বিআইডব্লিউটিএ দুর্নীতি পর্ব-২
বহাল তবিয়তে আরিফ উদ্দিন
আওয়ামীলীগের মধু শেষ করে এখন বিএনপির মধু আহরণের অপেক্ষায় আরিফ। দৈনিক সকালের সময়ের বিশেষ টিম তার অঢেল সম্পদের উৎস সম্পর্কে মন্তব্য জানতে মতিঝিলে অবস্থিত বিআইডব্লিউটিএ'র প্রধান কার্যালয়ে মুখোমুখি হলে তিনি নিজেকে বিএনপির সাচ্চা কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। অথচ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে সে গত ১৭ মার্চ ২০২২ লিখেছেন জাতীয় শিশু দিবস ২০২২- এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মদিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা, সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিযোগ শতভাগ আওয়ামীলীগকে কেউ মনে প্রাণে ধারণ না করলে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা লিখা সম্ভবনা বা লিখেন না।
এছাড়াও সাবেক নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমনকি সাবেক স্বৈরশাষক শেখ হাসিনার সাথে তার একাধিক ছবিও তার প্রমাণ বহন করে। গত ৩ সেপ্টেম্বর "দুর্নীতির রাজা বিআইডব্লিউটিএ'র আরিফ" শিরোনামে দৈনিক সকালের সময়ের শেষ পাতায় খবর প্রকাশের পর হতে মুখ খুলতে শুরু করছে ভুক্তভোগীরা। ঐদিন বিআইডব্লিউটিএ’তে হট কেক ছিল সকালের সময়। বেলা ১১ টার মধ্যে পল্টন-মতিঝিল এলাকার পত্রিকা শেষ হয়ে যায়। এরপর অনেকে সকালের সময় অফিসে ফোন করে এবং লোক মারফত পত্রিকা সংগ্রহ করে।
বিআইডব্লিউটিএ’র বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয় বলেও জানা গেছে। সদরঘাটে মসজিদ ভাঙার খলনায়ক আরিফের বিরুদ্ধে এমন সংবাদ প্রকাশ করায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এ প্রতিবেদককে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, আরিফের পুরো নাম এ.কে.এম.আরিফ উদ্দিন। ডাকনাম পল্টিবাজ আরিফ, ফেসবুকীয় নাম আরিফ হাসনাত। পিতা: করিম হাজী, গ্রাম : রায়পুর, থানা: সুজানগর, পাবনা। বর্তমানে তিনি বন্দর ও পরিবহন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক এবং ল্যান্ড এন্ড এস্টেট শাখার পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) হিসেবে কর্মরত। আরিফ উদ্দিন ছাত্রজীবনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা হলেও আওয়ামীলীগ আমলে কট্টর আওয়ামীলীগার বনে যান। যার ফলে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পল্টিবাজ আরিফ নামেই ডাকেন। রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু নির্বাচিত হবার পর থেকে তিনি পাবনা জেলার সন্তান হিসেবে নিজেকে আরও সুপার পাওয়ার হিসেবে মনে করে দাপটের সাথে চলতে থাকেন।
ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছিল তার দারুন সখ্যতা। আরিফ উদ্দিন যতবার শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেছেন ততবারই নিজের ফেসবুকে সেই ছবি প্রচার করে নিজের দাপট দেখাতেন। আরিফ উদ্দিনের ফেসবুকে পোস্ট করা এমন অনেক ছবি এসেছে আমাদের হাতে। শেখ হাসিনার জন্মদিনে তুরাগ নদীতে নৌকা বাইচের আয়োজন করে একদিকে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে নিজেকে বেশি পরিচিত করে তোলেন, অন্যদিকে নিজের পকেটস্থ করেন সরকারি তহবিলের কোটি কোটি টাকা এবং একই শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনের নামে বিআইডব্লিউটিএর স্টে হোল্ডার ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আরো অন্তত এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন জানা গেছে। তার গ্রামের বাড়ি পাবনার সুজানগরের রায়পুর হলেও স্ত্রী শামীমা দীবা, ছেলে সাদ ও মেয়ে আরিন সবাই দেশের বাইরে বসবাসরত। এর মধ্যে তার স্ত্রী প্রায়ই দেশে যাতায়াতের মধ্যে থাকেন জানা যায়। এ কে এম আরিফ উদ্দিন বড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানের নামে অন্তত ৫০ কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন মর্মে অভিযোগ আছে। এছাড়াও এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্সকে না জানিয়ে নদীর সীমানা পিলার স্থাপন, নারায়ণগঞ্জের পাগলায় চায়না কোম্পানির দু’টি জাহাজ নিলামে দেয়া, গাবতলীতে ১৭টি ট্রাক নিলামে দেয়া, নারায়ণগঞ্জে তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা, মালিকানাধীন জমি সরকারি বলে অন্যত্র লিজ দেয়া, বন বিভাগের জমি বিক্রি করা, কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে চার কোটি টাকা ঘুষ নেয়া, পুরান ঢাকার ইসলামবাগে ১৮টি বৈধভবন মালিকের প্রতিপক্ষ লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেসই ভবনগুলো ভাঙা, সদরঘাটে মসজিদ ভাঙা, লঞ্চের মাস্টারকে মারধর ও পিকনিকের লঞ্চে আর্মি অফিসার ও সচিবকে লাঞ্চিত করাসহ ব্যাপক অপকর্ম করেছেন।
আওয়ামীলীগ সরকার পতনের সাথে সাথে আরিফ উদ্দিনের চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী পল্টি দিয়ে সাচ্চা বিএনপি নেতা বনে যাওয়ার চেষ্টা থেমে নেই তার। জানা যাচ্ছে এবার তিনি আরো বেপরোয়া কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। ধার ধারছেননা কোন নিয়ম কানুনের। আরিফ উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা নদী বন্দরে কর্মরত থাকাকালীন নিরীহদের উচ্ছেদ করলেও প্রভাবশালীদের ধারে কাছেও যাননি। কথায় কথায় মানুষের শরীরে হাত তুলেছেন। গত সৈরশাষক আমলে তার কথামতো কাজ না করলে মালিকানাধীন বৈধ ভবনও নিমিষের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে দ্বিধা করেননি। আবার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভবন উচ্ছেদ না করাসহ নানা অপকর্মের কারণে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে কর্ম থাকাকালীন সময়ে ২২টি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে চার কোটি টাকা কন্ট্রাক্ট নিয়ে মদনগঞ্জ ট্রলার ঘাটের পাশে শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে মাহফুজুল ইসলামের আলিনা ডকইয়ার্ড ও শাকিলদের মুন্সি ডকইয়ার্ড অবৈধভাবে উচ্ছেদ করে কর্ণফুলী ডকইয়ার্ডকে জমি বুঝিয়ে দেন আরিফ উদ্দিন। এ ঘটনায় উচ্চ আদালতে রিট করেন মাহফুজুল ইসলাম। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে আরিফ উদ্দিন মীমাংসাও করেন ডকইয়ার্ড মালিকদের সাথে। এতে মধ্যস্থতা করেন নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার তৎকালীন ওসি আবুল কালাম।
আরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ ডেক ইঞ্জিন পার্সোনেল ট্রেনিং সেন্টারের (ডিইপিটিসি) বহু গাছ কেটে আরেক ডকইয়ার্ড মালিকের কাছে জমি বুঝিয়ে দিলে মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এখানেই থেমে নেই আরিফের কুকর্ম, জানা গেছে কাঁচপুরে নদী তীরে বালু ভরাটের কাজে সহায়তার অভিযোগে মামলা হলে তাকে শোকজ করেন বিআইডব্লিউটিএর তখনকার চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক। বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মদনগঞ্জ, কাঁচপুর, ঢাকেশ্বরী, রূপগঞ্জ এলাকায় মানববন্ধন করে হাজারো মানুষ। ডকইয়ার্ড মালিক মাছুম, আবুল কালাম বসু, মাহফুজুল ইসলাম ও শাকিলসহ অনেক ভুক্তভোগী আরিফের অপকর্মের শিকার হয়ে পথে বসেছেন।
ঢাকা নদীবন্দর কর্মকর্তা থাকাকালীন রাজধানীর লালবাগের পূর্ব ইসলামবাগ এলাকায় প্রায় ১৮টি বৈধভবন উচ্ছেদ করেন আরিফ উদ্দিন। এসব ভবন ভাঙার আগে বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাসলাইন সংযোগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন করেননি। এমনকি ভবনে বসবাসকারীদের নামারও সুযোগ দেননি। এসব ভবন ভাঙার সময় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। অনেকের বিল্ডিং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের কাছে ভবনপ্রতি লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় তা না দিতে পারায় এমনটা করেছে আরিফ।
২০১৮ সালের ৫ আগস্ট সদরঘাটে বায়তুল নাজাত মসজিদ ও মাদরাসা ভাঙা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটান আরিফ। এ সময় পাঁচজন আহত হয়। মসজিদের দুইটি দোকান ও মাসে ৪০ হাজার টাকা দাবি করলে তা দিতে চাননি মসজিদ ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অতিরিক্ত ডিআইজি ও লালবাগ জোনের ডিসির নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরের দিন মন্ত্রীর নির্দেশে সংস্কার করে দেয়া হয় মসজিদটি। মূলত: সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ছিলেন তার টাকায় কেনা মন্ত্রী। এই দুই মন্ত্রীর কেউই আরিফের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা নেননি।
সদরঘাট থেকে একটি সংগঠন দুইটি লঞ্চ নিয়ে চাঁদপুরের দিকে পিকনিকে যাওয়ার আগে পোর্ট অফিসার আরিফ হানা দেয় লঞ্চে। এ সময় আর্মি অফিসার, সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে লঞ্চ মাস্টারকে মারধরের পর লঞ্চের ঝাড়ু দিয়ে পোর্ট অফিসারকে পিটায় যাত্রীরা। কিন্তু আরিফ উদ্দিন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় মন্ত্রণালয় বা বিআইডব্লিউটিএ থেকে কোনরকম পদক্ষেপ নেয়নি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান:
গত ২৭ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য প্রমান এসেছে। এর আগে আরিফের বিরুদ্ধে উপ-পরিচালক মো: হাফিজুল ইসলাম (অনু ও তদন্ত-২) টিমের পক্ষ থেকে পরিচালক (প্রশাসন) বিআইডব্লিউটিএ বরাবরে এক পত্রে একেএম আরিফ উদ্দিন ওরফে আরিফ হাসনাত, যুগ্ম পরিচালক, বন্দর ও পরিবহন বিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ, ঢাকা কর্তৃক নানাবিধ দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য মাঠে নামে।
দুদকের চাহিদা পত্রে যে সমস্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে তা হলো বিআইডব্লিউটিএ আওতাধীন নারায়নগঞ্জ পোর্ট হইতে ১/১/১৯-৩১/১২/২২ তারিখ সময়ে সদরঘাট পোর্ট হতে ১/১/২০২০-৩১/১২/২২ তারিখ সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক খাতের হিসেবের বিবরনী এ ছাড়াও জনাব আরিফ হাসনাত, যুগ্ম পরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ এর ব্যক্তিগত নথি, উত্তোলিত বেতন ভাতার বিবরন (শুরু হইতে জুন/২৩ সময় পর্যন্ত) দায় দায়িত্ব সম্পর্কীত অফিস আদেশ সমূহ তার নিজ স্ত্রী/সন্তান/ভাই গনের নামে ব্যবসা/শেয়ার পরিচালনায় আবেদন এবং অনুমোদন সংক্রান্ত সমুদয় রেকর্ডপত্র।
এ.কে.এম আরিফ উদ্দিন ঢাকার ৩০১ এলিফ্যান্ট রোডে তার স্ত্রী শামীমার নামে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ী, বারিধারা বসুন্ধরাতে ব্লক সি তিনি প্রসাদতম ফ্ল্যাটে বসবাস করে, পাশে ১টি ফ্ল্যাট ক্রয় করে ভাড়া দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও তার নামে ও তার পরিবারের নামে পাবনাতে রয়েছে অসংখ্য সম্পত্তি, সুজানগর পাবনাতে রয়েছে অঢেল সম্পদ। পূর্বাচলে প্লট, বসুন্ধরা অংশীদারিত্বে ১টি বিল্ডিং এর কাজ চলমান। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর শাজাহান খান নৌপরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলে আর পেছন ফিরে তাকানো লাগেনি আরিফ উদ্দিনের। একটানা বন্দর ও পরিবহন বিভাগে চাকরী করে আসছেন। নারায়ণগঞ্জ এবং সদরঘাটে থাকাকালীন সময়ে ঘাট ইজারা দিয়ে, ফোরশোর লীজ এবং ঘাটের ইজারাদারকে দিয়ে কোর্টে মামলা দিয়ে ইজারার পরিবর্তে ঘাট খাওয়ানোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেন। ছেলে আমেরিকা এবং মেয়েকে লন্ডনে পড়াশোনা করাচ্ছেন আরিফ উদ্দিন।
বসুন্ধরা রিভারভিউ (ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টিজ লিমিটেড), তুরাগ হাউজিং, মধু সিটি, মধুমতি মডেল টাউনসহ নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানিকে বিপুল পরিমাণ নদীর জমি দখলের সুযোগ করে দেয় একেএম আরিফ উদ্দিন, যার মূল্য আনুমানিক শত কোটি টাকার বেশি। এছাড়া নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের নামে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। সঠিক জায়গায় সীমানা পিলার না বসিয়ে নদী দখলকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সীমানা পিলার ঘুরিয়ে দিয়েছেন আরিফ। আওয়ামীলীগ আমলে আরিফের নেতৃত্বে স্থাপিত সীমানা পিলারের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক এবং নদী প্রেমী জনগণ। ফোরশোর লীজ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আরিফ উদ্দিন। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর আরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর শান্তিপ্রিয় কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। দৈনিক সকালের সময়ের বিশেষ টিমের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত ২টা বাড়ি ও ৫টি ফ্লাটের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এমএসএম / এমএসএম