ভারতীয় হাইকমিশনের অতিথি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন দুই শিক্ষার্থী
সম্প্রতি ভারত সরকারের অর্থায়নে দেশটি থেকে ঘুরে এলো বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশার ১০০ জনের একটি প্রতিনিধি দল। ৯ দিনের এই যাত্রার প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, চিকিৎসক, শিল্পী, প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। এর আগেও আটবার এই আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশন। এবার ছিল নবম আয়োজন। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) ও গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ (গসভিমেক) থেকে দুজন শিক্ষার্থীও এ যাত্রায় অংশ নেন।
ভারতীয় হাইকমিশনের ফেসবুক পেইজে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুরু হয় অডিশন। নির্দিষ্ট নিয়মে নিবন্ধনের পর গুলশানস্থ হাইকমিশনে উপস্থিত হয়ে অডিশন দিয়ে সুযোগ পেতে হয়। নানান পেশার মানুষদের নিজস্ব পেশার পরিচয় দেখাতে হয় এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এভাবে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে তবে এই প্রতিনিধি দলে সুযোগ পাওয়া যায়।
দীর্ঘ প্রায় ৯ দিনের এই সফরে ভারতের অনেক দর্শনীয় স্থান, বিখ্যাত স্থাপনা, উন্নত সেবা প্রদানের প্রতিষ্ঠান সমূহ প্রদর্শন করানো হয়। খাবার প্রদান ও আবাসন ব্যবস্থা সহ সকল সেবার খরচ বহন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই যাত্রার প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রণয় কর্মকার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এই সফরের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেখানে একটা ফর্ম পূরণ করতে হয়েছে। যার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয়নি। কিছুদিন পর মেইল আসে অডিশন দেয়ার। ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের কালচারাল সেন্টারে গিয়ে অনেকেই অডিশন দেন। কয়েক মাস পর নির্বাচিত হওয়ার মেসেজ আসে।তিনি আরও জানান, চূড়ান্তভাবে বাছাইকৃত ১০০ জনকে নিয়ে ভারত সফরের যাওয়ার আগে গেট টুগেদার করা হয়। ওইদিন আমাদের সব শিডিউল জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রণয় কর্মকার আরও বলেন, ভারতে একটা কালচারাল অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশকে তুলে ধরি। আমাদের মধ্যে অনেক শিল্পী, ম্যাজিশিয়ান ও ড্যান্সার ছিলেন। অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশকে দারুণভাবে উপস্থাপন করি।
নির্বাচিত হওয়া প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্য গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী সোমা বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মরণীয় একটি সফর ছিল এটি। ৯ দিনের সফরে প্রায় অনেক জায়গা ঘুরেছি আমরা। ইয়ুথ মিনিস্ট্রি, মহারাষ্ট্রের গভর্নর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ, মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ, দিল্লি, আগ্রা, প্রেসিডেন্টের ভবন, ন্যাশনাল মিউজিয়াম, হেলথ মিনিস্ট্রি, ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একটি অলিম্পিয়াড সভা, ক্যান্সার হসপিটাল, টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে।
সোমা আরও বলেন, মূলত আমি ক্যান্সার সম্পর্কিত কাজ করি। সেখানে ডাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন কিছু দেখেছি এবং তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে অনেক কিছু শিখেছি। বাংলাদেশ এবং ভারতের কাজের মধ্যে পার্থক্যের দিকটা বুঝতে পেরেছি। ভারতীয়দের অতুলনীয় আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ।
এমএসএম / এমএসএম
খাজা ওসমান ফারুকীর কুরআন দর্শন
খাজা ওসমান ফারুকীর সুফি তত্ত্বের নিদর্শন
'আরএনএস রাজিম একজন সফল ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তার গল্প'
প্রাক্তনের খোঁজ নেওয়ার দিন আজ
বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ১০ দেশ
বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতালে প্রয়োজন 'গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট'
খরা কাটাতে ব্যবহৃত পানির পুনর্ব্যবহার
সৌন্দর্যের শহর প্যারিসের নিচে লুকিয়ে আছে যে ভয়ংকর রহস্য
রহস্যে ঘেরা আমাজনে ভয়ংকর ৫ প্রাণী
সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রে কেমন শিক্ষাব্যবস্থা চায় শিক্ষার্থীরা?
স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার
১৫০ গিনেস রেকর্ড যার ঝুলিতে
Link Copied