যমুনার ভাঙনের কবলে মসজিদ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারি বর্ষণে কয়েক সপ্তাহ ধরেই যমুনা নদীতে আশঙ্কাজনক হারে পানি বৃদ্ধির কারণে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীতীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বসতভিটা গিলে খাচ্ছে যমুনা। নদীভাঙনের এই ভয়াবহতায় রক্ষা পায়নি বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এরই ধারাবাহিকতায় মসজিদ বিলীনের পথে। বলছি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের একটি মসজিদের কথা। সমসজিদটি যমুনার ভয়াবহ থাবার কবলে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডও মসজিদটি রক্ষায় কোনো ধরনের কার্যকর ভূমিকা রাখেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
মসজিদটি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় অবস্থিত। গত কয়েক দিন ধরেই যমুনার ভাঙনের মুখে পড়ে মসজিদটি। প্রথম ধাপে নামাজের এ মসজিদ রক্ষায় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এগিয়ে না এলেও স্থানীয় কিছু তরুণ-যুবক ও এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ লোকজন ছাড়াও নানা বয়সী লোকজন প্লাস্টিকের বস্তায় মাটি ভরে মসজিদটিকে রক্ষায় নদীতে ফেলছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, মসজিদের মিনারের অংশে ইতোমধ্যেই মাটি ধসে পিলার বেরিয়ে পড়েছে। পানির ঢেউয়ে ঢেউয়ে মাটি সরে যাচ্ছে সেখান থেকে। ফলে যে কোনো সময় মসজিদটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, গত রোববার (২৯ আগস্ট) সকালে পানির তীব্র স্রোতে ভালকুটিয়া-চিতুলিয়াপাড়া রাস্তাটি ভেঙে যায়। এর ফলে আশপাশের গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরে এসব এলাকার মানুষ যাতায়াত করছেন। এছাড়া ভাঙনের ফলে কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি, ভালকুটিয়া, স্থলকাশি, চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় তাদেরও অনেকটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভালকুটিয়া গ্রামের লিটন মিয়া বলেন, যমুনা নদীতীরবর্তী হওয়ায় প্রতি বছর আমাদের বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই।
ভালকুটিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর মণ্ডল (সাবেক চেয়ারম্যান) বলেন, আগ্রাসী যমুনার ভাঙনে নিঃস্ব শত শত পরিবার। বিলীন হয়ে গেছে অনেক বাড়িঘর, মসজিদ। বারবার অবহিত করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ধরনের কর্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। ব্যক্তি উদ্যোগে এর আগে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। এখন মসজিদটি রক্ষায় প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু বলেন, মসজিদটি রক্ষায় স্থানীয় এমপির নির্দেশে জিওব্যাগ দেয়ায় কাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান বলেন, উপজেলার ভালকুটিয়া এলাকায় মসজিদটি ভাঙনের মুখে পড়ার বিষয়টি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে, যাতে তারা দ্রুত মসজিদটি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
এদিকে, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাংসদ ছোট মনিরের নিজস্ব অর্থায়নে গতকাল সোমবার (৩০ আগস্ট) দিনভর ভালকুটিয়ার ওই মসজিদটি রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। ফলে ওই এলাকার লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসছে। মসজিদটি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ভূমিকা নেয়ায় এমপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এমএসএম / জামান
মনোহরগঞ্জে পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরা পরিবর্তন করছে পেশা
শেরপুরে জেলা মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত
কোচিং থেকে প্রেম, এরপর বিয়ে-ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল ইভার লাশ
বাকেরগঞ্জে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কেটে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু
মসজিদের খতিব–ইমাম–মুয়াজ্জিনদের সুরক্ষায় নীতিমালা চূড়ান্তঃ কুমিল্লায় ধর্ম উপদেষ্টা
মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনঃবিবেচনার দাবিতে গণজমায়েত
চর ওয়াশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন জাতীয় বীর আমান উল্লাহ আমান
গাজীপুরের রাজনীতিতে ঝড় তুললেন ইরাদ সিদ্দিকী
ধুনটে বালুবাহী দুই ট্রাকের চাপে অটোরিকশাচালক নিহত
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের হীরক জয়ন্তী পালন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিলমারী মডেল থানার এসআই আসাদুজ্জামানের আকস্মিক মৃত্যু