ঢাকা সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

একজন ন্যায় বিচারক উপজেলা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ


বড়লেখা প্রতিনিধি photo বড়লেখা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫-৪-২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই অনেক  প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে যিনি এগিয়ে যাবেন তিনিই সফল হবেন। জীবনে অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে উপজেলার সাধারণ জনগণের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন আজ এমনই একজন জনপ্রতিনিধির কথা তুলে ধরব। তিনি হলেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। 

তিনি বড়লেখা সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল গ্রামে ১৯৭২ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় অত্যন্ত মেধাবী এবং দুরন্তপনা স্বভাবের ছিলেন। স্কুল জীবন হতে প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে বারংবার কারাবরণও করেছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য।  এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। তিন বড়লেখা উপজেলায় দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে একজন ন্যায় বিচারক, সাদা মনের উদার মানসিকতা ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। 

২০১০ সাল থেকে তিনি বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে পরপর দু’বার  (ইউপি) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।  ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করেছেন। তিনি তাঁর পরিশ্রম, মেধা,সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে সাধারণ মানুষের ভূয়সি প্রশংসা লাভ করেছেন। স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং এ কাজে সফলও হয়েছেন। বিশেষ করে তিনি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন এবং একজন ন্যায় বিচারক হিসেবে বৃহত্তর মৌলভীবাজার ব্যাপী তাঁর সুনামও রয়েছে। এই সময় তিনি বেশ কয়েকবার জেলার বর্ষসেরা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তিনি ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এলাকার অসহায়,বঞ্চিত ও হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় দলীয় ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী সোয়েব আহমদ। 

অফিসিয়াল কাজ ব্যতিত সরকারি গাড়িটি ব্যবহার করেন না। ব্যক্তিগত কাজে বা বিভিন্ন সালিশ বিচার ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে  নিজস্ব গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করেও কুড়িয়েছেন প্রশংসা।

এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা চেয়ারম্যান বুঝিনা,তিনি একজন ন্যায় বিচারক ও একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যান পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার উপকার হবে। আমাদের দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক, ন্যায় বিচারক এবং উদীয়মান নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয়  উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। বিশেষ করে ঘূনে ধরা যুবসমাজকে কর্ম সংস্থান ও কাজের সুযোগ করে দিয়ে যুবসমাজকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে যুবসমাজের আইকন হিসেবে পরিচিত পরিচিতি লাভ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উপজেলার উন্নয়নে মহা-পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। গৃহিত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। দলিত হরিজন জনগোষ্ঠী, নৃ তান্ত্রিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা প্রসারে কাজ করেছেন। যার ফলে তিনি লাভ করেছেন জেলার বর্ষসেরা উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বীকৃতি। এর ধারাবাহিকতায় তিনি বিভাগীয় পর্যায়ে উপজেলা শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান (জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০১৯) স্বীকৃতি লাভ করেছেন।

 তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা,রাস্তা-ঘাট, কবরস্থান, মসজিদ,ঈদগাহমাঠ সংস্কার করেছেন। গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা সঠিকভাবে বিতরণ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছেন এবং উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবদানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। 

বিশেষ করে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড১৯  করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলে অসহায়, দিনমজুর মানুষ যখন লকডাউন এর কারণে ঘর বন্দী হয়ে যায়, তখন তাদের খোঁজ নিতে নিজের জীবন বাজি রেখে প্রতিনিয়ত বিরামহীনভাবে চলে গেছেন উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, দিন কিবা রাতে। এমনকি প্রতিদিন কোন না কোন ইউনিয়ন কিংবা কোন গ্রামে বা হাট-বাজারে উপস্থিত হয়ে লিফলেট, মাস্ক, গ্লাভস,হ্যান্ড সেনিটাইজার, নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ এবং জনসাধারণকে সচেতন করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। করোনা ভাইরাসের ছোয়ছে প্রাদুর্ভাব থেকে বাচঁতে সকলেই যখন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে আড়ালে চলে গেছেন তখন তিনিই ব্যাতিক্রম ছিলেন।

যখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গ্রাম-গঞ্জে অসচেতন অনেক মানুষই অসহায় হয়ে পড়ছেন তখন তাঁর ত্রাণ বিতরণ ছিল অব্যাহত। তিনি ব্য‌ক্তিগত উ‌দ্যো‌গে ৫০০০ হাজার অসহায় হতদ‌রিদ্র পর‌বিা‌রের মা‌ঝে ত্রান বিতরন করেছেন। করোনা ভাইরাসের সময় তিনি নিজের পৃষ্টপোষকতায় "করোনা রোগীদের সেবায় আমরা" নামে একটি টিম করে ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস, খাদ্য সহায়তা ও ওষুধ সহায়তা দিয়েছেন অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে। যাতে করে এই মহামারির সময় কোন মানুষ খাদ্য ও চিকিৎসার জন্য মারা না যায়।

এ ব্যাপারে বড়‌লেখার এক হতদ‌রিদ্র ব্যা‌ক্তি বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গরীব, অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের বন্ধু। তিনি দানশীল, কর্মঠ ও সাহসী একজন মানুষ। আমার দেখা মতে তিনি বড়‌লেখার এ যাবৎকালের শ্রেষ্ঠ জনপ্রতিনিধি। অনেক নেতাই যখন স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী হয়ে আছেন, সেখানে তিনি মানুষজনের সামনে হাজির হয়ে সাহস যুগিয়েছেন এবং কিভাবে বৈশ্বিক মহামারী কোভিড১৯  করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে সাধারণ মানুষ রক্ষা পায় সে ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতে প্রতিনিয়ত ছুটে গেছেন গ্রামে-গঞ্জে, শহরে শহরে। এবং কৃষকদের উৎসাহ দি‌তে নি‌জে মা‌ঠে গি‌য়ে কৃষ‌কের ধানও কেটে দি‌য়ে‌ছেন। এমন জনপ্রতিনিধি সত্যিই বিরল।

 এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের দা‌য়িত্বশীল এক ব্যা‌ক্তি বলেন, আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান খুবই সৎ, সাহসী ও ব্যাতিক্রম একজন জনপ্রতিনিধি।আগামী দিনে সোয়েব আহমদ সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে উপজেলার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলাবাসী অনেকের।

এমএসএম / এমএসএম

রায়গঞ্জে আসামী না হয়েও নুরু মিয়াকে হাতকড়া পড়িয়ে হেনস্তা করলেন এএসআই

আদমদীঘিতে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু

ফুলকুমার নদীতে ডুবে দুই ভাই বোনের মৃত্যু

নবীনগরে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসে শ্যালকের দা'য়ের কোপে আহত বোন জামাই

চট্টগ্রামে মহাসড়কের পানি নিস্ক্রানের নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে

গজারিয়া ইউনিয়নে বিএনপির ঈদ পূর্ণমিলনী ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতারকে কেন্দ্র করে হামলা

মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে যুবকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

তানোরে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় কার্পেটিং কাজ চলছে" কর্তৃপক্ষ নিরব

কমলগঞ্জে বিদ্যুতের ছিঁড়া তারে পিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু

উলিপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা চরাঞ্চলে বাদাম তুলছেন

ঘাঘর বাজারে উচ্ছেদ অভিযান, দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ