ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

একযুগেও চালু হয়নি কিচেন মার্কেট দোকান বরাদ্দ চায় ব্যবসায়ীরা


আবিদ হোসেন বুলবুল, গাজীপুর photo আবিদ হোসেন বুলবুল, গাজীপুর
প্রকাশিত: ১৫-১২-২০২৪ বিকাল ৫:২১

গাজীপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে জয়দেবপুর বাজারে আধুনিক কিচেন মার্কেট তৈরি হয়েছে। একযুগ আগে আড়াই শতাধিক ব্যবসায়ী প্রায় ১১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ক্ষতির অংক গুণে হতাশায় কাটছে দিন। নির্মাণ কাজ হওয়ার পর এরই মাঝে একদফা চলে সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ। তবুও কাঁচাবাজার চালু না হওয়ায় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বেচাকেনা করছেন দোকানিরা। দ্রুত মার্কেট চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার সকালে ব্যবসায়ীরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সামনে মানববন্ধন করে। পরে তারা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ২০০৯ সালে জয়দেবপুর বাজারে কিচেন মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ও মার্কেটটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তৎকালীন গাজীপুর পৌরসভা।

২০১২ সালের এপ্রিল মাসে মার্কেটের নির্মাণকাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৮ হাজার ৬০০ বর্গফুট জায়গার ওপর নির্মিত এই মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে মাছ, তরকারি ও অন্যান্য দোকান। দোতলায় রয়েছে রকমারি দোকানের ব্যবস্থা। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর পৌরসভা সিটি করপোরেশনে অর্ন্তভূক্ত হয়। ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান কিচেন মার্কেটের উদ্বোধন করেন। তবে উদ্বোধন হলেও বিভিন্ন কারণে আর কিচেন মার্কেটে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এরপর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মেয়র নির্বাচিত হলে চলে আরেকদফা সংস্কার কাজ। তবে মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলম বহিস্কার হলে কিচের মার্কেটে উঠতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। এরপর ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিল জাবেদ আলী কিচেন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের কথা বলে ব্যবসায়ীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেন। তবে টাকা দিয়েও বুঝে পায়নি দোকান। 

দোকানপর চুক্তিপত্র যাচাই করে দেখা যায়, কিচেন মার্কেটের নিচতলায় কাঁচাবাজার ও মাছ বাজার এবং দ্বিতীয় তলায় শপিং দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাঁচাবাজারের জন্য দোকান প্রতি নেওয়া হয় ১ লাখ ২০ হাজার। সেখানে ৭১ জন ব্যবসায়ী থেকে নেওয়া হয় ৮৫ লাখ ২০ হাজার। মাছ ব্যবসায়ীদের দোকান প্রতি নেওয়া হয় ৬১ হাজার টাকা। সেখানে ৮৮ জন মাছ ব্যবসায়ী হতে নেওয়া হয় ৫৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। দ্বিতীয় তলার মোট দোকান ৯৬ টি। এসব দোকানের সর্বনিন্ম ৮ লাখ, সর্বোচ্চ ১৩ লাখ টাকা। গড়ে ১০ লাখ টাকা হিসাবে টাকার পরিমাণ ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

জয়দেবপুর বাজার কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলার সভাপতি সুভাষচন্দ্র সাহা বলেন, ৬ মাসের জন্য বাহিরে ব্যবস্যা করতে বলে ১২ বছরেরও আর মার্কেটে উঠতে পারিনি৷ জোরাতালি দিয়ে ব্যবসা করছি। ৮৮ জন মাছ ব্যবসায়ী টাকা দিয়েছে, তারা এখন দোকান না পেয়ে এখানে কষ্ট করে ব্যবসা করে আসছে। আমরা চাই দ্রুত আমাদের যায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হোক। 

ব্যবসায়ী মোঃ মনির হোসেন বলেন, দোকান বরাদ্দের সময় ব্যবসা করার জন্য আট লাখ টাকা ব্যয় করে দোকান বরাদ্দ নিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাঁদের দোকান বুঁঝিয়ে দেয়নি সিটি করপোরেশন। । দ্রুত নতুন কিচেন মার্কেটে ব্যবসায়ীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। বাজার কমিটি ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিটি কর্পোরেশন বরাবর কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। 

জয়দেবপুর বাজার কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলার সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী অন্তু চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় তলার দোকানের জন্য ৮ লাখ টাকা দিয়েছে কিন্তু দোকান এখনো বুঝে পাইনি৷ বারবার সিটি কর্পোরেশন মেয়ট পরিবর্তন হয়, সবাই আশ্বাস দেয় তবে দোকান পাইনা। এতো বড় কিচেন মার্কেট পড়ে রয়েছে অথচ আমরা বাহিরে ব্যবসা করছি।

T.A.S / T.A.S

মধুখালীতে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী সৌরভ গ্রেফতার

রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

বেনাপোল ঘিবা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে বাড়ছে বসন্তের কোকিলের আনাগোনা

বড়লেখায় প্রাথমিকে পাঠদানের অনুমিত পেল শিশু শিক্ষা একাডেমি

জামালপুরে কার্ভাড ভ্যানের চাপায় নিহত ৫, আহত ৩

মাগুরায় ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে কচাকাটা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়ন করার দাবীতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার

নওগাঁয় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫: সন্দ্বীপে অনুষ্ঠিত হলো সমৃদ্ধি কর্মসূচির সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পটুয়াখালীর জনদুর্ভোগ নিয়ে ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন

সুবর্ণচরে বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশে চাকরি করছেন আওয়ামিলীগ নেতা