লক্ষ্মীপুরে প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি
লক্ষ্মীপুর জেলাজুড়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। গত ৪-৫ দিনের ভারীবর্ষণে লক্ষ্মীপুর জেলার পৌর শহরসহ ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৫০০টি পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গিয়ে ২শত কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও মেঘনা উপকূলে অস্বাভাবিক জোয়ারে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রাম অঞ্চলের চলাচলের রাস্তা, এতে মহা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে গাছপালা উপড়ে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোনাপুরের চরবগা, কেরোয়ার মোল্লারহাট ও জোড়পুলসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। এদিকে, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে রায়পুর শহরের দেনায়েতপুর,মধুপুর, কাঞ্চনপুর, কেরোয়া ও পূর্বলাচ, ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন খাশের হাট এলাকার অধিকাংশ সড়কে পানি জমে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বাসিন্দাদের।
রামগতি, রামগঞ্জ, কোমলনগর, রায়পুর সহ পুরো জেলা জুড়ে অন্তত ২০ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে পানি বেড়ে রায়পুর উপজেলার বামনী, চরপাতা, দক্ষিণ কেরোয়া, সোনাপুর, রাখালিয়া, চরমোহনা, উদমারা, চরআবাবিল, দক্ষিণ চরবংশীসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত অর্ধ শতাধিক পুকুরের ছোট-বড় অনেক মাছ ভেসে গেছে।
এদিকে মেঘনা উপকূলীয় চরকাছিয়া, চরজালিয়া, চরইন্দুরিয়া, কানিবগার চর ও চরঘাসিয়া, সহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া মরিচ ও মৌসুমী শাকসবজি কয়েক হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে।রায়পুর পল্লী বিদ্যুত সূত্র থেকে জানা যায়, ঝড়ের কারণে কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় কাজ চলছে’।এ ব্যাপারে রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অতিরিক্ত মোঃ হাসান ইমাম জানান, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে ক্ষেতে পানি জমে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম