ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

মনিরামপুরে ভূয়া কমিটি তৈরী করে গোপনে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ


অশোক কুমার বিশ্বাস,  মনিরামপুর photo অশোক কুমার বিশ্বাস, মনিরামপুর
প্রকাশিত: ৩০-৭-২০২৪ দুপুর ২:৩৩

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার অবসরে যাবার মাত্র সাতদিন আগে ২৭ জুলাই নিয়োগবোর্ড সম্পন্ন করেছেন। প্রায় নয় বছর ধরে ডাঙ্গামহিষদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি না থাকলেও প্রধান শিক্ষক গোপনে জালিয়াতির মাধ্যমে তার ছোটভাইকে সভাপতি করে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে গোপনে চাচাত শ্যালক বিল্লাল হোসেনকে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর জনরোষ থেকে রক্ষা পেতে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বর্তমান আত্মগোপনে। এ দিকে গত সোমবার এলাকাবাসী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে এসে বিক্ষোভ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গামহিষদিয়া-পাড়িয়ালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা থাকার কারনে ২০১৫ সালের পর থেকে নিয়মিত কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। তবে মামলা নিষ্পত্তির পর যশোর শিক্ষা বোর্ড ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ছয় মাসের জন্য একটি এডহক কমিটির অনুমোদন দেন। সেই কমিটির সভাপতি করা হয় প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের ছোটভাই আনারুল ইসলামকে। কিন্তু এ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন হলেও এলাকায় বিরোধ দেখা দেওয়ায় আর কোন কমিটি গঠন করা হয়নি। এদিকে প্রতিমাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিস্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন উত্তোলন করে আসছেন। মজার বিষয় সর্বশেষ ১০ জুলাই তারিখে জুন মাসের বেতনশিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন প্রতিস্বাক্ষর করেন । অপরদিকে  ২৮ মার্চ ২০২৪ তারিখের একটি নিয়মিত কমিটি আছে  এই মর্মে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার নিয়োগবোর্ড করেছেন।
এ দিকে আগামি ৩ আগষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার চাকুরি থেকে অবসরে যাবেন। অভিযোগ উঠেছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সহায়তায় প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জালিয়াতির ম্যাধমে তার ছোটভাই আনারুল ইসলামকে সভাপতি করে কতিথ নিয়মিত কমিটি গঠন করেন। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে যাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তারা কেউ এ বিষয়ে অবহিত নয়। শিক্ষক প্রতিনিধি আকরাম হোসেন, প্রমিলা রায়, তাপসী বিশ^াস বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাদের নিয়ে কখনও মিটিং করেননি এমনকি কোন রেজুলেশনেও আমরা স্বাক্ষর করিনি। 
গত ২৭ জুলাই বিকেলে অতি গোপনে কতিথ নিয়োগবোর্ড করে প্রধান শিক্ষকের চাচাত শ্যালক বিল্লাল হোসেনকে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরি দেওয়া হয়। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। জনরোষ থেকে বাচতে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান আত্মগোপনে চলে যান। তবে প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে জানান, এখনও কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অপরদিকে নিয়োগবোর্ডের কর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার নিয়োগ দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ২৮ মার্র্চ তারিখে যশোর বোর্ডের অনুমোদনকৃত নিয়মিত কমিটির একটি কপি প্রদর্শনের পর নিয়োগবোর্ড সম্পন্ন করা হয়। এতে কোনপ্রকার অনিয়ম করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর নিয়োগবোর্ড স্থগিত করে প্রধান শিক্ষককে হাজির করতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়।    

এমএসএম / এমএসএম

বরগুনার তরুণ নেতৃত্বে মাহফুজ: জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছেন

অবৈধ দখলের কারণে ঝিনাইদহে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা

যান্ত্রিকতায় বারহাট্টা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্যাডেল রিকশা

পটুয়াখালী ৩ আসন কর্তৃক আয়োজিত ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিনিধি সম্মেলন

মেহেরপুর মুজিবনগর সীমান্তে ১৫ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করলো বিএসএফ

ভূরুঙ্গামারীর রাজনীতিতে নতুন গতি:৩১ দফা নিয়ে আন্ধারিঝাড়ে বিএনপির প্রচারণা

কুড়িগ্রামে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ কর্তৃক পরোয়ানাভুক্ত আসামী গ্রেফতার

‎কুতুবদিয়ায় সমুদ্র সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত লাশ

চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগী

হাইস্পিড গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান

বোদায় মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ

হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য কবর জেয়ারত ও পরিচালক'র সাথে সৌজন্য সাক্ষাত