ঢাকা শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসনকে পদত্যাগে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম


শাহাজান ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি photo শাহাজান ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি
প্রকাশিত: ১১-৮-২০২৪ দুপুর ৪:৩১

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসনকে  ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বশেমুরবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দরা। ৯০% শিক্ষার্থী, ফ্যাসিবাদের দোসর এই প্রশাসনকে অনাস্থা জানিয়েছে তার পরিপেক্ষিতে ১১ই আগস্ট রবিবার  এক বিবৃতিতে এ  আল্টিমেটাম দেন সমন্বয়বৃন্দরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, “৫ই জুন থেকে শুরু হওয়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। প্রশাসনের এ তৎপরতা শুরুর দিকে আন্দোলন সম্পর্কে নানাবিধ মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, গত ১৬ জুলাই থেকে বশেমুরবিপ্রবি সহ সারা দেশে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টনক নড়ে এবং আন্দোলন দমনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে নতুন কৌশল গ্রহণ করে। ঐ সময় শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা যাতে উপস্থিত না হতে পারে, তাই আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে শুরু করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে শিক্ষার্থীদের আটকে নানান হয়রানীমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘরের মধ্যে বেঁধে ফেলার পায়তারা স্বরুপ কফিন মিছিলটি আমাদের ক্যাম্পাসের গেইট পর্যন্ত যাতে না যেতে পারে, সেই চেষ্টা করে। কিন্তু যৌবনের জয়গানের উদ্দীপনা যার মনে, তাকে আটকানোর সাধ্য কার। শিক্ষার্থীদের তুমুল প্রতিবাদের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার শহীদ ভাইদের গায়েবানা জানাজা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ফটকে আয়োজন করতে দিতে বাধ্য হয়। এত ফন্দি-ফিকির করেও যখন ছাত্র জনতার প্রতিবাদের জোয়ারকে নষ্যাৎ করতে পারে নি, তখন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খালি করার অসাধু ফন্দি আঁকে। তারা ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বিশাল বহরকে আমন্ত্রন জানায় এবং তাদের মোতায়েন রেখে নির্দয়ভাবে স্বল্প সময়ের নোটিশে মাইকিং করে নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের সন্ধ্যার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয় যখন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শুন্য, তখন প্রশাসন আরও নোংরা খেলায় মেতে উঠে। যে সকল শিক্ষার্থী এই যৌক্তিক বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলো, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঐ সকল শিক্ষার্থীদের লিস্ট করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ও গোয়েন্দাদের হাতে দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন নি।

সারা দেশে কারফিউ শুরু হওয়ার পর যখন আমাদের ৩০০ এর মত ভাই শহীদ হলো, তার প্রতিবাদ সরূপ দেয়াল লেখনীর অপরাধে বশেমুরবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নিঘাত রৌদ্র ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রহারিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানার পরও স্বান্তনা ব্যতিত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। এত কিছুর পরও সারাদেশের ছাত্র সমাজ যখন আন্দোলনে একদফা দাবি তুলেছে। তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে প্রশাসনেরই প্রত্যক্ষ হুকুমে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তারক্ষী শিক্ষার্থীদের লাঞ্চিত করেন, সমন্বয়ক ইমরানকে প্রহার করেন। শুধু লাঞ্চিত, প্রহার করেই আমাদের অথর্ব প্রশাসন ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা ৪ অগাস্ট রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আতংক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদের পক্ষে মিছিল আয়োজন করেন এবং সেই মিছিলের শুরুর ভাষণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, এবং প্রক্টর চলমান আন্দোলন ও এই জনশ্রোতের বিরুদ্ধে বক্তৃতা প্রদান করেন।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে যেহেতু বিজয় ছিনিয়ে এনেছে, তাই ছাত্র-জনতারই দায়িত্ব এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার নিশ্চিত করা। সেই সংস্কারের প্রথম ধাপ হিসেবে ছাত্র সমাজ মনে করে এই ফ্যাসিবাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এই প্রশাসনের এই ক্যাম্পাসে এক মূহুর্ত থাকা উচিত না। সেই নিমিত্তে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৩৪ টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই প্রশাসন থাকতে পারবে কী না, তার জরিপ চালায়। জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখে যায়, 

বিশ্ববিদ্যালয় ৯০% শিক্ষার্থী, ফ্যাসিবাদের দোসর এই প্রশাসনকে অনাস্থা জানিয়েছে।

অতএব, বিপ্লবী ছাত্র-সমাজের মতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এই প্রশাসনের সকল অংশীদার (উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রভোস্ট বডি, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা সহ সকলে) আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সসম্মানে পদত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমূল সংস্কার করার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন, বলে আশা রাখি। সেই সাথে ক্যাম্পাসের বিতর্কিত কোনো ব্যাক্তি (পূর্ববর্তী কোনো ভারপ্রাপ্ত ভিসি এবং তার দোসরেরা) যেনো ভিসি হওয়ার খোয়াব না দেখে সেই ব্যাপারে সতর্ক বার্তা দেওয়া হলো।”

বশেমুরবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  সমন্বয়ক ইমরান খান বলেন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতে না পারায় অনলাইনে শিক্ষার্থী বিরোধী প্রশাসনের ব্যাপারে ৩৪টা ডিপার্টমেন্টের সবার মতামতের ভিত্তিতে পোল ডেটা এনালিসিসের পর সকল শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বশেমুরবিপ্রবি এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিরোধী প্রশাসনের পদত্যাগের ব্যাপারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। আমরা আশাকরি, এর মধ্যেই প্রশাসন পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। নয়তো আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে।আর সবশেষে সবার কাছে আমাকে যারা আহত করেছিল তাদের বিচার দাবি করছি।

এমএসএম / এমএসএম

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ১২ গবেষক

বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকদের তালিকায় ইবির দুই অধ্যাপক