মধুপুরে জমি বিক্রির পর ফের দখলের চেষ্টা, দোকানপাট ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি বিক্রি করে প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় প্রতিপক্ষের দোকানপাট ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভূক্তভোগী আ. মজিদের ছেলে মো. সোহেল মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ মৃত হাসান আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে ৩ জনের নামে থানায় ইতোমধ্যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের গোপদ মৌজার গোপদ এতিমখানা বাজারে ঘটেছে এমন ঘটনা। অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী, স্থানীয় বাসিন্দা এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার রাতের আধারে প্রতিপক্ষ মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন, মোখলেছুর রহমান (মুকুল), ও মো. আল-আমিন লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই যুগ আগের কবলা মুলে ক্রয় করা জমির উপর স্থাপিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানে আক্রমণ করে। কিছু ভাংচুর করে দোকানের সামনে বালুর ঢিবি করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে যায়। এ নিয়ে স্থানীয় বৈঠকে মীমাংসা হয়নি।
গোপদ গ্রামের ভূক্তভোগী আ. মজিদের ছেলে মো. সোহেল মিয়া জানান, এই জমি ক্রয় করার পর দুই যুগেরও বেশি সময় ২৮/৩০ বছর যাবৎ আমি অন্যান্য কওলাদাগণ ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আনোয়ার, মুকুল গংরা এই জমি তাদের বলে দাবী করে আমাদেরকে জমি ছাড়ার জন্য হুমকি দেয়।
জমি না ছাড়লে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ভাড়া দেয়। দোকান ঘর তাদের বাহামভুক্ত লোকজন নিয়ে ভাংচুর করতে আসে। এতে বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করলে অস্ত্রধারীরা তার উপর চড়াও হয়। এসময় আত্মরক্ষার্থে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে উপস্থিত লোকজনের সামনেই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা।
এ বিষয়ে গোপদ গ্রামের মো. মোজাফ্ফর আলী জানান, এ জমি আমিসহ আরো পাঁচজন কওলাদার অন্তত ২৫ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছি কিন্তু হঠাৎ করেই মুকুল, আনোয়রেরা তাদের জমি বলে জবর দখল করতে আসে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ছাড়া গোপদ গ্রামের আব্দুল হালিম জানান, আমার জানামতে, মোজাফফর ও মজিদ মিয়ারা এই জমি ২৫/৩০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। হঠাৎ করে আনোয়ার, মুকুল গংরা তাদের বলে দাবী করে। আমরা কখনো শুনিনি যে এটা তাদের জমি। তাই আমার মতে তাদের দাবী অবৈধ ও বেআইনি।
মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ আছে। তদন্ত চলছে।
এমএসএম / এমএসএম