দিন দিন নিধন হয়ে যাচ্ছে ঝাউবন হুমকির মুখে টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চল

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সমুদ্রের উপকূলীয় অঞ্চলে দিন দিন উজাড় হচ্ছে উপকূল ও পরিবেশ রক্ষাকারী ঝাউবন। এমনকি কিছু অসাধু বন কর্মকর্তাদের বেখেয়ালীর ফলে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সূত্রে জানায়, মেরিন ড্রাইভ ও সাগরের গ্রাস থেকে রক্ষা, সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় মূলত সেনাবাহিনী এসব ঝাউগাছ রোপণ করছে সৈকতের পাড়ে। তবে কিছু অর্থ লোভী বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহায়তায় স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী চক্র এসব গাছ কাটছে। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে গাছ কাটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। প্রতি মাসে উপকূলের এসব অঞ্চল গুলো থেকে অবাধে গাছ কাটা হচ্ছে। এতে দিন দিন বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে উপকূল ও পরিবেশ।
এদিকে সরেজমিনে গেলে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত উপকূলীয় অঞ্চল, সাবরাং জিরো পয়েন্ট হতে শাপলাপুর- বাহার ছড়া দীর্ঘ পথের বিভিন্ন জায়গায় সারিবদ্ধ গাছের মাঝে মাঝে ফাঁকা। পড়ে রয়েছে কাটা গাছের অসংখ্য গোড়ালি। কিছু কিছু গোড়ালি বালুর সঙ্গে মিশে গিয়েছে এবং অনেক গাছে রয়েছে করাত ও দা দিয়ে কাটার চিহ্ন।
এসব গাছ কাটার চিহ্ন দেখে স্থানীয়দের কাজ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই ঝাউবাগান ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রতিরক্ষা দেয়াল হিসেবে উপকূলীয় এলাকাকে রক্ষা করে। আমরা ঝাউবাগানের আশেপাশে চাষাবাদ করি বিদায় মূলত প্রায় সময় দেখতে পাই, গাছ কেটে ফেলার দৃশ্য, আমাদের চোখে পড়লেও তাদের নিষেধ করি। তবে অন্য কোনো সময়ে এসে কেউ না, কেউ ঠিকই গাছ কেটে নিয়ে যায়। স্থানীয় যারা রয়েছি বন বিভাগকে অবগত করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। যতটুকু মনে করি টাকার কারণে, এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপকূলীয় বন রেঞ্জের কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক আমিও শুনেছি কিছু অসাধু চক্র উপকূলীয় অঞ্চলের ঝাউবন নিধন করছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ওই অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আমাদের কোনো কর্মকর্তা যদিওবা জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় পানি ওভার-ফ্লু হচ্ছে। সৈকতে পর্যটকদের অবাধ বিচরণ এবং কিছু অসাধু লোকজন সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে লতা পাতা কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে সৈকতের বালিয়াড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই বাগানের আগেও উপকূলীয় বনবিভাগ ৩ হাজার ঝাউবাগানের চারা রোপণ করে বাগান সৃষ্টি করেছিল। কাঠচোরদের দৌরাত্ম্যের কারণে এখন মাত্র কয়েকটি গাছের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব গাছ কাটার ফলে এলাকার পরিবেশের বিপর্যয়ের পাশাপাশি সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে বালু ক্ষয় হচ্ছে। যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস কিংবা ঘূর্ণিঝড়, বন্যা হলে প্রধান সড়কসহ স্থানীয় বাসিন্দারা নানামুখী ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হবে
এমএসএম / এমএসএম

কুতুবদিয়ায় আল্লামা দেলোয়ার হোছাইন সাঈদী (রহঃ) স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

অখণ্ড বিজয়নগর রক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাংবাদিককে হুমকি

ভূরুঙ্গামারীতে বসতভিটা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রায়গঞ্জে ৬ লাখ টাকাসহ বিকাশ কর্মী নিখোঁজ: বাগান থেকে মটর সাইকেল উদ্ধার

সাংবাদিক জগতের নক্ষত্র ছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনঃ সিআরএ

কাপ্তাইয়ে ১৪ হাজার ৭শত ৪২ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে

কসবায় বিদেশি মদসহ নারী আটক

লালমাইতে বিয়ে করতে এসে ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিলো বর

কুতুবদিয়ায় এনসিপি নেতা হেলালিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

লায়ন নুর ইসলামের নির্বাচনী এলাকা নড়াইল ২ এ ভি,পি নূরকে ফুলের শুভেচ্ছা

বোদায় যৌথবাহিনীর অভিযানে জরিমানা ও হাসপাতাল সিলগালা
