গাজীপুরে পোশাক কারখানার নিরাপত্তায় সমন্বিত টাস্কফোর্স
গাজীপুরে শতভাগ কারখানায় চলছে উৎপাদন কার্যক্রম। কারখানার নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সমন্বিত টাস্কফোর্স। কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে পোশাক খাতকে এক নম্বর অবস্থানে এগিয়ে নিতে চান কারখানা মালিকেরা। নিরাপত্তার শঙ্কায় কয়েক দিন ধরে বন্ধ রাখা হলেও আজ কারখানা এলাকায় শিল্প পুলিশ কিংবা থানা-পুলিশের কোনো ইউনিটের উপস্থিতি দেখা যায়নি। শনিবার সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবেই চলছে সবগুলো কারখানা।
গাজীপুর মহানগরীর লক্ষীপুরায় স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে নবম পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তা কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা দিতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। এ জন্য তৈরি করা হয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স। গঠিত টাস্কফোর্স গাজীপুর, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তায় কাজ করছে। এ সময় তিনি ওই কারখানার কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
কারখানা মালিক ও বিজিএমইএ নেতারা বলছেন শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন কারখানায় চলছে উৎপাদন, বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করছেন শ্রমিকরা। কারফিউসহ নানা আন্দোলন সংগ্রামের কারণে কয়েকদিন কারখানায় উৎপাদন বিঘিœত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাক শিল্প। শুরুতে মালিকরা নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপত্তা দিয়ে কারখানা চালু করেন।
কারখানা মালিকরা বলছেন, গাজীপুরসহ অন্যান্য শিল্প এলাকায় শতভাগ কারখানা চালু করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ। শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স সেল গঠন করা হয়েছে। সেনা সদস্যদের ব্যাপক টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিডি কালেকশন লি:-এর চেয়ারম্যন তামান্না ফারুক বলেন, বিগত সময়ে পোশাক মালিকেরা অনেক কিছু বলতে পারেনি। মালিক ও শ্রমিক ভাইয়েরা দেশের জন্য কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করবো। আপনাদের ও নতুন সরকারের সহায়তায় আমাদের পোশাক রপ্তানিকে এক নম্বরে নিয়ে যাবো।
স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন, বুধবার (০৭ আগস্ট) থেকে বিজিএমইএ ও সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্সের সহযোগিতায় মোটামুটি কারখানা চালু হয়েছে। ওই সময়ে ৮১ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে শতভাগ কারখানা খোলা হয়। যাদের শিপমেন্ট দরকার ছিল, তাঁরা শুক্রবারও খোলা রেখেছিলেন। আজও বিজিএমইএতে খবর নিয়ে জানা গেছে শতভাগ প্রতিষ্ঠান খোলা এবং উপস্থিতিও শতভাগ। এত বড় সংগ্রামের পর আমরা শিল্পকারখানা খুলতে পেরেছি। সেনাবাহিনী শিল্প এলাকায় টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া শিল্প পুলিশও কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত কোনো ক্রয়াদেশ বাতিলের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের ইমেজ কাজে লাগিয়ে গার্মেন্টস শিল্পে বিশ্বে এক নম্বরে চলে যাব, কোনো শঙ্কা নেই। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অর্ডার বাতিলের খবর পাইনি। বিদেশি বায়াররা (ক্রেতারা) সবাই পজিটিভ।
কারখানা পরিদর্শনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির অতিরিক্ত সচিব মনসুর খালেদ, শিল্পোদ্যোক্তা তামান্না ফারুক, স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার সিইও শরিফুল রেজা প্রমুখ।
শিল্প পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, গাজীপুরে ২ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এতে কাজ করেন অন্তত ২২ লাখ শ্রমিক।
এমএসএম / এমএসএম
বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্যে লবণাক্ত বালি উত্তোলনের অভিযোগে প্রশাসনের অভিযান
ঠাকুরগাঁওয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার
কুড়িগ্রামে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
মাদারীপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
জয়পুরহাটে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
দোহার উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার
তাড়াশে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে রবি ফসলের প্রণোদনা বিতরণ
পঞ্চগড়ে এমপিও ভুক্ত ৩৭ শিক্ষক-কর্মচারীর কলেজে মাত্র ১৫ শিক্ষার্থী
১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণে গোপালগঞ্জের সাত রোভার
সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলেই মনপুরা দ্বীপের মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করে
দাউদকান্দির দৌলতপুরে বিএনপির প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
হাতপাখার বিজয় হলে জাতির বিজয় হবেঃ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম