বাকেরগঞ্জে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি পণ্য

বরিশালের বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন বেকারিতে কাপড় ও কাঠের রং ব্যবহার করা হচ্ছে বিস্কুট, পাউরুটি, কেক, মিষ্টিসহ বিভিন্ন খাবার তৈরিতে। বেকারি পণ্যের নামে আসলে আমরা কী খাচ্ছি? বাকেরগঞ্জের বেশিরভাগ বেকারি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে এবং খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণেও রয়েছে চরম অব্যবস্থাপনা।
এছাড়াও পণ্য রাখার ঘর যেমন অপরিষ্কার তেমনি পোকামাকড়েও ভরপুর। সর্বোপরি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের নেই বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স। থাকলে মান বজায় রেখে উৎপাদন করা হচ্ছে না পণ্য। অনুমোদন ছাড়াই বেকারি পণ্যের উৎপাদন এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে মানবস্বাস্থ্যের বিষয়টি হুমকির মুখে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ বেকারির নেই ট্রেড লাইসেন্স। এছাড়া নেই বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ, স্যানিটারি ও ট্রেডমার্ক ছাড়পত্র। ফলে তদারকির অভাবে উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে বেকারি। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এসব খাদ্য মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ।
গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, সরকারি অনুমতি ছাড়াই মানহীন পণ্য উৎপাদন করে বাজারজাত করছে বাকেরগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের বরিশাল বেকারি, মায়ের দোয়া বেকারি ও প্রিয়জন বেকারি। এসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে বিস্কুট, কেক, পাউরুটিসহ নানা মুখরোচক খাদ্যপণ্য। স্যাঁতসেঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে বেকারিসামগ্রী। বেকারিতে ব্যবহৃত জিনিসগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। শ্রমিকরা খালি পায়ে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন। এ সময় তাদের গা থেকে ঘাম ঝরে পণ্যের ওপর পড়তে দেখা গেছে। আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাত করার কড়াইগুলোও অপরিষ্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ভন ভন করছে মাছির ঝাঁক। অপরিচ্ছন্ন হাতেই প্যাকেট করা হচ্ছে এসব পণ্য। বাহারি মোড়কে বিভিন্ন ধরনের বেকারিসামগ্রী বাজারজাত করা হচ্ছে। এমনকি বেকারিতে সাইনবোর্ড না লাগিয়ে নিজেদের আড়ালে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বেকারির মালিকরা।
বরিশাল বেকারির মালিক শহিদুলের কাছে বেকারি চালানোর সরকারি অনুমোদন আছে কিনা- জানতে চাইলে বলেন, আগে ছিল কিন্তু এখন নেই। তবে বিএসটিআইয়ের ছাড়পত্র আছে। অনিয়মের কথা স্বীকার করে শহিদুল ইসলাম জানান, বেকারিটি পুরনো হওয়ায় কিছুটা অপরিষ্কার। ভবিষ্যতে বেকারির পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেকারিটির এক কর্মচারী বলেন, আমাদের মালিকের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করি। তিনি যেমন পরিবেশ তৈরি করেছেন তেমন পরিবেশে কাজ করতে হয়। সারাদিন কাজ করে পরদিন সকালে ভ্যানগাড়িতে করে দোকানগুলোতে সাপ্লাই দেয়া হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলার সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র বলেন, ভেজাল খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারপরও কোথাও অনিয়ম হলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো বেকারি পণ্য উৎপাদন বা বাজারজাত করতে পারবে না। এসব বেকারির বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সেকাল-একাল বই এর মোড়ক উন্মোচন

বড়লেখায় ইজ্জত বাঁচাতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে কলেজছাত্রী আহত, চালক আটক

মানবিক সাহায্যের আবেদন-‘বাঁচতে চায় শিশু ফরহাদ আলী’

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কমলগঞ্জে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়াসহ মারধরের অভিযোগ

বাঘা থানার অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার

নবীনগরে কাঁঠালের ছড়াছড়ি: বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক ও ভোক্তা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্টপেজের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে অবরোধ

সন্দ্বীপ থানার অভিযানে ১২ মামলার আসামী গাঁজা ব্যবসায়ী আটক

নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ যুবদল সভাপতি গ্রেফতার
