ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

চবিতে শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা


আশিক মিয়া, চবি photo আশিক মিয়া, চবি
প্রকাশিত: ২১-১০-২০২৪ দুপুর ৩:২৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রেল স্টেশন সংলগ্ন দোকান দখলকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় আইএমএল এর ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত, আরবি বিভাগের ২২-২৩ সেশনের নাজমুল হাসান, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ১৯-২০ সেশনের মোনায়েম শরীফ, ইসলামিক স্টাডিজ ২০-২১ সেশনের আব্দুল্লাহ আল নোমান, মুজাহিদুল ইসলাম আহত হন।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন। 

শিক্ষার্থীরা জানান, গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের পরিচালিত একটি দোকান দখল করতে আসে হাটহাজারী উপজেলার যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফের নেতাকর্মীরা। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি থাকায় তাদের উপর ককটেল বিস্ফরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। পরে ক্যাম্পাসে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে জড়ো হন এবং রেল ক্রসিংয়ের দিকে হামলার প্রতিবাদে মিছিল নিয়ে গেলে আবার শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফরণ ও গুলি বর্ষণ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময়ে পাচঁজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলি ওবায়দুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী রেল স্টেশন সংলগ্ন আপ্যায়ণ ঘরে নামে একটি দোকান পরিচালনা করতো। গত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই দোকানটি দখল করতে আসে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময়ে তারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমরা সকালে রেল ক্রসিংয়ের দিকে মিছিল নিয়ে গেলে তারা আবার আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা এ সময়ে পুলিশ বারবার ফোন করেছি কিন্তু পুলিশ তেমন সহযোগিতা করেনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, স্থানীয় দুই ব্যাবসায়ীর দ্বন্দ্বে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফরণ করেন৷ এ সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা হল থেকে বের হয়ে রেল ক্রসিংয়ের গেলে তারা আবার ককটেল বিস্ফোরণ করেন। এ সময়ে পুলিশলের সহযোগিতা তেমন পায়নি। 

এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা যে অসহযোগিতার অভিযোগ করছে সেটা সঠিক নয়। আমরা ৬টা ১৮ মিনিটে খবর পেয়েছি এবং ৬টা ২৬ মিনিটে রেল ক্রসিংয়ের এখানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়রা উত্তেজিতছিল তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি। যাতে শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের কোন ঝামেলা না হয়। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য সবরকম সহযোগিতা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন শান্ত৷

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাতে রেলক্রসিং এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছিল যুবলীগ নেতা  হানিফ ও তার অনুসারীরা। সেসময় দর্শন বিভাগের শিক্ষক মোজাম্মেল স্যারের গাড়ীতেও হামলা করে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে সবগুলো দোকানের ভাড়া নেয় হানিফ। এ ছাড়া তার ছোটোভাই ছাত্রলীগ নেতা মো. ইকবাল পুরো ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় ডিসের লাইন এবং ওয়াইফাইয়ের ব্যবসা করে। নিম্নমানের ইন্টারনেট দিয়ে দীর্ঘদিন এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যকাউকে তারা এখানে ব্রডব্যান্ডের ব্যবসাও করতে দেয় না। এমনকি শিক্ষার্থীরা তাদের এসব সমস্যা নিয়ে মুখ খুললে হুমকিধামকি ও গুপ্ত হামলা চালায় হানিফ বাহিনী।

T.A.S / T.A.S

মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি

ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ

ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত

ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ

দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল

জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা