ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

চবিতে আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসায় সহপাঠীদের পরীক্ষা বয়কট


আশিক মিয়া, চবি photo আশিক মিয়া, চবি
প্রকাশিত: ২০-১০-২০২৪ বিকাল ৬:৫১

কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে গণহত্যার সমর্থন দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় পরীক্ষা বর্জন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২০ আক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিপক্ষে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি প্রথম বর্ষের ১০১ নাম্বার কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় উপস্থিত হলে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে যান তার সহপাঠীরা। এ সময় বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনে অবস্থান নেন তারা। এর আগে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর গণস্বাক্ষরসংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।  

শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে গণহত্যাকারীদের পক্ষে এবং আন্দোলনের বিপক্ষে সে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে গণহত্যাকারীদের দোসর হিসেবে কাজ করে। আন্দোলনপরবর্তী সময়ে তার সহপাঠীরা এ বিষয়ে তাকে বললে তার মাঝে কোনো অনুশোচনা লক্ষ্য করা যায়নি বরং সে কোনো অন্যায় করেনি বলে জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রনি হাসান বরাত বলেন, জুলাই গণঅভ্যুাত্থানে আমাদের আনেক সহপাঠী ও ভাই প্রাণ হারিয়েছে। সেই গণহত্যকারীদের পক্ষে দোসর হিসেবে কাজ করেছিল জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নি, যাকে আমরা ডিপার্টমেন্ট থেকে বয়কট করেছিলাম। পরীক্ষার হলে তাকে দেখলে আমরা পরীক্ষা বয়কট করে হল থেকে বের হয়ে আসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি শুরু থেকেই কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলাম। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে টিয়ারগ্যাসে আহত হয়েছি। হাইকোর্ট থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কোটার রায় এলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে না আসায় আমি আন্দোলন থেকে বের হয়ে পড়ি। এরপর আমি একটা পোস্ট করি- 'কোটার পক্ষে ছিলাম, কিন্তু এখন যেটা চাচ্ছেন সেটার পক্ষে নাই।’ এই পোস্টের কারণেই আমাকে বিভাগ থেকে বয়কট করে। আজ আমি পরীক্ষা দিতে যাওয়ায় আমার সহপাঠীরা ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়। আমি পরীক্ষা দিতে চাই। আমি তো কোনো ক্রাইম করিনি। শিক্ষকদের কাছে আমি সবকিছু বলেছি। তারা আমাকে যথেষ্ট কো-অপারেট করেছেন। যা করেছে আমার সহপাঠীরা করেছে। বিভাগ থেকে লিখিত আকারে যদি আমাকে পরীক্ষা দিতে না বলে, সেটা আমি গ্রহণ করব এবং পরে অ্যাকশন নেব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম সকালের সময়কে বলেন, মুন্নি পরীক্ষা দিতে আসায় তার সহপাঠীরা পরীক্ষা দেয়নি। তারা প্রক্টর অফিসে এ সম্পর্কে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছে। আমরা আগামী পরশুদিন (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

T.A.S / জামান

মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি

ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ

ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত

ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ

দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল

জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা