পার্বত্য সমতল আমরা সবাই বাংলাদেশি: দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,পার্বত্য অঞ্চলের সমতল অঞ্চল সবাই কিন্তু বাংলাদেশি আমাদের এই জাতি গোষ্ঠীগুলোর একে অপরের প্রতি যদি সম্মানবোধ না থাকে তাহলে সংঘাত অনিবার্য।
রবিবার ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ প্রফেশনালস এর উদ্যোগে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা: উত্তরণে রাজনৈতিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সমতল অঞ্চল সবাই কিন্তু বাংলাদেশি। পাসপোর্টে বাংলাদেশী উল্লেখ আছে বাঙালি না। আমরা বাংলাদেশী এটা যদি বুকে ধারণ করতে পারি যেমন আমেরিকান,কানাডিয়ান, ব্রিটিশ তাহলে ৯০% সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পার্বত্য অঞ্চলের যে উপজাতিগুলো আছে তাদের আলাদা আলাদা পরিচয় থাকলে তখনই সমস্যাটা বেশি হবে। আমরা সবাই বাংলাদেশী তবে যার যার নিজস্ব সংস্কৃতি আছে ধর্ম আছে। সে সংস্কৃতি ধর্ম তারা ধারণ করে রাখবে, পালন করবে। আমাদের এই জাতি গোষ্ঠীগুলোর একে অপরের প্রতি যদি সম্মানবোধ না থাকে তাহলে সংঘাত অনিবার্য।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে শুধু তারাই থাকবে এই দৃষ্টিভঙ্গি নানা ধরনের সংকট তৈরি করতে পারে। ওই ভূখণ্ডে যে উপজাতিগুলো আছে তারা তো ঢাকাতেও আছে। সারা দেশেও আছে। এখানে তো সংকট তৈরি হয় নাই। তাহলে সমতল ভূমির মানুষ পাহাড়ে গেলে সংকট তৈরি হবে তাহলে তো ভাই ভাই ঝগড়া করে যেমন বাহিরের মানুষ মীমাংসা করে তেমনি হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে এ যাবতকালে যত কিছু হয়েছে তার পিছনে একটা শক্তি আছে এটা আমরাও জানি বিশ্ববাসীও যানে। তবে তারা যদি মনে করে বাংলাদেশের ছোট রাষ্ট্র তারা প্রতিবাদ করতে পারবে না। তারা ভুল চিন্তাভাবনার মধ্যে আছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ বীরের জাতি এই দেশ রক্ষা করার ক্ষমতা আল্লাহতালা এই দেশের মানুষকে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে শুধু উপজাতিরাই থাকবে আর কেউ যেতে পারবে না এটা ভাবলে ভুল হবে। আমাদের পরস্পরকে গ্রহণ করতে হবে। সেটা যদি করা সম্ভব না হয় সংকট ঘনীভূত হবে। এটা বিএনপি প্রত্যাশা করে না।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মুসলিম, হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান সবাই মিলে যুদ্ধ করে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। তবে হ্যাঁ আমাদেরকে কেউ কেউ পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। তবে শান্তিপূর্ণভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে চাই। এটাই বাংলাদেশের স্পিড, বিএনপি'র স্পিড, ১৭ বছর ধরে যে রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদের স্পিড।
তিনি আরো বলেন, রক্ত জড়িয়ে কেন স্বার্থ হাসিল করতে হবে? এটা ঠিক হবে না। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে রক্ষা করি। বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করি। এখানে এনজিওর কথা উঠে এসেছে। এনজিও রাজনীতিবিদ আমি আকাশ পাতাল তফাতের কথা বলবো না তবে কাছাকাছি। কেউ সমস্যা জিয়ে রেখে ব্যবসা করতে চাই। রাজনীতিক বিষয়টা হচ্ছে সমস্যা সমাধান করতে চায়। সেই রাজনৈতিক সাথে যারা আছে তারাই পারে এই সমস্যা আগামীতে সমাধান করতে। তাই আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ জাতিকে রক্ষা করি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা.মোস্তাফিজুর রহমান ইরান , এলডিবি স্থায়ী কমিটির সদস্য নিয়ামুল বশির,হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব মজিবুর রহমান,গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ প্রমুখ।
এমএসএম / এমএসএম