ঢাকা শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মেট্রোরেলের দুর্নীতি শেষ কোথায়


 জাহাঙ্গীর আলম  photo জাহাঙ্গীর আলম
প্রকাশিত: ১১-১-২০২৫ রাত ১১:১৮

অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আরিফ রহমানসহ মেট্রো রেলের দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ মেট্রো রেলের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা  ইএন্ডএম সিস্টেম এবং রোলিংস্টক এমআরটি লাইন -৬ এর  প্রকল্প পরিচালক এবি এন আরিফ রহমান নার্সারি ও পরিবহন পুলের দায়িত্বে থেকে বিপুল পরিমাণে অবৈধ  টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতিপ্রাপ্ত এবং মেট্রোরেল প্রকল্পের শুরু থেকে (২০১৪-২০২৪) একই দায়িত্বে আছেন।প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক এবিএন আরিফ রহমান নামে বেনামে মেট্রোরেলের জমি ব্যবহার করে চলেছেন এবং নার্সারি ও পরিবহন পুলের গাড়ির দায়িত্বে থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

সকর ট্রেন ও তার যন্ত্রাংশ আরিফ রহমান নিজ দায়িত্বে থেকেই কিনেছেন। সে সাবেক এমডি এম এন সিদ্দিকের অন্যতম সহযোগী ও আওয়ামী লীগের দালাল। মুহাম্মদ সাইদুর রহমান (অধ্যক্ষ ট্রেনিং সেন্টার) -সে রেল মন্ত্রণালয়ের ডেমো ট্রেনের মাস্টারমাইন্ড যা থেকে সরকারের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা অপচয় করেছেন। তিনি মেট্রোরেলের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কর্মরত আছেন। তার অবসরে যাওয়ার সময় হলে  সাবেক এমডি মেট্রোতে ট্রেনিংয়ে নিয়োগ দেন। মোঃ নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া (ডিজিএম এডমিন অতিরিক্ত দায়িত্ব) লাইন -১ ( পিআর)। তিনি সাবেক এমডির এলাকার লোক। আউটসোর্সিংয়ে জনবল সরবরাহ ও নিয়োগ সবই তার মাধ্যমে হয় এবং আউটসোর্সিং নিয়োগে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন। একে ট্রেডিংস ও বৈশাখী সিকিউরিটিস লিমিটেড এ দুটি কোম্পানি থেকে কমিশন বাণিজ্য করেন  এবং তিনি ডিএমটিসিএল এর একজন আতঙ্কিত ব্যক্তি ২০১৮ ও ২৪ এর জাতীয় নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পক্ষে সরাসরি মত দিয়েছেন প্রিজাইভিং অফিসার হিসেবে এমনকি তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাই না। মোঃ শাহজাহান অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক লাইন -৬, ( সিভিল) তিনি মেট্রোর শুরু থেকে আছেন। তার অধীনে ( cp-1)-(cp-2) ডিপো উন্নয়ন ও ডিপোর সঙ্গে ভবন নির্মাণ কাজ হয়েছে।সমস্ত ডিপো তার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি সাবেক এমডি ও পিডির আস্থাভাজন ছিলেন। এমনকি নারায়ণগঞ্জ সহজ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকাবস্থায় দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মোঃ এম এ মামুন এএম (এসডিপি) তিনি ডিপোর সকল আসবাবপত্র কেনা থেকে শুরু করে আউটসোর্সিং দুইটি কোম্পানি একে ট্রেডার্স ( যা ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ লোকের দ্বারা পরিচালিত) এবং বৈশাখী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন । 

ডাইরেক্টর অপারেশন (ওটিএম) নাসির উদ্দিন তিনি সাবেক এমডি ও পিডির ঘনিষ্ঠ লোক। তার দ্বারা ডিএমটিসিএল এর হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে এমনকি নিয়োগে ও ঘুষ বাণিজ্য করেছেন। খন্দকার এহতেশাম কবির যুগ্ম সচিব (অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ লাইন -৬) আওয়ামী লীগ শাসনামলে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে মেট্রোরেল লাইন-৬ এর অতিরিক্ত  প্রকল্প পরিচালক হিসেবে  আছেন।তিনি সাবেক এমডি এ এম এন সিদ্দিকের সহযোগী। মোঃ জাহিদুল ইসলাম উপসচিব ব্যবস্থাপনা পরিচালকের একান্ত সহযোগি (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সে সাবেক এমডি এএমএন সিদ্দিকের সহযোগী। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মেট্রোরেলের অতিরিক্ত পরিচালক এ বি এন আরিফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি 'দৈনিক  সকালের সময়'কে বলেন, নার্সারি আমার শখ, আমি নিজস্ব অর্থায়নে এগুলো করেছি।

এমএসএম / এমএসএম

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকের ঢাকায় ১৯ বছরের লুটপাটের রাজত্ব

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি আবু সুফিয়ান এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টেন্ডার বাতিল এর অভিযোগ

পিডব্লিউডি এর কয়েকজন স্টাফের বিরুদ্ধে আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ

অবশেষে সেই মামুনের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশীট

তুরাগ নদীতে মাটি খেকো চক্র বেপরোয়া

আদম পাচারের ফাঁদ পেতে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ

এলজিইডিতে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বহাল তবিয়তে!

প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার চাকরি বাঁচাতে মরিয়া,দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন

দুর্নীতির শীর্ষে ২৪ তম বিসিএস ক্যাডারের অনেকেই

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ১০০ কোটি টাকার এফএমডি ভ্যাকসিন ক্রয়ে ভয়ংকর অনিয়ম

সংবাদ প্রকাশ করায় কন্ঠরোধের অপচেষ্টা