪ নং ঘাট ও গুচ্ছগ্রাম ঘাট, ১১ নং মাতব্বর ঘাট, ১২ নং তিনটিংগা ঘাট, ৭নং রুবি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ঘাট, ৯ নং বি ও সি ঘাট, অভয়মিত্র ঘাট, চাক্তাই খালের পাশে পান ঘাট হতে গাইজ্জের ঘাট, পতেঙ্গা চাইনিজ ঘাট, বাকলিয়া ক্ষেতচর ঘাট, চাক্তাই ঘাট চাক্তাই লবণঘাট।

চসিকের এসব ঘাট দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রীসহ পণ্য আনা নেওয়া করা হয়। ঘাটগুলো নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় এই পহেলা বৈশাখে ২০ ঘাটের ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে চসিকের রাজস্ব শাখা তাদের পছন্দের লোক দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো ‘খাস কালেকশন’  করছে।

এমন সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তারা সরকারি অর্থ ইজারা লোভী সিন্ডিকেটকে সহায়তা করে রাজস্ব আদায় কম দেখানোর সুযোগ তৈরি করছেন। যা রাজস্ব ফাঁকির কৌশল ছাড়া কিছু নয় বলে পাটনিজীবি একাধিক সমিতির দাবি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন পুরোনো ইজারা ব্যবসায়ীরা বলেন, খাস কালেকশনে টাকা আদায় কম দেখানো হলে পরবর্তী বছরের ইজারা মূল্য কমানোর আইনগত পথ সৃষ্টি হয়। 

এমনকি এ পদ্ধতিতে সরকারি কোষাগারে নামমাত্র খাস জমা হলেও সিংহভাগই চলে যাবে চসিক সিন্ডিকেটের পকেটে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এ বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হবে চসিক কিংবা সরকার।

যদিও চসিক নীতিমালা অনুযায়ী ঘাট ইজারা কিংবা খাস আদায়ে সমবায় অধিদপ্তর কতৃক নিবন্ধিত স্থানীয় পাঠনীজীবি সমিতিকে ঘাট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু খাস আদায়ের জন্য স্থানীয় পাঠনীজীবিগুলো মেয়রের কাছে ধর্না দিয়েও সাড়া পায়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এব্যপারে সল্টগোলা ডাঙ্গারচর পাটনীজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা সাম্পান মাঝিরা সাম্পান চালিয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে দুমুঠো ডাল-ভাত খেতে চাই। আমরা চাই কেউ আমাদের পেটে লাঁথি না বসায়। টোল কিংবা খাস কালেকশন যে আদায় করবে করুক, আমরা এই ঘাটের মাঝি, আমরা যাত্রী পারাপার করতে চাই। আমরা সরকারি রেজিস্ট্রেশনধারী পাটনিজীবি সমিতি। কিন্তু বাহিরের কিছু লোকজন ঘাট দখলের পাঁয়তারা করতেছে। ঘাটে চাঁদাবাজি করার জন্য। আমরা এসব হতে দেব না।'

বেশিভাগ ঘাটের ইজারাদার আব্দুল শুক্কুর প্রকাশ তেল শুক্কুর বলেন, 'আমরা কয়েকটি ঘাটের খাস কালেকশন করতেছি। প্রতি ১৫ দিন পর পর সিটি কর্পোরেশনে টাকা দিতে হয়।'

চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (সিআরও) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, 'কিছু পাটনিজীবি সমিতি মিলে হাইকোর্টে রিট করে স্টে অর্ডার করেছেন। ফলে ইজারা দেয়া বন্ধ আছে। হাইকোর্টের আদেশ মানতে হবে কিছু করার নেই। আমরা নিজেরা অন্যলোকের সহায়তায় খাস কালেকশন করছি। খুব শীঘ্রই আদালতে রিট শুনানি করে এর সমাধান করা হবে।

এব্যপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশনে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। আমি সবাইকে নিয়ে মিটিং করব। কোথায় সমস্যা হচ্ছে খুজে বের কওে সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে আমাদেও ক্যাজুয়েল স্টাফ দিয়ে খাস কালেকশন করা হবে। এখানে কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার সুযোগ দেয়া হবেনা।

এমএসএম / এমএসএম

থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ

বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা

নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ

কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে

বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩

নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি

সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম

৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা

ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাই