নিম্নচাপে ফুঁসছে সাগর, বন্ধ ইলিশ আহরণ

নিম্নচাপের প্রভাবে ফুঁসে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। গত রবিবার থেকে চরম অশান্ত হয়ে ওঠে সমুদ্র। উত্তাল ঢেউয়ে টিকতে না পেরে বাগেরহাটের শরণখোলাসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত ফিশিং ট্রলার তীরে ফিরে এসেছে। ফলে তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইলিশ আহরণ। এসব ফিশিং ট্রলার উপকূলীয় পাথরঘাটা, মহিপুর, নিদ্রাছখিনা ও শরখোলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ঘাটে অবস্থান করছে।
জানা গেছে, গত ২০ মে থেকে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গত ২৩ জুলাই। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই হানা দেয় দুর্যোগ। সে সময় সাগরে রওনা হয়েও উত্তাল ঢেউয়ে জাল ফেলতে পারেননি জেলেরা। শূন্য ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরতে হয় তাদের। ইলিশ না পাওয়ায় প্রথম ট্রিপেই লাখ লাখ টাকা লোকসানে পড়তে হয় ট্রলার মালিক ও আড়তদারদের। দেড় মাসের মাথায় আবার দুর্যোগ হানা দেয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
উপকূলীয় জেলে-মহাজনদের দাবি, ৬৫ দিনের অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা) মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে তেমন কোনো সুফল হচ্ছে না। নিষিদ্ধ এই সময়টাতে ইলিশের ভরা মৌসুম থাকে। এ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন দেশীয় জেলেরা। অথচ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভিনদেশি জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যায়। তাছাড়া মৌসুমের বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাগর থাকে উত্তাল। ঠিকমতো জাল ফেলা সম্ভব হয় না তখন। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার এই সময়টাতে প্রকৃতিও মোটামুটি শান্ত থাকে। তাই ভরা মৌসুমের এই সময়ে ৬৫ দিনর নিষেধাজ্ঞা না দেয়ার দাবি জানান মৎস্য-সংশ্লিষ্টরা।
শরণখোলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মো. দেলোয়ার ফরাজ ও মো. কবির হাওলাদার জানান, পাঁচ মাসের ইলিশ মৌসুমের তিন মাসই থাকে অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা)। বাকি সময় দফায় দফায় দুর্যোগে সাগর উত্তাল থাকায় ঠিকমতো জাল ফেলা যায় না। ফলে লোকসানের ঘানি টানতে টানতে পথে বসতে হচ্ছে মহাজন-আড়তদারদের। ভরা মৌসুমে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানান তারা।
শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, এখন ইলিশ মৌসুম প্রায় শেষের পথে। এমন সময় দুর্যোগ তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। নিম্নচাপের কারণে সাগর খুবই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। তিন দিন ধরে সমস্ত ট্রলার ঘাটে অবস্থান করছে। মাছ ধরতে না পারায় এবার খরচ ওঠেনি কোনো মহাজনের।
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা মৎস্যসম্পদে তেমন সুফল বয়ে আনছে না দাবি করে আবুল হোসেন বলেন, যখন ইলিশের ভরা মৌসুম, তখনই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এই সুযোগে ভিনদেশি জেলেরা আমাদের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করে নিয়ে যায় প্রতি বছর। তাতে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশি।
মৎস্য খাতে একেকজন মহাজনের ট্রলার, জাল ও অন্যসব মিলিয়ে কারো ৩০ লাখ, কারো ৫০ লাখ আবার কারো কারো কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। সব মিলিয়ে মৌসুমের তিন মাস নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের চালান উঠছে না। ফলে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত লাখ লাখ জেলে চরম সংকটে পতিত হচ্ছে। মহাজনরা দেনায় জর্জরিত হয়ে দেউলিয়া হচ্ছে। তাই জেলেদের স্বার্থে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানাই সরকারের কাছে।
এমএসএম / জামান

খাগড়াছড়ি ও গুইমারা সংঘাত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

টাঙ্গাইলে আইসিইউ বন্ধ, পর্যাপ্ত ডাক্তারও নেই, রোগীরা আশানুরূপ সেবা পাচ্ছেননা

সিংড়ায় পূজা মন্ডপে বিএনপি নেতার অনুদান প্রদান

অভয়নগরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজসহ সার বিতরণ

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

মাদারীপুরে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

রায়গঞ্জে ভিডব্লিউবি'র কর্মসূচি'র পচা ও নিম্ন মানের চাল বিতরণ

মিরসরাইয়ে এতিমের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ জহুরুল হক এর বিরুদ্ধে

চন্দনাইশে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন সাবেক বিচারপতি মামুন

কালীগঞ্জে কৃষকদের মাঝে শাক সবজি বীজ ও সার বিতরণ

হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উপহার দৈনিক সকালের সময় প্রকাশিত সেই মানবিক এনাম

আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষিকা মা-মেয়ে নিহত স্বামীসহ আহত-৫
