রাঙামাটিতে প্রথমবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রাক বড়দিন উদযাপন
আগামী ২৫ ডিসেম্বর যীশু খ্রীষ্টের জন্ম উৎসব। এ উৎসব ঘিরে শুভ বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে রাঙামাটিতে প্রথমবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রাক-বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি খ্রিষ্টান আন্তঃ মান্ডলিক বড়দিন উদযাপন পরিষদের উদ্যেগে শহরে বর্নাঢ্য আনন্দ র্যালী কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আনন্দ বিহার এলাকায় সেন্ট ট্রিজার কনভেন্ট থেকে আনন্দ র্যালী শুরু হয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে মাঝেরবস্তি হয়ে শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পার্বত্য অঞ্চলের চারণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বড়দিনের আনন্দ র্যালীর উদ্বোধন করেন। বর্ণাঢ্য র্যালীটিতে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই এর খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন।
পরে শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে উপাসনা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত প্রাক-বড়দিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, রাঙামাটি খ্রিষ্টান আন্তঃ মান্ডলিক বড়দিন উদযাপন পরিষদের আহবায়ক রেভা দীর্ব ধন চাকমা। সিষ্টার কাকলী রোজারিও ও সুপর্ণা বাড়ৈ এর পরিচালনায় প্রাক বড়দিনের আলোচনা সভার ১ম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতালের পরিচালক প্রবীর খিয়াং। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খ্রিষ্টান সংঘের সভাপতি সাবেক জাতীয় ফুটবলার বিপ্লব মারমা, রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার মাইকেল রায়, চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতালের পাল পুরোহিত ডাঃ পাষ্টর স্টিফেন জে, মিত্র, ফাদার রেভা রোনান্ড দিলীপ সরকার, রাঙামাটি খ্রিষ্টান আন্তঃ মান্ডলীক বড়দিন উদযাপন পরিষদের আহবায়ক এবং রাঙামাটি ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ ফেলোশীপ এবং বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন রাঙ্গামটি শাখার সাধারণ সম্পাদক পাষ্টর জয় মনি চাকমা, চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতালের কম্প্রেহেনসিভ কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিজয় মারমা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, যুগে যুগে পৃথিবীতে অনেক যুগান্তকারী মহাপুরুষদের আগমন ঘটেছে। যাদের অবদান মানব ইতিহাসে চির স্বরণীয়। তেমনী এক সর্বজনবিদিত এবং সর্বশেষ্ট মহাপুরুষ হলেন যীশু খ্রীষ্ট। মানব জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে গড়ে তোলার দর্শন ও স্বপ্ন তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা চিরকাল মানুষের মনে অক্ষয় হয়ে থাকবে। তিনি শুধু মানুষের পার্থিক জ্ঞানের ভান্ডারকে শক্তিশালী করতেই এই দুনিয়াতে আসেননি বরং মানব জাতির জন্য জীবন, তথা স্বর্গের জ্ঞানের পথকে খুলে দিয়েছিলেন। তার অসাধারণ জন্ম, অভাবনীয় জীবন-যাপন, অলৌকিক মৃত্যু ও পুনরুত্থান এবং তাঁর স্বশরীরে স্বর্গে গমন তাকে মহাপুরুষ কুলের মধ্যে অনন্য সাধারণ করে তুলেছে। তাই এই বড়দিনকে ঘিরে দেশের মঙ্গল ও ভাতৃত্ববোধ যাতে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ যেন সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ সহবস্থানে থাকে এই এই কামনায় প্রভু যিশুখৃষ্টের প্রতি।
এছাড়া প্রাক-বড়দিনের আলোচনা সভায় বক্তাগণ আগামী ২৫ ডিসেম্বর সারা দেশের ন্যায় রাঙ্গামাটিতে চার্চে যথাযথ ভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন উৎসব উদযাপন করার জন্য বিশেষ দিক নির্দেশনা দেন। সর্বশেষে প্রাক-বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটে প্রাক শুভ বড়দিন উদযাপন করা হয়।
T.A.S / T.A.S