চট্টগ্রামে প্রতারকের খপ্পরে নিঃস্ব নোয়াখালীর আলাউদ্দীন

নগরীর চান্দগাঁও থানার রাহাত্তার পুল এলাকার কথিত দোকান মালিক চক্রের প্রতারণামূলক চাঁদাবাজির খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে প্রায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার মধুপুর গ্রামের মৃত মুজিবুল হকের ছেলে মো. আলাউদ্দিনের পরিবারের। এই চক্রের সদস্যরা হলো- রাহাত্তারপুল এলাকার মৃত নাবালক মিয়ার ছেলে মো. ইউনুছ, সামশুল আলম ও নাজিম উদ্দন এবং মো. ইউনুছের ছেলে মো. ইমন ও তাদের সহযোগী রায়হানসহ কয়েকজন। এ বিষয়ে থানা ও আদালতে মামলা চলমান থাকলেও প্রভাবশালী বিবাদীদের ক্ষমতার দাপটের মুখে অস্তিত্ব সংকটে বাদীর পরিবার।
ভুক্তভোগী মো. আলাউদ্দিন জানান, ২০১১ সালে নগরীর রাহাত্তারপুল মোরে হাইওয়ে প্লাজার সিঁড়ির পাশে ২৮ বর্গফুটের একটি দোকান সামশুল আলম ও নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে সালামির মাধ্যমে স্ট্যাম্পে রেজিষ্ট্রিমুলে মাসিক মালিকানা ভাড়ার শর্তে পজেশন বরাদ্দ নেয় আলাউদ্দিন। পরে পশ্চিম পাশে আরো ৩ ফুট জায়গা খালি থাকায় আরো ৫০ হাজার টাকায় তাও পজেশন ভাড়া দেয় মালিকপক্ষ। কিন্তু দোকান ভাড়া দেওয়ার কিছুদিন পর থেকেই নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ থাকলেও নানা অজুহাতে ওই চক্রটি টাকা দাবি করে, টাকা না দেয়ায় ভিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে। মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করা হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে দিনের পর দিন ক্ষোভ বাড়তে থাকে মালিকপক্ষের। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট রাতের অন্ধকারে দোকানটি তালাবদ্ধ করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে অনুনয়-বিনয় করলেও তালা খুলতে দেয়নি তাকে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা করেছেন মো. আলাউদ্দিন। কিন্তু শত কষ্টের মাঝেও ভাড়া নিয়মিত পরিশোধ করেছেন।
চাঁদাবাজি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে দোকানের দখল, বিবাদী কর্তৃক অতিরিক্ত ৪-৫টি তালা লাগানো ও অন্যান্য কাগজপত্র আলাউদ্দিনের অনুকূলে আছে বলে উল্লেখ করলেও টাকা দাবির বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেনি।
এসব বিষয়ে চাঁদাবাজির (সিআর) মামলা নং ৬৫০/১৯-এর ৩নং আসামি ও দোকান মালিক সামশুল আলম পজিশন বিক্রি ও নিয়মিত ভাড়া পরিশোধের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমি আমার ভাইকে বলেছি দোকানের তালা খুলে দেয়ার জন্য। কিন্তু সে ওই জায়গার মালিকানা দাবি করে দোকান ছেড়ে দিতে বলে। যেহেতু জমি এখনো ভাগ-বাটোয়ারা হয়নি, তাই কিছু বলতে পারছি না। আদালতে মামলা আছে, আদালতের রায় অনুযায়ী যা হয় তাই হবে।
নিজের আর্থিক অসচ্ছলতার কথা জানিয়ে মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমি সামান্য চা-বিস্কুট বিক্রি করে খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্ট করে এই দোকানটি কিনেছিলাম পরিবার নিয়ে একটু ভালোভাবে বাঁচব সেই আশায়। কিন্তু আমার সেই আশাও দুঃস্বপ্ন হয়ে গেল। লকডাউনে আমার ব্যবসাও প্রায় বন্ধ, আমি বর্তমানে খুব কষ্টে আছি। পরিবার নিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় আমি সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এমএসএম / জামান

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু
