একশত বিয়াল্লিশ কোটি, ছাব্বিশ লক্ষ, চব্বিশ হাজার টাকা আত্মসাৎ
বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ

হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এর বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুলের একাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসী । গত ৩-১২-২০২৪ ইং তারিখে অভিযোগটি করা হয় ।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৪ সালে স্কুল টি এমপিও ভুক্ত হওয়ার পরে বেশ ভালোভাবে চলছিল। দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগ দুর্নীতি দিয়েই শুরু করে, দুর্নীতির বীজ বপন করেন । আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দের প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় অবৈধ অর্থের জোরে, অবৈধভাবে তিনি সহকারী শিক্ষিকা, সহকারী প্রধান শিক্ষিকা এবং প্রধান শিক্ষিকার পদ বাগিয়ে নেন ।
তিনি ২৭ -৪-২০০২ ইং তারিখে যোগদান করেন । ২১-২- ২০০২ তারিখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ১৬-৩- ২০০২ তারিখের নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় , নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তার দুর্নীতির ভিতর উল্লেখযোগ্য ২৪-১০-১৯৯৫ নীতিমালা লঙ্ঘন করে মনগড়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার শর্তারোপ করে বিজ্ঞপ্তি প্রদান, সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে তিন (৩) বছরের অভিজ্ঞতা সহ শিক্ষকতা পেশায় নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যালয়ে ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা না থাকা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় তার নিয়োগ বিধি সম্মত হয়নি, তাই তিনি অবৈধ।বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের মার্কেট হতে এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার ১৪২ কোটি ২৬ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করিয়াছে মর্মে উল্লেখ করা হয় ।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, বাসা নম্বর ৩৮/৮, রোড নং ০৪,৫/ইং ঢাকা -১২০৭ এই বাসাটি মার্কেটের ডেভেলপার কোম্পানি সাইনিং মানি হিসাবে প্রদান করে, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার সেই ফ্ল্যাটের মূল্য বাবদ ৮২ লক্ষ টাকা স্কুলের তহবিলে (ফান্ডে) জমা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেন ।
দীর্ঘ ২২ বছর যাবত ম্যানেজিং কমিটির কোন নির্বাচন হয় না, নিজের মনোনীত আওয়ামী লীগের লোক দিয়ে অবৈধভাবে কমিটি করে তিনি এতদিন চালিয়ে আসছেন ।
এখন পর্যন্ত মার্কেটের ভাড়া তুলে দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার ও সাবেক এবং বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি এবং মার্কেট কমিটি সহ দুর্নীতি পরায়ন কিছু সদস্যরা মিলে আত্মসাৎ করিতেছেন । বিদ্যালয়ের মার্কেটে অনেক দোকান আওয়ামী লীগের লোকদের নিকট কম দামে মাত্র ৩০০০ (তিন ) হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছেন । ফ্যাসিস্ট দের দোসর সিন্ডিকেটের সদস্যরা এই দোকানগুলো অন্যান্য ব্যক্তির নিকট ২৫০০০ (পঁচিশ) হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছেন ,এই টাকা গুলোর অর্ধেক ভাগ পায় দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।
সর্বশেষ পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক, দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক নার্গিস আক্তারের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে ৪২ লক্ষ তিন হাজার ৩৯১টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে বলেছেন । দীর্ঘদিন যাবত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয় । সেই টাকা বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন ।
অনুসন্ধান সুত্রে মার্কেটের ব্যবসায়ী, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের জমিতে ৪৮০ টি দোকানের মধ্যে ৪১০টি দোকান বিক্রি করে সব টাকা তিনি সহ সিন্ডিকেটের সদস্যরা মিলে আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে মার্কেটের ২য় এবং ৩য় তলায় ৩৫ টি দোকান নির্মাণ করেছেন এবং প্রতিটি দোকান তিন লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন । ৩৫টি দোকানের মোট অগ্রিম টাকার পরিমাণ এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা। এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে বা ফান্ডে জমা না দিয়ে পুরো টাকা দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার আত্মসাৎ করেছেন । উপরে উল্লেখিত ৩৫টি দোকানের প্রতিটি দোকানের মাসিক ভাড়া আট হাজার টাকা। এই ৩৫টি দোকান থেকে প্রতি মাসে ভাড়া আসে দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা এবং এক বছরে আসে তেত্রিশ লক্ষ ষাট হাজার টাকা। এই পুরো টাকাই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার আত্মসাৎ করে আসছেন । স্কুলের একমাত্র খেলার মাঠের জমি টেকনোপল কনস্ট্রাকশন কোম্পানী কে দিয়ে তিন তলা বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করা হয়। এই খেলার মাঠের জমির বিনিময়ে ডেভেলপার কোম্পানী সাইনিং মানি হিসাবে স্কুলকে যে টাকা দিয়েছিলেন, সাইনিং মানির পুরো টাকাই বিদ্যালয়ের তহবিলে (ফান্ডে) জমা না দিয়ে এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার আত্মসাৎ করেন ।
টেকনোপল কনস্ট্রাকশন কোম্পানীর নিকট থেকে সাইনিং মানি হিসাব মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মাজার রোড শাখা মিরপুর, চেকের মাধ্যমে এবং নগদে কে কত টাকা গ্রহণ করেছেন। চেকের মাধ্যমে যারা টাকা গ্রহণ করেছে তারা সব টাকাই আত্মসাৎ করেছেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেকনোপল এর নিকট থেকে চেকের মাধ্যমে এবং নগদ-এ কে কত টাকা গ্রহণ করেছেন সেটা ও উঠে এসেছে অনুসন্ধানে ।
অনুসন্ধানে আরো উঠে এসেছে, প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার কিভাবে সাবেক প্রয়াত এমপি আসলামুল হক থেকে শুরু করে মাইনুল হোসেন খান নিখিল , সহ স্থানীয় নেতাদের সবাইকে সে ম্যানেজ করে চলেছেন।
একাধিক ব্যবসায়ী ও অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন,দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে বিগত বছরগুলোতে তার বিরুদ্ধে অগণিত নিউজ হয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ায় । অনেক অভিযোগ হয়েছে তার বিরুদ্ধে কিন্তু তিনি সব সময় থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে ।
আগে জানতাম সে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের একজন,আজ কিছুদিন যাবত শুনছি জামায়াতে ইসলামীর বড় নেতা তার স্বামী, তাই নাকি সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে !
আরেকজন অভিভাবক বলেন, ৫ আগস্টের পরে গত ২২/০৮/২৪ তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের হস্তক্ষেপে তিনি পদত্যাগ করলেও, অজানা কারণে কয়েকদিন পরেই তিনি আবার চেয়ার দখল করে বসে আছেন । তিনি আরো বলেন, শিক্ষা বিভাগের একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সহযোগিতায় তিনি নিয়োগ পাওয়া সহ এত দুর্নীতি করে যাচ্ছেন ।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি, এমন কি তার হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালে,দেখেও কোন উত্তর দেননি।
পরবর্তী সংখ্যায় জানাবো, সিন্ডিকেটে কারা কারা জড়িত ,অবৈধ টাকার ভাগ নিয়ে কারা তাকে সবসময় নিরাপদে রাখে ।
এমএসএম / এমএসএম

এসেনসিয়াল ড্রাগসের এমডির আত্মীয়দের বদলি বাণিজ্য

ট্যাক্স ল'ইয়ার্স সোসাইটি ২০১৭ এর নির্বাচিত নতুন কমিটির অভিষেক দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত

উদ্যোমী নারীদের সম্মাননা জানাল ‘উইমেন’স ফাউন্ডেশন’

উত্তরা সেক্টর-১২ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

রোজাদার পথচারীদের পাশে ইফতার নিয়ে হাজির আজমল হুদা মিঠু

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ৮ জন নারী উদ্যোক্তা পেলেন সাহসিকা সম্মাননা

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ছাত্র দলের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিআরটি’র ফ্যাসিস্ট আওয়ামীর দোসর এডি আলী আহসান বহাল তবিয়তে

ধর্ষণও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

ছুরিকাঘাতে রাজধানীতে যুবক নিহত

আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই আওয়ামী লীগ নেত্রী তাহমিনার
