পলাশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে মামলা
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর বাজারের মেসার্স মা মেডিসিন কর্নার নামে একটি ওষুধের ফার্মেসির মালিকের বিরুদ্ধে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে, মেসার্স মা মেডিসিন কর্নারের মালিক মো. শামীম মিয়া ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ বিক্রি করছেন।
নরসিংদী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে জানান, সম্প্রতি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর বাজারে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের স্থানীয় কিছু প্রতিনিধি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও মজুদের অভিযোগে মো. শামীম মিয়ার মালিকানাধীন মেসার্স মা মেডিসিন কর্নার নামে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ঘটনাটি জানালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের স্থানীয় কিছু প্রতিনিধি ও বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে ফার্মেসিতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই সময় ফার্মেসিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ অবস্থায় ওষুধের সেলফ থেকে প্রায় ১০৩ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। শামীম মিয়া কোনো ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধের ব্যবসা পরিচালনা করছেন তা প্রমাণিত হয়। তল্লাশি শেষে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিধিমোতাবেক ১০৩ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এবং একটি ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং একটি ওষুধের ইনভয়েস জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে গত ২৪ অক্টোবর খুচরা ড্রাগ লাইসেন্স ব্যতীত ওষুধ বিক্রয়, মজুদ, বিতরণ বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে প্রদর্শন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের পর ওষুধ বিক্রয় অথবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ বা প্রদর্শন করায় ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩-এর ১৪(১) ও ৪০(খ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে মো. শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নরসিংদীতে মামলা দায়ের করি (মামলা নং সিআর ৬২৬/২৪)।
সহকারী পরিচালক জানান, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি, নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা ফার্মেসির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
T.A.S / জামান