ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

সনদ জালিয়াতি হলে মন্ত্রী ও সচিবের কিছুই করার নেই


শামীম আহমদ photo শামীম আহমদ
প্রকাশিত: ২৯-৪-২০২৪ দুপুর ৪:৫৯

বাংলাদেশ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ও সচিবের সাথে দৈনিক সকলের সময় উভয়ের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরলে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রী এবং সচিব বলেন সনদ জালিয়াতির বিষয়ে তাদের কিছুই করার নেই। সচিব বলছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ জালিয়াতি হয় তাদেরকে ধরেন। অপর দিকে মন্ত্রী বলছেন আমার কিছুই করার নেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে ধরেন। মন্ত্রী বলেন ইউজিসিকে ধরলে সব বের হবে। রাজধানীর আশুলিয়ায় অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভূয়া উপাচার্য জঙ্গি নেতা যুদ্ধাপরাধী মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের নেতৃত্ব জাল সনদ তৈরি ও বিক্রি হয়।

মন্ত্রীর কাছে ওই যুদ্ধাপরাধী ভূয়া উপাচার্য সাদেকের অপকর্মে সকল তথ্য তুলে ধরলে তিনি বলেন আমি কয়েকদিনের মধ্যেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্ট বোর্ড পরিবর্তন করে দিচ্ছি। মন্ত্রীর কাছে বলা হয়েছে যুদ্ধাপরাধী মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভুয়া উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে সনদ জালিয়াতি ছাড়াও নানাবিধ অপকর্মের সাথে যুক্ত। তিনি নিজ নামের শুরুতে এমিরেটস উপাধি ব্যবহার করে সমাজে চলাফেরা করে। সাদেকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শেষ সেমিস্টারের একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে। বহিষ্কার আদেশ ভুল ও বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যায় হিসেবে বর্ননা করে ওই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে ইউজিসি নির্দেশ দিলেও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ইউজিসির ওই নির্দেশে আমলে নেয়নি। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রীকে অবহিত করলে তিনি বলে বিষয়টি আমি পর্যবেক্ষণে রাখছি। তিনি আবারও বলেন আপনারা সাংবাদিকরা ইউজিসিকে ধরেন। সনদ জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কাছে আছে তাছাড়া ইউজিসি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রিত একটি অকার্যকর সংস্থা যেখানে বহু দুর্নীতিবাজ জামাত শিবিরের লোক দ্বায়িত্বে আছে। ইউজিসি সনদ জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেও চুপ থাকে, শিক্ষা মন্ত্রীকে এমন কথা বলতেই তিনি এই প্রতিবেদকে কোন জবাব না দিয়েই অন্য প্রসঙ্গ তুলে কথা বলতে বলতে তার কক্ষ ত্যাগ করে বাহিরে চলে যায়। তখন বিকেল ৩টা ১৫মনিট। বহু সাক্ষাৎ প্রার্থীর ভীর ঠেলে তিনি লিফটে উঠে বাইরে বেরিয়ে যায়। তার ঘন্টাখানেক পরেই মন্ত্রনালয়ের সচিব সোলেমান খানের সাথে সাক্ষাৎ করে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সনদ জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার মন্ত্রণালয়ের দেয়া চিঠি সচিবের হাতে দিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি চিঠি দেখে চিঠির স্বাক্ষরকারি উপসচিবের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। সচিব বলেন মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নাই। মন্ত্রণালয় যাদেরকে চিঠি দিয়েছে তাদেরকে ধরেন।

সাদেক টাকা দিয়ে সকলকে চুপ রাখে :

পঁচিশ বছরে আনুমানিক ২০ হাজার কোটি বিদেশে পাচার ছাড়াও এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে নগদ কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বর্তমানে আত্মগোপনে আছে জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। ১৯৯৬ সালে রাজধানীর উত্তরায় প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক একজন ভুয়া ইমিরেটাস অধ্যাপক। উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণের লক্ষে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথে উদ্যোক্তাদের আহ্বান করলে সেই সুযোগে ১৯৯৬ সালে মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পরে সাদেক মতিউর রহমান নিজামীর সহায়তায় জামাত শিবিরের ক্যাডারদের সাথে নিয়ে ঢাকার বাইরে জেলায় জেলায় অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শাখা ক্যাম্পাস খুলে লক্ষাধিক অনার্স মাস্টার্সের সনদ বিতরণ করছে। তখন শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান অনলাইনে ছিলো না। মাওলানা সাদেক যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থীদের তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে সমাবর্তন ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে সনদ প্রদান করতেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন অডিট ফার্ম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির আর্থিক হিসাব নিরীক্ষা করানো হয়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে উল্লেখ আছে বিশ্ববিদ্যালয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তবুও জঙ্গি নেতা সাদেক এশিয়ান ইউনিভার্সিটি মুদি দোকানের মতোই প্রোপ্রাইটরশীপ বানিজ্যিক দোকানে রুপান্তরিত করছে। বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান তার পুত্র জাফর সাদেক। ট্রাস্টের অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছে সাদেকের স্ত্রী এবং তার নিকট আত্মীয় ও কয়েকজন পারিবারিক লোক। সীমাহীন দূর্নীতিতে নিমজ্জিত সাদেককে সরকার কিছুই করতে পারেনি। সাদেকের দুর্নীতির প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাঠায় আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে। এভাবেই চলছে ২৫ বছর। তবুও সাদেক সরকারের কোন নির্দেশনাকে পাত্তাই দেয় না, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং শিক্ষিকা যখন যাকে কাছে পায় তাকে নিয়ে ছুটে যায় সুইমিংপুলের নিরব জলে ঢেউ তুলতে।

সাদেকের বিষয়ে ইউজিসির একটি নির্দেশনা :
 
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৪৬ (২) ধারা মোতাবেক নিন্মলিখিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে নির্দেশনা প্রদান করছে ইউজিসি। ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা বানান অপরিবর্তিত রেখে হুবহু তুলে ধরছি- (ক) বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণকে চাকরিচ্যুতিকরণের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেটের গৃহীত সকল কার্যক্রম অবৈধ মর্মে বিবেচিত হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৪৬ (৩) ধারা মোতাবেক বহিষ্কারাদেশ বাতিলপূর্বক স্বপদে বহাল এবং উক্ত সময়কালে প্রাপ্য পাওনাদি পরিশোধ এবং অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক ক্যাম্পাস হতে বিতাড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে সসম্মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপদে বহাল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। (খ.) এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ড. আবুল হাসান মোহাম্মদ সাদেক চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত না হয়েও ভাইস-চ্যান্সেলর এর পরিচয় প্রদান, শিক্ষার্থীদের মূল সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক ও একাডেমিক দলিলে স্বাক্ষর ও অবৈধভাবে ২০১২ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত অবৈধভাবে ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে আসীন হয়ে যেসকল কার্যক্রম সম্পাদন করেছেন তা শুরু হতে বাতিল ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়াও উক্ত সময়কালে অবৈধভাবে পদে আসীন থেকে তিনি বেতন –ভাতাসহ যেসকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিলে অবিলম্বে ফেরত প্রদানপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। (গ) বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্ট ডিড এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্ট এর মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এর বিধানাবলী আইন দ্বারা সৃষ্ট  “Publick Trust” এর মূলনীতি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর পরিপন্থী হওয়ায় এর আইনবিরুদ্ধ সকল বিধান বাদ দিয়ে দ্রুত নতুন করে শুধুমাত্র মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। (ঘ) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর দ্বারা ১৭ ও ১৯ এবং কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মিত সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান ও পরিচালনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। (ঙ) বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকদের বেতন বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় একেবারে অপ্রতুল। এত অল্প বেতনে মানসম্মত শিক্ষক ও শিক্ষা কোনটিই নিশ্চিত করা সম্ভব। আগামী ০৩ মাসের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৪৩ অনুযায়ী চাকুরির প্রবিধানমালা ও বেতনকাঠামো প্রণয়নপূর্ভক কমিশনের অনুমোদন নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। উল্লেখ্য যে, বেতনকাঠামোতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন এবং কোনোক্রমেই যেন তা জাতীয় বেতন স্কেলের কম না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। (চ) বিশ্ববিদ্যালয়টির সূচনালগ্ন থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য কর্তৃক নিযুক্ত ট্রেজারার না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৪৪(২) ধারা মোতাবেক সাধারণ তহবিল পরিচালনা করা হয়নি। সেবিবেচনায়, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির সমস্ত আয়-ব্যয় বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠন সমূহের (সিএ ফার্ম) মধ্য হতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একটি ফার্ম দ্বারা পুনরায় নিরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। (ছ) কমিশনের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির শুধুমাত্র শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি ও জরুরি একাডেমিক ব্যয় ব্যাতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে অন্য কোন খাতে ব্যয় বা বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তর না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। (জ) বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল বিভাগে পূর্ণকালীন কমপক্ষে একজন করে অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান ও কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অুযায়ী পূর্ণকালীন কোনো শিক্ষক কোনো সেমিস্টারে একই সাথে ৩-৪টির বেশি কোর্স না পড়ান সে বিষয়টি নিশ্চিতপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।

একজন শিক্ষাবিদের মন্তব্য  :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামানের কাছে দৈনিক সকালের সময় জানতে চেয়েছিল জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ জালিয়াতি করে বিক্রি করে তবুও সরকার গ্রেফতার করছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে অহিদুজ্জামান দৈনিক সকালের সময়কে বলছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সরকারের শূন্য সহনশীলতার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক অহিদুজ্জামান বলেন কিছু জঙ্গি সংশ্লিষ্ট লোক সরকারের লোকদের সাথে ভিন্ন লেবাসে বিচরণ করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টা আছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বিক্রির অপরাধের শাস্তি কি হতে পারে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে অধ্যাপক অহিদুজ্জামান বলেন সরকারের শিক্ষা নীতিমালায় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে আজীবন জেল ও জরিমানা কথা। তিনি বলেন সনদ জালিয়াতির বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যাবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। মন্ত্রীর মন্তব্য তাকে জানানো হলে তিনি বিস্মিত হয়ে বলে মন্ত্রী কেন এমন কথা বলছে তার উত্তর আমি দিতে পারি না।

সাবেক মন্ত্রীর মন্তব্য  :

দৈনিক সকালের সময় সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রশ্ন করেছিলো ২০১২ সাল থেকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে কোন উপাচার্য ট্রেজার না থাকায় সেখানে কোন বৈধ সনদ তৈরী হয়নি, এ অবস্থায় ২০১৭ সালে আপনি সেখানে সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন? সাবেক এই মন্ত্রী দৈনিক সকালের সময়কে বলছেন রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা ছাড়া তিনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নেননি। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. শামসুজ্জামানের অভিযোগ সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ১ কোটি টাকার বিনিময় ওই সমাবর্তন করছে। ড. শামসুজ্জামানের রেফারেন্সে টাকা নেয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে সাবেক শিক্ষা মন্ত্রীকে, সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছেন ১ কোটি নয় আমি কোন টাকা নেইনি। ২০১৭ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সমাবর্তন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরের মঞ্জুরী কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলছেন মঞ্জুরী কমিশনের কোন প্রতিনিধি তাদের সমাবর্তনে অংশ নেয়নি। তিনি বলছেন কমিশনের সুযোগ থাকলে ওই বিশ্ববিদ্যালটি আমি তখনই বন্ধ করে দিতাম।

আত্মগোপনে জঙ্গি নেতা মাওলানা সাদেক :

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নানান অভিযোগের বিষয়ে জঙ্গি নেতা মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেকের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করে তাকে গত তিন সপ্তাহে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়ায় রাজধানীর উত্তরায় তার আবাসিক ঠিকানায় খোঁজ নিয়েও পাওয়া যায়নি। সাদেক সাহেব কোথায় আছে খোঁজনিতে তার পিএস রংপুর কারমাইকেল কলেজেল শিবিরের ক্যাডার মাহাবুবকে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি এড়িয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ট্রেজার নুরুল ইসলাম বলছেন সাদেক সাহেব কোথায় আছে তার খোঁজ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি জানে না। বর্তমান প্রশাসন চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি ভালো ভাবে চালানোর। বর্তমান ট্রেজার নুরুল ইসলামের নামে অভিযোগ তিনি একটি মসজিদ নির্মাণের কথা বলে সাদেকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এমন অভিযোগের প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বলেন এই অভিযোগ যারা করছে তাদেরকে আমার সামনে নিয়ে আসেন।

এমএসএম / এমএসএম

‎জবি ঊষার সভাপতি নাইম, সম্পাদক লিশা

মৎস বীজ কেন্দ্র অধিগ্রহণ দাবিকে আমি মুগ্ধর দাবি হিসেবে গ্রহণ করছিঃ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে বার কাউন্সিলে স্মারকলিপি প্রদান

ধর্ষণের সর্বোচ্চ বিচার দাবিতে মধ্যরাতে মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের

তিতুমীর কলেজস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা

নিষিদ্ধ 'হিযবুত তাহেরীর' সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

থিসিস লেখায় দক্ষতা বাড়াতে খুবির রিসার্চ সোসাইটির প্রশিক্ষণ

খুবির শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণের উদ্ধোধন আগামী রবিবার

নিজ বিভাগ থেকে সভাপতি নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রতাহার

বার কাউন্সিলের ফি কমানোর দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

সাবেক ছাত্রদল ও সাংবাদিক নেতা সুজার শেল্টারে হত্যা মামলার আসামীর ক্যাম্পাসে প্রবেশ

রবিবার থেকে জবিতে অনলাইনে ক্লাস,চলবে পরিক্ষা