পাবনার বাজারে ক্রেতারা দিশাহারা

পাবনা অঞ্চলে দফায় দফায় টানা অতিবর্ষণের ফলে সর্বত্র সব ধরনের সবজির আবাদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে লাগামহীনভাবে বেড়েছে সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে সবজির বাজার। এদিকে কাঁচামরিচের দাম হয়েছে দ্বিগুণ। যে কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল, তা এখন ৪০০ টাকার বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ২০০ টাকা । লাগামহীনভাবে কাঁচা সবজির দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) পাবনার বড় বাজার ঘুরে দেখো গেছে, বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, করলা ১২০, উচ্ছে ৮০ টাকা, পাকা কুমড়া ৬০ টাকা, চিঙ্গিগা ৭০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পুঁইশাক প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা ,কাঁচাকলা ১ হালি ৪০ টাকা, টেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা শিক্ষক আবুল কালাম ওরফে মাসুম স্যার বলেন, আমি সামান্য বেতনে একটি কেজি স্কুলের শিক্ষক। বর্তমানে সবজির দাম অত্যধিক বৃদ্ধিতে বিপাকে আছি। প্রতিটি সবজি কেজিতে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা । ১০০‘র কাছাকাছি সবজির দাম। এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে আমরা জানি না। তবে এভাবে চললে আমাদের বেঁচে থাকা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।
রিকসাচালক রিপন আলী বলেন, সারাদিন রিকসা চালিয়ে মালিককে ৪০০ টাকা দিই। তারপর হাতে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা থাকে। বাজার করতে প্রতিদিনই প্রায় সব টাকা চলে যায়। তাহলে আমাদের চলবে কেমন করে? সংসারে মোট ৫ সদস্য। তাদের ভরণ-পোষণ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। এভাবে দিন দিন সবজির দাম বাড়লে আমরা বাঁচব না।
পাবনা সদরের নারায়ণপুর এলাকার কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমর সবজি ও মরিচের ক্ষেত টানা বর্ষণের ফলে অধিকাংশ তলিয়ে গেছে। ক্ষেতের বেগুন ও লাউ বিক্রি করে গত সপ্তাহে ভালো দাম পেয়েছিলাম। কিন্তু অব্যাহত বর্ষণের ফলে ক্ষেতের সবজি তুলতে পারছি না। মরিচের ক্ষেতে হাঁটুপানি। অনেক মরিচ গাছ পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। বর্ষণের ফলে আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। টানা বর্ষণের ফলে আমার বেগুনের ক্ষেতও নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া এক বিঘা পেঁপে গাছের গোড়ায় পানি জমে ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এবার বৃষ্টি না হলে সবজিতে ভালো দাম পেতাম কিন্তু অব্যাহতভাবে বর্ষণের ফলে বেগুন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
ঈশ্বরদী উপজেলার শিম চাষি আবুল হাসেম বলেন, আমার দেড় বিঘা শিমের ক্ষেত পুরোটায় পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমি দিশাহারা হয়ে পড়েছি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বর্ষণের ফলে পাবনা অঞ্চলে কৃষকের সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বাজারে সবজির আমদানি একেবারেই নেই বললে চলে। তাই চড়া দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন সবজির তীব্র সংকট থাকার কারণে এ দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিক বলে ব্যবসায়ীদের অভিমত।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের দপ্তরের সূত্রমতে, এবার জেলায় ১ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজির আবাদ হয়েছে। তবে অতিবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
T.A.S / জামান

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
