প্রায় ৪ বছর পর সামনে এলো ছাত্রকল্যাণ তহবিলের ৭ কোটি টাকা

ড ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বর্তমানে ব্যাংক খাতে আর্থিক কেলেংকারী ও নানা রকম দুর্নীতির তথ্য একের পর এক সামনে আসতে শুরু করে। একই ধারাবাহিকতায় গত বেশকিছু দিন যাবত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিলের প্রায় ৫-১০ কোটি টাকার হিসাব আছে এমন রিউমার উঠলে অনুসন্ধানে দেখা গেছে ছাত্র কল্যাণ তহবিলে প্রায় ৭ কোটি টাকা সহ প্রায় ১৭ কোটি টাকার হিসাব সামনে আসে যা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য খন্দকার নাসিরউদ্দিন। ছাত্রকল্যাণ তহবিলের পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রভিডেন্স ফান্ডের প্রায় ১০ কোটি টাকার হিসাব সামনে এসেছে।
দীর্ঘ ৪ বছর ধরে ছাত্র কল্যাণ তহবিলের টাকার হিসাব সামনে আসেনি শুধু ছাত্র কল্যাণ তহবিল নয় এর বাইরে অনেক হিসেব আছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ব্যক্তি ছাড়া জানেন না বলে সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড একিউএম মাহবুব দাবি করেছেন।
এই টাকার বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও সাবেক উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা টাকার বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।
৩০ আগস্ট বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্তা বাজার পত্রিকার প্রতিনিধির সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে খন্দকার নাসিরউদ্দিন এই টাকার বিষয়ে কথা বলেন। এই ৭ কোটি টাকার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ অবগত আছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, যতদূর মনে পড়ে একাউন্ট সেকশনের কলিংস (মসিউর),আতিকুজ্জামান ভূইয়া ও ড মোঃ শাহজাহান এর কথা উল্লেখ করেন।
এই টাকার বিষয়ে একাউন্ট সেকশনে যোগাযোগ করা হলে, একাউন্ট'স সেকশনের উপ পরিচালক (হিসাব) শেখ মশিকুর রহমান অবগত নয় উল্লেখ করে বলেন, এটা তো আমাদের জানার কথা না। আমাদের কাছে রাখেও নাই,আসলে ছাত্রদের কল্যাণ তহবিলের ব্যাপারে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর বলতে পারবেন। তবে প্রভিডেন্স ফান্ডের টাকা আছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কোন ডিপোজিট করলে সেই দ্বায় একাউন্ট সেকশন এড়াতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আসলে আমাদের জানিয়ে করলে অবশ্যই তার দায় আমাদের কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা জানি না সেগুলোর দায় তো একাউন্ট সেকশন নিবে না বলে জানান।
ছাত্রকল্যাণ তহবিলের ৭ কোটি টাকা আছে কিনা এই ব্যাপারে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃআশিকুজ্জামান ভূইয়া বলেন, যতদূর মনে পড়ে নাসির স্যার ছাত্রদের জন্য একটা ফান্ড রেখে গেছেন কিন্তু আমার সঠিক মনে নাই।
সার্বিক টাকার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রফেসর ড মোঃ শাহজাহান বলেন, টাকা রাখা আছে, কিন্তু কোন ব্যাংকে কত রাখা আছে এই মূহুর্তে আমার মনে নাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোঃ শরাফত আলী বলেন, আমি ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে জয়েন করেছি ২০২০ সালে। আমি ছাত্র কল্যাণ তহবিলে ৫-১০ কোটির কোন ফান্ড পাইনি। এরকম ৫-১০ কোটি টাকার কথার রিউমার উঠলে সদ্য সাবেক ভিসি ড একিউএম মাহবুব এর মেয়াদে ঘাটাঘাটি করে জানা যায়, ততকালীন সাবেক উপাচার্য খন্দকার নাসিরউদ্দিন ৫-১০ কোটির এফডিআর রেখে গেছেন এটা টোটালি ভুয়া।
তিনি আরও বলেন, আমি আসার পর সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড একিউএম মাহবুব স্যারের নির্দেশে ব্রাক ব্যাংক থেকে ১ কোটি টাকা উঠিয়ে অগ্রণী ব্যাংকে ৮০ লক্ষ টাকার ডিপোজিট করা হয়। এই ডিপোজিট থেকে যে টাকা আসে সেটা ছাত্রদের চিকিৎসা সহায়তায় দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড মোবারক ব'লেন,
আমার সঠিক মনে নাই তবে প্রাইম ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে আমাদের টাকা বেশি আছে। কোন ফান্ডে কত টাকা আছে ফাইল দেখে বলতে পারবো তবে আমাদের প্রাইভেট ব্যাংকে টাকা বেশি আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খন্দকার নাসিরউদ্দিন এমন কোন ফান্ড রেখে গেছেন কিনা আমার সঠিক জানা নাই। এসময় তিনি স্বীকার করেন ,খন্দকার নাসিরউদ্দিনের সময় প্রাইভেট ব্যাংক গুলোতে এই টাকা ডিপোজিট করা হয়।
সাবেক উপাচার্য প্রফেসর খন্দকার নাসিরউদ্দিন বলেন, ছাত্রদের কল্যান তহবিল নামে একটি তহবিল করছিলাম। এই তহবিলের মূল উদ্দেশ্য ছিলো যেসকল ছাত্রদের বড় বড় চিকিৎসা সহায়তায় যেন এই টাকা ব্যয় হয়। ছাত্র কল্যাণ তহবিলের ব্যাপারে একই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ১০% ইন্টারেস্ট দিলে টাকা ডিপোজিট রাখবো না হলে রাখবো না। এসময় আরও বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে একটা গাড়ি দেওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আমি চলে আসায় মেবি তারা দেয়নি।
তবে যতদূর শুনেছি ১০ কোটি টাকা তুলে নাকি অন্য কাজে ব্যবহার করেছে। এদিকে ৭ কোটির মতো টাকা ছিলো এই ব্যাপারে বলেন, দুটো একাউন্টের টাকাই উপাচার্যের স্বাক্ষর ছাড়া দেওয়ার কথা না বলে জানান তিনি।
টাকার বিষয়ে জানার জন্য সদ্য সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড একিউএম মাহবুব এর সাথে ক্যাম্পাস সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা মাত্রই ব'লেন, টাকা উদ্ধার চেষ্টায় আমি তোমাদের সহায়তা করবো। অনেক ব্যাংকে টাকা আছে, বিগত তিন বছর ধরে চেষ্টা করছি কিন্তু অনেক জোরাজুরির পর একাউন্ট সেকশন থেকে মাস খানেক আগে কয়েকটি ব্যাংকের তথ্য পাই। কিন্তু কোন ফান্ডে কত এর এক্সাট তথ্য আমি পাইনি। তোমরা ছাত্ররা মিলে খোঁজ নাও।এসময় তিনি একাউন্ট সেকশনের কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা সহায়তা করেনি বলে এতো দেরি হয়েছে। কোষাধ্যক্ষকে বলেছিলাম চিঠি দিতে কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলে আসায় আমার দ্বারা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, নাসিরউদ্দিনের আমলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা আয় হতো যার মধ্যে অবৈধ ভাবে ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রায় ৭-৮ কোটি টাকা আসতো। এই ৭-৮ কোটির বাইরে শুধু ১৭-১৮ টাকা টাকাই নয় তার সময়ে অনেক বাজেট আসতো, অনেক ব্যাংকে টাকা আছে যার সঠিক হিসেব তিনি জানেন না বলেও জানান। তিনি কথার শেষ পর্যায়ে বলেন, তোমরা ছাত্ররা এক হয়ে খোঁজ নাও নাহলে এই কোটি কোটি টাকা তোমরা উদ্ধার করতে পারবে না।
এমএসএম / এমএসএম

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

গঠনতন্ত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সংযোজন করে ইকসু'র দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টার পুনঃনিয়োগ

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ১২ গবেষক
