চিনাবাদামের উন্নত জাত ও চাষাবাদ কৌশল বিষয়ে ১০০ কৃষককে প্রশিক্ষণ দিল বিনা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন বিনা চিনাবাদামের জাতসমূহের পরিচিতি ও চাষাবাদ কৌশল শীর্ষক কৃষক ও কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিনা শাখার ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া অডিটরিয়ামে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১০০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন। বিনা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে চিনাবাদামের উন্নত জাতসমূহ এবং আধুনিক চাষাবাদ কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও চিনাবাদাম চাষে সঠিক মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা, বীজ বপনের সঠিক সময়, রোগ নিয়ন্ত্রণ, পরিচর্যা এবং সারের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বিনা উদ্ভাবিত ৭টি চিনাবাদামের জাত, বিনা চিনাবাদাম-৪ এবং ১০ উচ্চ ফলনশীল এবং স্বল্প জীবনকালীন বৈশিষ্ট্য এবং বাকি জাতগুলো লবণাক্ততা সহিষ্ণু বৈশিষ্ট্যের বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
জাতগুলোর গড় ফলন ও জীবনকাল নিয়ে আলোচকবৃন্দ বলেন, বিনা চিনাবাদাম-৪-এর গড় ফলন হেক্টরে ২.৬ টন এবং বিনা চিনাবাদাম-১০-এর ফলন হেক্টরে ২.৮ টন। বিনা চিনাবাদাম-৪-এর রবি মৌসুমে জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন এবং খরিফ মৌসুমে ১০০-১২০ দিন। আবার বিনা চিনাবাদাম-৬-এর রবি মৌসুমে জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন এবং খরিফ মৌসুমে ১১০-১২০ দিন।
বিনার গবেষণা শাখার পরিচালক ড. মো. ইকরাম উল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ডিএই ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সালমা আক্তার, ফলিত গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিভাগের প্রধান ও পিএসও ড. শামীমা বেগম। স্বাগত বক্তব্য দেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের পিএসও ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার।
এ সময় কৃষিবিদ সালমা আক্তার কৃষকদের উদ্ভাবিত জাতসমূহের সুবিধাসমূহ এবং উচ্চ ফলনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তেলজাতীয় শস্যের মধ্যে বর্তমানে চিনাবাদাম চাষের গুরুত্ব বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিনাবাদাম শুধু চাষাবাদের জন্যই নয়; বরং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধিতেও দারুণ সাহায্য করে। একটি পতিত জমিতে যেখানে কোনো ফসল চাষ করা যায় না, সেখানে টানা তিন বছর চিনাবাদাম চাষ করলে পরবর্তীতে ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, চিনাবাদাম ফসলটি শরীরের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাজে কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। হৃদপিণ্ডের সুস্থতা ও হৃদরোগ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে এই ফসল। এটি চাষাবাদ করাও বেশ লাভজনক। বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদ করলে হেক্টরপ্রতি ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন। তবে এ ফসলের বীজ সাধারণ উপায়ে বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। তাই আমি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে অনুরোধ করব যেন কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে বীজ সরবরাহ করা হয়।
T.A.S / জামান
মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি
ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ
ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত
ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা
জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন
শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ
উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ
দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল