ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মেহেরপুরে জামায়াত নেতা হত্যার অভিযোগে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও এসপিসহ আসামি ১৯


মেহেরপুর প্রতিনিধি photo মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯-৯-২০২৪ বিকাল ৫:২২

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বন্ধুকযুদ্ধের নামে হত্যার ঘটনায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও সাবেক পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলামসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহারের আদালতে নিহত তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ছোট ভাই তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন। মামলায় ১৯ জনের মধ্যে চারজন রাজনৈতিক নেতা ও বাকি ১৫ জন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন এএসপি মোস্তাাফিজুর রহমান, এএসপি আব্দুল জলিল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, সদর এসিল্যান্ড ফরিদ হোসেন, গাংনী র‌্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেন, ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার আসাদ মিয়া, ওসি ডিবি বাবুল আক্তার, সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম, ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম, এএসআই আব্দুল হান্নান, কনস্টেবল সাধন কুমার, নারদ কুমার, ডিবির কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন এবং সাবেক ইউপি সদস্য দরুদ আলী।

মামলার এজাহার সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০১৪ সালে তারিক মো. সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলার সহকারী সেক্রেটারী ছিলেন। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা থাকায় ভিন্নমতের নেতৃত্বকে সমূলে বিনাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে।

২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি দুপুরে ব্যক্তিগত কাজে তারিক মো. সাইফুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার ইসলামী ব্যাংকের কাছে গেলে আসামি বারিকুল ইসলাম লিজন ও দরুদ আলী সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুলকে জানান। সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সুপারিশে তৎকালীন পুলিশ সুপার কেএম নাহিদুল ইসলামের নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা তারিককে আটক করেন। তাৎক্ষণিক সাংবাদিকরা জানতে পেরে পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত হলেও তারিকের স্ত্রী স্বামীর সন্ধানে পুলিশ সুপারের কাযার্লয়ে গেলে পুলিশ সুপার আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন। আটকের পর গোপন স্থানে রেখে তারিককে শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন করেন আসামিরা। পরে রাত সাড়ে় ১১টার দিকে শহরতলীর বামনপাড়া শ্মশানঘাট এলাকায় কথিত বন্ধুকযুদ্ধের নামে একাধিক গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে মেহেরপুর মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে অতিদ্রুত লাশ দাফনের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মারুফ আহমেদ বিজন জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে।

T.A.S / জামান

রাণীনগরে রাইডো ব্রেইন ব্যাটল কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

অভয়নগরে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম, অভিযানে ৭ দালালের কারাদন্ড

শিবচরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সাতকানিয়া কেরানীহাটের মাছ বাবুল গ্রেফতার

কোটালীপাড়ায় শরীরে আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক

সিংড়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দোকান দখলের অভিযোগ

নাগেশ্বরী অগ্রহণী ব্যাংকে গ্রাহক হয়রানী চরমে

ঝিনাইদহে রোপা আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ

কুমিল্লায় ডিএক্স নিউ এনার্জি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের যাত্রা শুরু

সাভারে ক্লুলেস রিমন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

পঞ্চগড়ে সাংবাদিককে সন্ত্রাসী বললেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট