নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট, বিপর্যয় হচ্ছে পরিবেশ
মনিরামপুরে কোনভাবেই থামছে না মাটি কাটা
যশোরের মনিরামপুর থেকে মাটিকাটা চক্র কোনভাবেই থামচ্ছে না। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে কাজটি করেই চলেছে সঙ্গবদ্ধ চক্র। এতে একদিকে যেমন ফসলী ক্ষতির উর্বরতা বিনষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর ও টলিতে নষ্ট হচ্ছে যেমন রাস্তা, তেমনি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এসব মাটি-খেকোরা প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় থাকায় ভুক্তভোগীসহ কেউ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। যে কারণে দিনের পর দিন মাটি কাটা কাজ চলছে তো চলছেই।
উপজেলার প্রায় এলাকায় মাটিকাটা ও বহনের কাজটি চলছে। সরেজমিন উপজেলার রোহিতা, হরিহরনগর, মশ্বিমনগর, চালুয়াহাটী, খানপুর, খেদাপাড়া, মনিরামপুরসদর, কাশিমনগর, ঝাঁপা, ঢাকুরিয়া, হরিদাসকাটি, শ্যামকুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের ফসলী জমি থেকে দীর্ঘদিন ধরে একটি সংববদ্ধ চক্র মাটি কেটে বিক্রি করছে। এতে একদিকে যেমন নস্ট হচ্ছে ফসলী জমির উর্বারতা,তেমনি অন্যদিকে চরম ক্ষতি হচ্ছে রাস্তা-ঘাটের,বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। মাটি কাটা চক্রটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
সরেজমিন উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের মাঝ-লাউড়ী গ্রামের মাঠে যেয়ে দেখা যায়, ফসলী জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। আনিছুর রহমান ও জিকো নামের দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাটি বিক্রয় করছেন। বিক্রযকৃত মাটি বহন করা হচ্ছে ট্রাক্টর- ট্রলিতে করে। দিনরাত যাতায়াতে জনগনের চলাচলের জন্য একমাত্র রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে রাস্তাাটি চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝ-লাউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দিয়ে যাতায়াতের কারণে একদিকে যেমন মাঠ নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় চলাচলে ভুক্তভোগী স্থানীয় নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। একবেলা না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু চলাচলের কষ্টের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মাটির গাড়ী যাতায়াত করে রাস্তাটি একেবারেই চরাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।রাস্তটি সলিংযের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভুক্তভোগী সুকুমার পাল বলেন, আমাদের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বড় অসুবিধা হচ্ছে। যারা মাটি কাটছে,ব্যবসা করছে ওরা রাজনীতি করা লোক। তাদেরকে কেউ কিছু বলতে পারবো না।
মাঝ-লাউড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন,ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে বিকট শব্দ করে মাটির ট্রাক্টর - ট্রলি স্কুলের মাঠ দিযে নিয়ে যাচ্ছে।এতে ক্ষতি হচ্ছে স্কুলের কোমলমতি শিশুদের। ক্ষতি হচ্ছে রাস্তার, স্কুলের মাঠের নিষেধ করেও থামানো গেল না। কিছু দিন আগেও ম্যাজিস্ট্রেট এসে লাখ টাকা জরিমানা করেছেন তারপরেও থামছে না। মাটি ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান বলেন,আগে কিছু মাটি কাটা হয়েছে, এখন কাটা হচ্ছে না। স্থানীয় শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, কেউ অভিযোগ করলে পদক্ষেপ নেয়া হবে। মনিরামপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম বলেন, খবর পেয়ে সরজমিন গিয়ে হাতে নাতে ধরে জরিমানা আদায় করেছি। এরপরও যদি মাটি কাটার কাজ বন্ধ করা না হয় তাহলে কঠোর ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম
মধুখালীতে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী সৌরভ গ্রেফতার
রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন
বেনাপোল ঘিবা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে বাড়ছে বসন্তের কোকিলের আনাগোনা
বড়লেখায় প্রাথমিকে পাঠদানের অনুমিত পেল শিশু শিক্ষা একাডেমি
জামালপুরে কার্ভাড ভ্যানের চাপায় নিহত ৫, আহত ৩
মাগুরায় ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামে কচাকাটা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়ন করার দাবীতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার
নওগাঁয় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫: সন্দ্বীপে অনুষ্ঠিত হলো সমৃদ্ধি কর্মসূচির সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ
পটুয়াখালীর জনদুর্ভোগ নিয়ে ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন