বারহাট্টার বিস্তির্ণ মাঠ জুড়ে সবুজের বুকে যেনো হলুদের আলপনা
বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতায় এখন পৌষ মাস। শীতের শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো মাঠ জুড়ে কেবল সরিষা ফুলের সমারোহ। হেমন্তের ফসল তুলতে না তুলতেই শীতের আগমনে সরিষার হলুদ ফুল শোভা পাচ্ছে বারহাট্টার বিস্তির্ণ মাঠ জুড়ে। এ যেনো সবুজের বুকে কাঁচা হলুদের আলপনা।
সরেজমিনে উপজেলা সদর, বাউসী, রায়পুর, সাহতাসহ কয়েকটি এলাকার গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে, সরিষার হলুদ ফুলে সজ্জিত বিস্তীর্ণ ভূমি। যেদিকে চোখ যায় শুধু হলুদ রঙের মেলা। মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্য।
সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা এখন ঝুঁকে পড়ছেন সরিষা চাষে। কেউবা সরিষার বীজ তৈরি করেও লাভবান হচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন বারহাট্টার কৃষকরা।
উপজেলা সদরের কাশবন গ্রামের সরিষা চাষী অরুণ ক্ষত্রিয় সকালের সময়কে বলেন, বাজারে ভোজ্য তেলের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে, তাই পরিবারের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছরই ১০-১৫ শতক জমিতে সরিষার চাষ করি। এবার পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আর্থিক লাভের আশায় আরও ১০ শতক বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছি।
রায়পুর ইউনিয়নের শাসনউড়া গ্রামের শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর আমি এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। যদি এ বছর সরিষার ভালো মূল্য পাওয়া যায়, তবে সব সরিষা চাষিই লাভবান হবেন।
বারহাট্টা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান আজাদ বলেন, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করেছে কৃষকরা। গত বছর এই উপজেলায় সরিষার চাষ হয়েছিলো ৯০০ হেক্টর জমিতে। আমরা মোট ৯০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের মতো এবারও কৃষকরা ভালো ফলন আর মূল্য পেয়ে লাভবান হতে পারবে বলে আশা করছি।
T.A.S / T.A.S